Bookmaker Bet365.com Bonus The best odds.

Full premium theme for CMS

হুমায়ূন ফরীদি : বাঙলামঞ্চের ক্রুশবিদ্ধ যিশু

Written by নাসির উদ্দীন ইউসুফ.

Блогът Web EKM Blog очаквайте скоро..

মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের কুশলী ও জনপ্রিয় অভিনেতা প্রয়াত নট হুমায়ূন ফরীদি।

যদিও তার চলচ্চিত্র-অভিনয় কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছায় নি। টেলিভিশন-অভিনয় নিশ্চিত প্রচলিত ধারা-বহির্ভূত কারণে নতুন মাত্রা যোগ করে টিভি নাটকে এবং দ্রুত কুশলী ও জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে ফরীদি দর্শক-হৃদয়ে স্থান করে নেয়। কিন্তু মঞ্চনাটকে তার সৃষ্টিশীলতা এক ধ্রুপদী অভিনেতার সাক্ষ্য বহন করে। মূলত মঞ্চে স্বল্প সময়ের অবস্থান সত্ত্বেও হুমায়ূন ফরীদির পদচ্ছাপ আমাদের মঞ্চনাট্যের ইতিহাসে অমোচনীয়। ফরীদি কীভাবে এবং কেন অন্যান্য অভিনেতা থেকে আলাদা? কী সেই জাদু যা তাকে অভিনেতা হিসেবে প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছিল?

শুরুতে শুরুর প্রেক্ষাপটটি বলে নিতে চাই।

১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর অর্থাৎ পৌষের অন্তে বন্ধু নাট্যকার সেলিম আল দীনের আমন্ত্রণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃহল নাট্য প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে গিয়েছিলাম। তখনকার কলাভবন চত্বরে খোলা আকাশের নিচে হিম ঝরানো উত্তীর্ণ এক সন্ধ্যায় আত্মস্থ আগুনে নাটকটির অভিনয় চলাকালে মূল-অভিনেতার শারীরিক ও বাচিক অভিনয় এবং সহজ-সরল মঞ্চপ্রয়োগ দেখে আকৃষ্ট হই। নাটক শেষে জানতে পারি, ওর নাম হুমায়ূন ফরীদি। আমি তাকে সরাসরি বলি- তুমি কি ‘ঢাকা থিয়েটার’-এ কাজ করতে আগ্রহী? সে উৎফুল্ল জবাব দিলো- অবশ্যই! আমার স্বপ্ন একদিন আপনার সাথে কাজ করব।

ফরীদি কেন ও কীভাবে তার কালের সেরা নট তা আমার নির্দেশনায় তার কটি চরিত্রাভিনয়ের কথা বল্লেই সবার বুঝতে সহজ হয়ে যাবে।

আমি তখন শকুন্তলার মহড়া করছিলাম। সেটা ১৯৭৮ সাল। ‘তক্ষক’ চরিত্রে কাউকেই মনঃপূত হচ্ছিল না। একটিমাত্র দৃশ্যে এই চরিত্রের উপস্থিতি। চরিত্রটি উচ্চগ্রামে বেঁধে সেই স্বরে কণ্ঠ খাদে মধ্যমে নামিয়ে এনে বাচিক অভিনয়ের খেলা করার ইচ্ছা আমার। শকুন্তলার রচয়িতা সেলিম আল দীন ঐ একটি মাত্র দীর্ঘ সংলাপের রহস্য, অন্তর্নিহিত অর্থ ফরীদিকে পূর্বাহ্নে বুঝিয়ে দিয়েছিল। আমি তক্ষককের নদীর জল এক লহমায় শেষে পান করার নাট্যমুহূর্ত নিয়ে আর আমার চাহিদা নিয়ে দীর্ঘ দুদিন আলাপ করি। ফরীদির উচ্চারণ খুব ভালো। তার অসুবিধা হচ্ছে মূলত ‘দমে’। কেননা সে অ্যাজমার রোগী। তাই দীর্ঘ সংলাপ একটানা বলতে অসুবিধা বোধ করত। আমি তাকে ছোটোছোটো দমে দীর্ঘ সংলাপটিকে পুরে দিয়ে যতিহীন বলতে অনুপ্রেরণা দেই। বলি, দেবব্রত বিশ্বাস কীভাবে তার অ্যাজমাকে ব্যবহার করে রবীন্দ্র সংগীতে প্রয়োগ করে অনুকরণীয় ভঙ্গিতে গাইতেন। ফরীদি রবীন্দ্র সংগীত গাইত তার মতো করে। আমি তাকে বলি তুমি দম ‘চুরি’ করো। তোমার হাঁপানির জন্য যে দমের কমতি হয় সেটাকে ব্যবহার করো। অর্থাৎ দীর্ঘ শ্বাস না নিয়ে অ্যাজমাক্রান্ত-শরীরের অনুমতি-মোতাবেক ছোটো শ্বাস নাও। কেউ বুঝতে পারবে না যে, তুমি দমের জন্য স্ট্রাগল করছো। এটা তোমার একটা স্বাভাবিক স্টাইল হয়ে যাবে। এত ছোটো দম নেবে যেন মনে হয় তুমি দম নাও-ই নি। এবং দীর্ঘ সংলাপের জরুরি পজগুলো কৌশলে দুদমের মাঝে ফেলবে। ফরীদি মাত্র তিনদিনে আশ্চর্যজনকভাবে তক্ষকের দীর্ঘসংলাপ আমার কাঙ্ক্ষিত স্কেলে ও পজ ব্যবহার করে কণ্ঠনালীকে সম্প্রসারণ ও সংকুচিত করে এক আশ্চর্য স্বরধ্বনির সৃষ্টি করে পুরো সংলাপটি পুনর্গঠন করল।

এরপর দরকার শারীরিক ভাষার ব্যবহার। হস্তযুগল প্রসারিত বা করজোড়ে, স্বাভাবিক লয়ের পদক্ষেপকে পরিবর্তিত করে বাচিকের সাথে তাল মিলিয়ে দীর্ঘ ও ক্ষুদ্র পদক্ষেপের সাথে বেঁধে ফেল্লো। তারপর হলো, মুখের ও চোখের কাঙ্ক্ষিত অভিব্যক্তি সংলাপের নির্দিষ্ট তাল লয়ে বেঁধে ফেলে চরিত্রের অন্তর্নিহিত রহস্য উন্মোচনের পালা। ওষ্ঠ, দন্ত, জিহ্বা ও কণ্ঠের পরিমিত-ব্যবহারে-পারঙ্গম ফরীদি তক্ষক চরিত্র নির্মাণ করল। আর এই নির্মাণ দেখে, মহড়াকক্ষের সহঅভিনেতারা এই নতুন অভিনেতার নতুনত্ব দেখে অবাক!

সাজেদুল আউয়ালের ফণীমনসা নাটকে ‘ছিলাম বুড়া’ চরিত্রে যুবক ফরীদি কণ্ঠস্বরকে বৃদ্ধের মতো না করে শুধুমাত্র সংলাপ-স্কেনিং, ভিন্ন জায়গায় পজ, ও স্বরের বিচিত্র ব্যবহার আর শরীরে সামান্য বাঁক এনে যে ‘ছিলাম বুড়া’ আমাদের মঞ্চে দাঁড়াত, সেই বৃদ্ধকে আমরা আগে কখনো দেখি নি। প্রথাগত-বৃদ্ধের স্থলে আমরা এক ভিন্ন বৃদ্ধকে দেখি। এবার তার দুর্বলতাকে সে সৃষ্টিশীল কাজে লাগায়। অ্যাজমার কারণে ‘কণ্ঠ’ সহজে ভেঙে নেয় সে। একই সাথে ছোটোছোটো দমের ব্যবহারে সংলাপ প্রক্ষেপণের স্বাভাবিক কৌশলকে পাশ কাটিয়ে অনিশ্চিত  বা odd জায়গায় পজ দিয়ে সংলাপ নিয়ে এক নতুন খেলায় মেতে উঠল। ফ্যাসফ্যাসে গলায় সংলাপের অর্থ সঠিক রেখে বৃদ্ধের বয়সে ভারাক্রান্ত শরীর নিয়ে মঞ্চে এক ভিন্ন ‘ফরীদি’ জন্ম নেয়। সে যেন ফরীদি নয়, ছিদাম বুড়া হয়ে যায়। যেন এক জাদুর স্পর্শে মানুষটি মঞ্চে বদলে যেতে থাকে।

ছোটোছোটো বাক্য গঠন-করে যে খেলা বা কৌশল সে তৈরি করল তা পরবর্তীজীবনে, নানান মাধ্যমে তাকে আমরা ব্যবহার করতে দেখেছি।

কিত্তনখোলা নাটকে যাত্রাদলের নৃত্যক, ছায়ারঞ্জন নামের এক সমকামী-যুবকের চরিত্রে ইউরোপীয় নাট্যভাষায় সিরিও-কমিক চরিত্রে ফরীদির অভিনয় উত্তুঙ্গে পৌঁছায়। বাংলাদেশের ভঙ্গুর-সামাজিক-কাঠামোয় সাম্প্রদায়িকতা অর্থনৈতিক-বৈষম্যের ন্যায় এক ভয়ংকর উপাদান। ছায়ারঞ্জন সেই মানুষটি, যে নিম্নবিত্তের ঘরছাড়া হিন্দু-যুবক। সাম্প্রদায়িকতার স্বীকার সে। ফরীদি একই সাথে সমকামী-যুবকের চলন-বলন এবং সাম্প্রদায়িকতায় পিষ্ট মানুষের অসহায়ত্ব তার শরীর ও বাচিকে প্রতিস্থাপন করে যে অবাক হতে হয়! বিষাদ সে ছায়া কিন্তু অবলীলায় মৃদু হাস্যরসের মধ্যদিয়ে নিজের জীবনকে যেন ছায়ারঞ্জন ঠাট্টা করে। ১৯৮০’র দশকে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার উত্থানকালে সে ‘কইলকাতা’ চলে যাবে কী যাবে না এই দ্বিধায় যখন, তখন ‘রিফিউজি হয়ে বাইচা থাকা লাভ নাই’ এ সংলাপটি বলে একটি দীর্ঘ পজ নিয়ে তার চোখ দর্শকের মাথা স্পর্শ করে দৃষ্টি ঘুরিয়ে বনশ্রীবালারূপী সুবর্ণা মুস্তাফায় দৃষ্টি স্থাপন করে ‘ আমি মুসলমান হবো’ বলে তখন প্রথমে দর্শক হেসে ওঠে কিন্তু সে সময় ফরীদির মুক্তির হাসির সাথে গভীর নীরবতা দর্শককে স্তব্ধ করে দেয়। সে মুহূর্তে ফরীদি একজন অভিনেতার কাঠামো ভেঙে জীবন্ত একজন নিপীড়িত সম্প্রদায়ের বিবেক হয়ে ওঠে যেন। এসবই সম্ভব হয়েছে ফরীদির জীবন-পাঠ, স্তানিস্লাভস্কির মাই লাইফ ইন আর্ট পাঠ, মেথড অভিনয় উপলব্ধি! একই সঙ্গে পাঠ ও জীবন-অভিজ্ঞতা-সংমিশ্রণে মঞ্চে বিশ্বাসের সাথে এর প্রয়োগ।

কেরামত মঙ্গল আমার সাথে মঞ্চে তার শেষ কাজ। কেরামতের মতো জটিল ও ভারী একটি চরিত্র মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ফরীদি মঞ্চে যে উচ্চতায় নিয়ে যায়, তা সেলিম আল দীনের লেখ্যরূপের কেরামতের উচ্চতাস্পর্শী। রাজনীতি-সচেতন ফরীদি ক্রিস্টোফার কডওয়েলের নন্দনতত্ত্ব পাঠ করেছিল ও আমল করেছিল এবং তা ধারণও করত। অ্যারিস্টেটোলের নন্দন-ভাবনার বিপরীতে কডওয়েল, ভরত, উজ্জ্বল নীলকান্ত মণি সেকালে আমাদের অধিক আগ্রহী করে তোলে। নাট্য-প্রযোজনাকালে আমাদের বিনিদ্র-রজনী গেছে এ তত্ত্বগুলো বোঝার পরিশ্রমে।

যে রাজনৈতিক-হত্যা ও কোলাহল সমগ্রদেশে বিরাজমান ছিল এবং আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর যে নির্মমচিত্র মানসপটে আঁকা হয়ে যায়, তা সেলিমকে, আমাকে এবং ফরীদিসহ সকলকে ভিন্ন মানসের মানুষে রূপান্তরিত করেছিল। সেলিম আল দীন যেমন সময়ের চরিত্রগুলো আর ঘটনাগুলোকে নিয়ে ধ্রুপদী-বাস্তবতায় প্রোথিত করে নাটক রচনা করছিলেন, ঠিক তেমনি, আমরা কলাকুশলীরা তার মঞ্চপ্রয়োগে বিরাজমান বাস্তবতার সাথে ধ্রুপদী আঙ্গিকাভিনয় ও আবহ তৈরিতে সচেষ্ট ছিলাম। সেলিম আল দীন আমাদের কাজের এ পর্বকে চিহ্নিত করলেন ‘ধ্রুপদী বাস্তবতা’র কাল। ইংরেজিতে classical realism.

কেরামত চরিত্রটি যিশুখ্রিষ্ট ও হোমারের চরিত্রের অন্তরাত্মা মথিত করে সৃষ্টি করেছেন সেলিম আল দীন। ফরীদির মূলশক্তি তার শুদ্ধ উচ্চারণ, কণ্ঠের নানা তরঙ্গসৃষ্টি, চরিত্রকে মেথডে ফেলা এবং তার magic pause ব্যবহার করার পারঙ্গমতা। সাথে জীবন ও পাঠ-অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই। কেরামত যখন পরিবার-সমাজ-কর্তৃক ঘৃণিত গর্ভবতী শমলারূপী শিমূল ইউসুফকে সকল ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে বুকে টেনে নেয় এবং ভ্রুণ-হত্যার বিপরীতে দাঁড়ায় তখন মনে হয় আমরা সুলতান অঙ্কিত মহাপুরুষ ও জন্মদাত্রী নারীর ধ্রুপদী ভাস্কর্য প্রত্যক্ষ করছি। ভাষা, শরীর, ক্রিয়া সব স্তব্ধ হয়ে যায় দুজনের নীরব কান্নার ভাষায়। কেরামতের চোখ উপড়ে ফেলার পর রোদন নয়, শারীরিক কষ্ট নয়, ফরীদির ভাঙাকণ্ঠে যিশুর ক্রুশবিদ্ধ হবার ঘটনার বয়ান, উচ্চগ্রামে স্বর-প্রক্ষেপন ও মাঝেমধ্য কণ্ঠ খাদে এনে মানব বিপর্যয়ের কষ্ট ও বেদনা ফুটিয়ে তুলে এক ধ্রুপদী অভিনয়ের অবতারণা করেছিল মহিলা সমিতির ভাঙাচোরা মিলনায়তনে। সে এক বিরল-অভিজ্ঞতা আমাদের সকলের জন্য। স্তম্ভিত-দর্শক নীরবে চোখ মুছতে মুছতে মিলনায়তন ত্যাগ করেছেন।

মিউজিকাল কমেডি মুনতাসীর ফ্যান্টাসীর পুনর্মঞ্চায়নে মুনতাসীর চরিত্রে ফরীদির অভিনয় (সত্তর দশকে সুজা আহমদ মুনতাসীর করেছিলেন) দর্শকমাত্রই উপভোগ করেছেন। ফরীদির স্বভাবজাত হাস্যরস করার পারঙ্গমতা, সংগীতে অন্বিষ্টতা ও আবৃত্তির অভিজ্ঞতা, এসবের অভিজ্ঞতায় মুনতাসীর চরিত্রটি ফরীদি কাঙ্ক্ষিত চরিত্রে রূপান্তরিত করেছিল।

গতশতকের ৮ দশকের শেষ ও ৯ দশকের শুরুতে শেষবারের মতো ফরীদিকে মঞ্চে দেখেছি। সে নাটকটি ছিল বের্টল্ট ব্রেখ্টের The irresistible rise of Arturo, বাঙলায় অনূদিত ধূর্ত উই। জার্মান পরিচালক ক্লসক্যুসেনবার্গ পরিচালিত নাটকটির ধূর্ত উই চরিত্রে তুখোড় অভিনয় করেছিল হুমায়ূন ফরীদি। স্তানিস্লভস্কির মেথডে আবিষ্ট ফরীদি তার স্বভাবজাত সিরিও-কমিক বৈশিষ্ট্যের কারণে ব্রেখটের অ্যালিয়েনেশনতত্ত্ব প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়। সাথে ছিল ব্রেখটের পাঠ-অভিজ্ঞতা। ফরীদির দ্রুতলয়ে সংলাপ প্রক্ষেপণ ও বিদ্যুৎ-গতিতে শরীরের চলন ও মেজাজ-পরিবর্তন নাটকটিকে সফল ও আনন্দঘন করে তুলেছিল।

এরপর ফরীদি জীবনের তাগিদে মঞ্চ ত্যাগ করে চলচ্চিত্র-অভিনয়ে পাকাপাকিভাবে মনোনিবেশ করে। মাঝে টেলিভিশনে তার উপস্থিতি ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু চলচ্চিত্র ফরীদিকে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। বাণিজ্যিক-চলচ্চিত্রে তার আর্থিক মূল্য বেড়েছিল, কিন্তু ক্রমশ শিল্প-পাখিটির মৃত্যু ঘটছিল। লগ্নিকারদের দাবি মেটাতে গিয়ে যে চরিত্র ও শিল্প-বহির্ভূত সংলাপ-উচ্চারণ আর শারীরিক ভঙ্গিতে ফরীদি নিজেকে সঁপে দেয়, তাই তার মনোকষ্ট ও বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জীবনীশক্তি ক্ষয় হতে থাকে। শিল্প ও সৃষ্টিশীলতা ক্রমশ দূরে সরে যেতে থাকে। আমরা আমাদের-কালের বাঙলা মঞ্চের বুদ্ধি ও মেধাদীপ্ত সর্বগ্রাসী এক ধ্রুপদী অভিনেতাকে হারিয়ে ফেলি।

হুমায়ূন ফরীদি বেঁচে থাকবে তার মঞ্চে-অভিনীত চরিত্র-সৃষ্টির জন্য। কিন্তু আরও যে প্রত্যাশা ছিল! বাঙলামঞ্চ রঙ, রূপ ও রসে ফরীদি এবং তার একদল সহঅভিনেতার পদচারণায় হেসে উঠবে, মেতে উঠবে, সে প্রত্যাশা তো পূরণ হলো না!

এ আক্ষেপ থাকবে আমার চিরকাল!

নাসির উদ্দীন ইউসুফ ( This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it. ): নাট্যব্যক্তিত্ব