Full premium theme for CMS
অনুস্বার বিসর্গ
Блогът Web EKM Blog очаквайте скоро..
সঞ্জীবন মিস্ফিট। সময়ের বৈরিতার সাথে, মিথ্যার সথে, চারপাশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ের সাথে ও পেরে উঠছিল না। ওর মাথাভরা আপাত অবাস্তব সব কল্পনা আর স্বপ্নরা ধানমণ্ডির লেক-মাঠ-শিশুদের সাথে মিলেমিশে গেছে। কবি সে- আবার ঠিক এ সময়ের মতো না, নট সে- আবার এ সময়ের জীবন মঞ্চে দুর্বল অভিনেতা। এত অকপট যে বোঝার জন্য তাকাতেও হয় না, শুনতেও হয় না, জানতেও হয় না। আর কেউ যখন দেখেই না তখন তাদের অজান্তে সঞ্জীবনের ভেতরের এক অনাবিষ্কৃত জগৎ ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে।
এই সময়কে বলতো ও ‘জানে কিউ সভ্যতা’- হিন্দি ছবির গানের এই ছোট্ট যুগল শব্দ দিয়ে সময়কে এত সহজে ব্যাখ্যা করার জ্ঞান সবার থাকে না। ওর জ্ঞান পথিকের জ্ঞান- রাত জাগা ধ্যানীর জ্ঞান- কৃষকের জ্ঞান অথচ আদতে ভীষণ নাগরিক। এমন নাগরিক ক’জন হতে পারলো?
ওকে যখন থেকে চিনি তখন থেকে ও অভিনয় করতে পারবে এমন ভাবনা কেউ করতো না- অথচ ক’বছরে সঞ্জীবন, তোতলা সঞ্জীবন- কেমন গরগর করে মঞ্চ আলোকিত করলো শরীর দিয়ে, কথা দিয়ে। কেমন অনেক ভক্ত হয়ে গেল, কেমন আবার একটা পুরস্কার পেয়ে গেল। আবার কেমন অভিনয়ের থেকে আলগা হয়ে গেল। আবার জোড়া লাগলো। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লো- সবাইকে জ্বালালো, বিরক্ত করলো- নিজেও বিরক্ত হলো, চারপাশের সবাই কী দ্রুত অসহিষ্ণু হলো। আবার ফিরে দাঁড়ালো সঞ্জীবন- একেবারে ফ্রেশ।
আমরা ফ্রেশ, চকচকে, তরতাজা সঞ্জীবনকে চিতায় ওঠালাম- জয়ধ্বনি, হরিধ্বনি, ধুপ গন্ধে ওর দেহ পুড়তে থাকলো। সব বন্ধুদের সামনে পুড়তে পুড়তে একসময় ডান পা-টা একটু উঠে গেল- অনেক্ষণ উঁচু থাকলো- শেষবার এ সময়কে পা দেখিয়ে ছাই হয়ে গেল।
লাল সালাম।
আজাদ আবুল কালাম
প্রাচ্যনাট, ঢাকা।