সময় থাকতেই সময়ের দাবির সলতেটি জ্বালানো দরকার

Written by হাসান শাহরিয়ার.

স ম্পা দ কী য়

ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে গিয়ে যদি তাড়া খেতে হয়, এরচেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি আর কী হতে পারে?

কিছুদিন আগে যে শিশুটি হামাগুড়ি দিত, স্বাভাবিক নিয়মেই আজ তার উঠে দাঁড়াবার কথা, কাল সে হাঁটবে, পরশুই দৌড়াবে-এমন স্বাভাবিক-প্রত্যাশাই তো আমরা করে থাকি। কিন্তু যদি আমাদের নজরে পড়ে, শিশুটি হামাগুড়ি-শেষে উঠে দাঁড়িয়ে কিছুদিন হাঁটার পর যখন দৌড়া-দৌড়ির সময় হলো, তখন সে আবারও হামাগুড়ি দেয়া শুরু করেছে, তখন বুঝে নিতে হবে শিশুটি মোটেই সুস্থ না, সে বেড়ে উঠছে বৈকল্য নিয়ে।

ঠিক তেমনি, আমাদের দেশে থিয়েটারচর্চা মোটেই সুস্থভাবে বেড়ে ওঠে নি, উঠছে না। আমাদের থিয়েটারে অনেক রোগের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে দিনের পর দিন।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন

Written by হাসান শাহরিয়ার.

‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান’-এর অস্তিত্ব থাকা না-থাকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার বয়স কম করে হলেও দুই-যুগ। দুই-যুগ ধরেও (প্রকৃত-বিবেচনায় চার দশকের বেশি সময়) নানান যুক্তিতর্ককে ‘থোড়াই-জ্ঞান’ করে যে ফেডারেশান টিকে আছে, তাকে এক ফুৎকারে নিভিয়ে দেয়া সহজ-ব্যাপার না। যথাযথ যুক্তি-প্রমাণ হাজির না করে, তাকে অবলুপ্ত করার বাসনা-প্রকাশও যৌক্তিক বলে মনে করছি না।

ইশতেহার বদল

Written by অপু শহীদ.

যে লোকটা হেরে যাচ্ছে
সে তো আর তার জ্ঞানকে এড়িয়ে যেতে পারে না।

ডুবে যাও
ভয় যদি পাও তো পাও। তবু ডুবে যাও।
একেবারে তলদেশে গিয়ে দেখবে
তোমার জ্ঞান
তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
                      -বার্টোল্ট ব্রেখট

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন : আমার ভাবনা

Written by রাজীব দে.

বেশ একটা দোটানার মধ্যে পড়ে গেলাম। থিয়েটার-বন্ধু সাইফ সুমন আর থিয়েটারবিষয়ক পত্রিকা ‘থিয়েটারওয়ালা’র সম্পাদক হাসান শাহরিয়ার একটা বৈঠকে যেতে ডাক দিলেন। যে বৈঠকের বিষয় ‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন’। আমি তো স্বনামধন্য কেউ নই, থিয়েটারের মতো এত বিশাল কর্মযজ্ঞে আমি নিতান্তই এক তুচ্ছ-পথিক। নিজের যোগ্যতা সম্বন্ধে আমি নিঃসংশয়। আর আগামী তো কেবল সময় নামের এক কাল্পনিক অক্ষ বরাবর এগিয়ে যাওয়া, যার শুরু নেই, শেষও নেই। তবু কেবলি বন্ধুত্বের আহ্বানে আর অন্যদের কথা শুনতেই আমার এই আয়োজনে অংশ নেয়া এবং তারই ধারাবাহিকতায় আদেশক্রমে এই লেখার অবতারণা। কারণ, থিয়েটার আমাদের প্রথম যা শেখায় তা হলো বাধ্যতা, নির্দেশকের এবং দলীয় নেতৃত্বের।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান : ভবিতব্যের ভূত নাকি অদ্ভুত

Written by মাহবুব আলম.

যেকোনো সংগঠনের যখন বয়স বাড়ে তখন তার শেকড় বাড়তে থাকে। মাটি আঁকড়ে টিকে থাকে আকাশের দিকে মুখ করে নিজ যোগ্যতাবলে। কিন্তু বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান এমনি এক সংগঠন যা টিকে আছে হাওয়া বাতাসের জোরে। ‘হাওয়া বাতাস’ শব্দ ব্যবহারের পেছনে অবশ্য কারণ আছে। তা হলো প্রাবন্ধিক হাসান শাহরিয়ারের ‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন’ প্রবন্ধ। প্রাবন্ধিক তার প্রবন্ধের প্রথম অনুচ্ছেদে ‘থোড়াই জ্ঞান’ শব্দটা ব্যবহার করেছেন বলেই ‘হাওয়া বাতাসের জোরে’ ব্যবহার করছি।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন : সহমত এবং মতামত

Written by প্রশান্ত হালদার.

‘থিয়েটারওয়ালা’ সম্পাদক হাসান শাহরিয়ারের ‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন’-এর সাথে মূলত সহমত পোষণ করছি। সে যা বলতে চেয়েছে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে না বলে সোজাসাপ্টাই বলেছে। যুক্তি-সহকারে বিশ্লেষণ করেছে। পর্যাপ্ত তথ্যও হাজির করেছে। এবং স্রোতে গা না ভাসিয়ে, অযথা আবেগায়িত না হয়ে, বাস্তবতার নিরিখে কথা বলেছে। এ কথা বোধকরি থিয়েটারচর্চায় নিবেদিত অনেকের কথা হয়েই দাঁড়াবে।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন : বিক্ষিপ্ত কিছু ভাবনা

Written by শামীম সাগর.

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান নিয়ে বর্তমানে নানান জিজ্ঞাসা আর কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সাংগঠনিক কিছু বিষয় আমজনতা-পর্যায়েও খোলাসা হয়ে গেছে, এতে করে এই মোর্চা বা প্লাটফরম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। এই সংগঠনটির অস্তিত্ব-সংকট এবং টিকে থাকা না-থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরে দাঁড়িয়ে যেখানে বাংলাদেশের থিয়েটারের নিজস্ব একটি চেহারা বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠা পাবার কথা, সেখানে আমরা থিয়েটারচর্চাকে পাশে সরিয়ে নির্বাচন-কেন্দ্রিক থিয়েটার রাজনীতির চর্চার গড্ডালিকায় গা ভাসিয়েছি। এতে সাময়িক কিছুজনের হয়ত সুবিধালাভ হবে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে থিয়েটারেরই ক্ষতি। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা আমাদের ব্যথিত করেছে, শঙ্কিত করেছে!

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন : আমার ভাবনা

Written by সাইফ সুমন.

‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন’ শিরোনামে বিশ্লেষণধর্মী প্রস্তাবনামূলক একটি লেখা লিখেছেন ‘থিয়েটারওয়ালা’-সম্পাদক হাসান শাহরিয়ার। প্রথম সাত পৃষ্ঠায় এই বঙ্গের থিয়েটারচর্চার একটি ইতিহাস তুলে ধরেছেন লেখক, সংক্ষিপ্তভাবেই। এটি দরকারি কিন্তু এই শিরোনামে প্রয়োজনীয় নয় বোধকরি। তবুও লেখক ভূমিকা হিসেবেই হয়ত লিখেছেন এটি।

পথের দিশা : থিয়েটারচর্চার সুলুক সন্ধান

Written by ফয়েজ জহির.

তির্যক প্রশ্ন ও পথের সুলুক

পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ! ইচ্ছায় অনিচ্ছায়!! সে সুলুক সন্ধান করবে কে? এমনিতেই ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে তাড়াতে তিনকুল গেছে, বাকি সময়ে থিয়েটারের কাজ করব না থিয়েটারের মোষ কীভাবে কে তাড়াবে তার সুলুক সন্ধান করব! অন্যদিকে রয়েছে জীবন-জীবিকার টানাপোড়েন। সেই সালতামামির কথা না হয় বাদই দেয়া যাক। আমরা জানি, গুটি কয়জন ছাড়া অসংখ্য নাট্যকর্মী কীভাবে এই বহুবিধ টানাপোড়েনের মধ্যেই দিনযাপন করেন।

হাসান শাহরিয়ারের লেখার প্রতিক্রিয়া

Written by আজাদ আবুল কালাম.

সামনের দিন ভাবতে পিছন ফিরে দেখা

আমরা যারা গত শতাব্দীর মধ্যআশিতে, মানে ঐ ১৯৮৪-৮৫ সময়ে থিয়েটারের সাথে যুক্ত হয়েছিলাম, তখন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান কর্মচঞ্চল এবং নানান স্বপ্ন তখন থিয়েটারকর্মীদের মাথায়। আর উল্টোপিঠে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের দমন-পীড়ন। ফেডারেশানের পাশাপাশি ফয়েজ আহমদের নেতৃত্বে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রকাশ হলো সাংস্কৃতিক-জগতের জন্য যেন সম্মিলনীর আহ্বান, কী সৃষ্টিশীল আনন্দে, কী যুথবদ্ধ আন্দোলনে।

হাসান শাহরিয়ারের লেখার প্রতিক্রিয়া

Written by মামুনুর রশীদ.

‘থিয়েটারওয়ালা’-সম্পাদক হাসান শাহরিয়ারের ‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন’ পড়ে বাংলাদেশের থিয়েটারচর্চার পেছনের দিন এবং সামনের দিনগুলির সম্পর্কে কিছু ভাবনার উদ্রেক হলো। লেখাটি তিনি অনেক জায়গায় পাঠিয়েছেন। অনুমান করি সবার কাছেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা মনে হবে এবং এর উপর মন্তব্য ও সংযোজন করা সম্ভব হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান এক অন্ধকারের-ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আমাদের অজান্তেই বেশ কিছুদিন যাবত দুটি পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা ধরনের উক্তি এবং বিষোদ্গার করে যাচ্ছে। একটি পক্ষ চেয়ারম্যানসহ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং তার অনুসারীদের দ্বারা পরিচালিত, অন্য পক্ষটি সংখ্যালগিষ্ঠ এবং সেক্রেটারি জেনারেল, অর্থ সম্পাদক ও তাদের অনুসারীদের দ্বারা গঠিত।

কিংস্নেক ও অদ্ভুত ভূত : নিষিদ্ধ-সংস্কৃতিচর্চার নাম গ্রুপ থিয়েটার!

Written by বাকার বকুল.

এই রাষ্ট্রে এখনও একধরনের নিষিদ্ধ-সংস্কৃতিচর্চার নাম গ্রুপ থিয়েটার। কথাটায় একমত হবার বাধ্য-বাধকতা নেই। দ্বিমত হলেই বরং ভালো, থিয়েটারবিষয়ক বোঝাপড়াটা ঝালাইয়ের সুযোগ ঘটে। গ্রুপ থিয়েটারে আসা অধিকাংশ ছেলে-মেয়ে আসলে পরিবারের অগোচরে থিয়েটারকর্মটি করেন। অল্পসংখ্যক, যাদের লুকিয়ে করতে হয় না, তাদের ভাগ্যবান মনে করি। ভাগ্যহীনের মধ্যে মেয়েটির প্রতিবন্ধকতার-সীমা চূড়ান্তে। সমাজের-দৃষ্টিতে পথভ্রষ্ট-নষ্ট আদব-লাজহীন না হলে কোনো মেয়ে আসলে নাট্যচর্চা করে না। ব্যতিক্রম দু-একটি পরিবার থাকলেও সমাজ পরিবারটিকে মর্যাদা দূরে থাক, গ্লানিতে ম্লান করে দেয়। বাড়িয়ে বলা কথা মনে হতে পারে এবং প্রশ্নও করা যেতে পারে, এখন কি আর আগের মতো সেই দিন আছে? নিজদলের মেয়েটি কিংবা ছেলেটির সঙ্গে একটু কথা বলে দেখুন না, পরিবারকে মানিয়ে কীভাবে সে গ্রুপে আসে, ইতিবাচক দৃষ্টিতে কয়টি পরিবার দ্যাখে অথবা একটি পরিবার দেখান, যে পরিবার বলেছে, যা থিয়েটারটাই মন দিয়ে কর! দুর্লভ!

থিয়েটারচর্চার সামনের দিন : কিছু প্রস্তাবনা

Written by এ কে আজাদ সেতু.

সম্পাদক হাসান শাহরিয়ার এবং ‘থিয়েটারওয়ালা’কে ধন্যবাদ, থিয়েটারচর্চার এমন এক সময়ে এ বিষয়ে কিছু বলার সুযোগ দেবার জন্য। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান নিয়ে আমার ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলার নেই। তবে, থিয়েটারের একজন মানুষ হিসেবে, কী ছিল, কী হতে পারত, আগামীতে আরো কী করা যায় থিয়েটারচর্চাকে আরো গতিশীল করার জন্য, এরকম কিছু চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার অধিকার অবশ্যই রাখি।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন : একটি প্রবন্ধ পর্যালোচনা ও ব্যক্তিগত অভিমত

Written by সাইদুর রহমান লিপন.

সার-সংক্ষেপ

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন: একটি প্রবন্ধ পর্যালোচনা ও ব্যক্তিগত অভিমত শিরোনামে বক্ষ্যমাণ রচনায় সমাদৃত নাট্যপত্রিকা ‘থিয়েটারওয়ালা’র সম্পাদক এবং থিয়েটারওয়ালা রেপাটরি’র অধিকারী হাসান শাহরিয়ারের ‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন’ শীর্ষক প্রবন্ধের পর্যালোচনা এবং তৎপরবর্তী কিছু মতামত তুলে ধরার প্রয়াস রয়েছে। প্রক্রিয়া অনুসারে, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন শিরোনামে শাহরিয়ারের প্রস্তাবিত প্রবন্ধের (এটি থিয়েটারওয়ালা পত্রিকার বর্তমান সংখ্যায় প্রকাশিত) পাঠ ও পর্যালোচনামূলক একটি অনুষ্ঠানে কিছু নাট্য-বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে প্রবন্ধটির পাঠ ও পর্যালোচনায় যা কিছু মত-দ্বিমত প্রদান করা হয়, এই রচনাটি তার ভিত্তিতেই বিন্যাস করা হয়েছে।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন : আমার ভাবনা

Written by কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন.

‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন’ নিয়ে হাসান শাহরিয়ারের তথ্যবহুল লেখা ও মতামত পড়ে আমার কিছু ভাবনা এসেছে। শাহরিয়ারের লেখাটাকে কয়েকটা অংশে ভাগ করা যেতে পারে। গ্রুপ থিয়েটারের বর্তমান টানাপোড়েন লেখককে এই লেখাটা লিখতে বাধ্য করল, আর তা নিয়েই তিনি লেখার প্রথমভাগে তার মতামত দিয়েছেন। দ্বিতীয়ভাগে লিখেছেন বাংলাদেশের থিয়েটারচর্চার স্বাধীনতা-পূর্ব ও পরবর্তী-অবস্থা নিয়ে। তৃতীয়ভাগে তিনি আলোচনা করেছেন কেন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান গঠন করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো এবং আবশ্যিকভাবে এর গঠনতন্ত্রই আলোচনার মূল-বিষয়বস্তু। সবশেষে, চতুর্থভাগে, শাহরিয়ার তার নিজস্ব-ভাবনা থেকে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন, ফেডারেশানের উচিত তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ছোট করে ফেলা ইত্যাদি।

হাসান শাহরিয়ারের লেখা ও থিয়েটারে পেশাদারিত্ব নিয়ে আমার ভাবনা ও প্রস্তাবনা

Written by রামিজ রাজু.

‘থিয়েটারওয়ালা’-সম্পাদক ‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন’ শিরোনামে যে লেখা এই সংখ্যায় তুলে ধরেছেন (অপ্রকাশিত অবস্থায় কপিটা আমি হাতে পাই), তা অত্যন্ত সমসাময়িক এবং প্রাসঙ্গিক।

আমাদের থিয়েটারচর্চায় কী কী পরিবর্তন আনলে আমরা আগের চেয়ে নিয়মিত ও সমৃদ্ধ-থিয়েটারচর্চা করতে পারব, তা নিয়ে অকপটে প্রবন্ধকার হাসান শাহরিয়ার তার চিন্তা-ভাবনা তুলে ধরেছেন। বিষয়টা পড়তে গেলে যখনি মনে কোনো প্রশ্ন আসে যে, ‘এই বিষয়টা এমন হলে ঐ বিষয়টা এমন কেন’, তখনি লেখার ধারাবাহিকতায় তার জবাবও চলে আসে। তাই খুব সহজেই বোধগম্য হয়। আর এ কারণেই লেখাটার সাথে পূর্ণ-সমর্থন ব্যক্ত করছি।

ওয়েটিং ফর গডো...

Written by কাজী রোকসানা রুমা.

থিয়েটার-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনো কথা হলে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান মাঝেমাঝেই আলোচনায় উঠে আসে। সেটাই স্বাভাবিক। তবে সম্প্রতি দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণ দেখিয়ে ফেডারেশানের নির্বাহী পরিষদের দুজন ব্যক্তিকে বহিষ্কারের ঘটনাটা থিয়েটার পাড়ার মৌচাকে যেন ঢিল ছুঁড়ে দেয়! সবার বা অধিকাংশের শরীরে যেন হুল ফুটতে শুরু করে! সবাই মৃদু নড়েচড়ে বসে। অনেক ‘জানা/বোঝা বিষয়’ প্রকাশ্যে আসায় কেউ কেউ বেশ খুশি হয়, কেউ কেউ তাচ্ছিল্যের হাসি দেয়, কেউ কেউ লজ্জা পায়।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন : কিছু ভাবনা

Written by মোহাম্মদ বারী.

‘থিয়েটারওয়ালা’ সম্পাদক হাসান শাহরিয়ারের ‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন’ শীর্ষক নিবন্ধটি বাংলাদেশের থিয়েটারচর্চার বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ। চার দশকেরও বেশি সময়ের ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সংবেদনশীল সংগঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, দায়িত্ব এবং অর্জন-ব্যর্থতার বিশ্লেষণ রয়েছে এ নিবন্ধে। সেই সাথে আগামী দিনে ফেডারেশান কীভাবে আরো সক্রিয় হতে পারে বা থিয়েটার-সংশ্লিষ্ট-কর্মকাণ্ডে ফেডারেশান কীভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, তার দিক-নির্দেশনাও বলা হয়েছে। নিবন্ধটি প্রত্যেক থিয়েটারকর্মীর জন্য অবশ্য-চিন্তার খোরাক হবে বলে আমার বিশ্বাস।

ক্ষমতার ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও...

Written by বিপ্লব বালা.

একদিন থিয়েটার বা মঞ্চনাটক কী চোখে দেখতাম আমরা, মনে করতে কতটা ঠিক পারি? কোনো একটা মনের মতো কাজকেই তো আমরা যথাসাধ্য বড়ো করে দেখি, নইলে কাজের তেমন চেতাবনি আসে না, সর্বস্ব দিয়ে সেটা করতে পারি না। এমনিতেই আমাদের জীবিকার কাজটা তো বাধ্যত বেগার খাটা, তাতে কেবল যেন দিনগত পাপক্ষয়ই হয়। বাঁচার জন্য তাই আমাদের আনন্দের কোনো কাজ খুঁজে নিতে হয়। অভিনয় বা নাটক তো মানুষের সহজাত। ছোটোবেলায় অভিনয়-অভিনয় খেলা দিয়ে যার হাতেখড়ি। তারপর নিজেরাই নানা-চরিত্রে সেজে, আসর বসিয়েছি উঠানে বা কোনো ঘরে। অভিনয়ের নানারীতি তো গ্রামদেশে চিরকালই আছে। শহরে মঞ্চনাটক কলকাতার দেখাদেখি শুরু হয়। বছরে বারকয়েক নানা উপলক্ষ্যে।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন : প্রতিক্রিয়া

Written by রামেন্দু মজুমদার.

হাসান শাহরিয়ার তার দীর্ঘ লেখা ‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ও থিয়েটারচর্চার সামনের দিন’ নিয়ে একটা প্রতিক্রিয়া জানাতে আমাকে বারবার অনুরোধ করার প্রেক্ষিতে আমার বর্তমান লেখা। আমি কিছুদিন আগে ফেডারেশান নিয়ে নাট্যকর্মীদের কাছে একটা খোলা চিঠি লিখবার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এ প্রসঙ্গে আমি আর কোনো মন্তব্য করব না। আসলে ফেডারেশান এবং এ ধরনের অনেক সংগঠন নিয়ে আমার আর কোনো আগ্রহ নেই। যদি আরো কিছুকাল বেঁচে থাকি, তবে নিজের পছন্দসই কিছু অর্থপূর্ণ কাজ করতে চাই। যৌথ সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার মধ্যে আমি আর নিজেকে জড়াতে চাই না।