Bookmaker Bet365.com Bonus The best odds.

Full premium theme for CMS

নিভে দীপ অধিক উজ্জ্বল

Written by মাসুম রেজা .

Блогът Web EKM Blog очаквайте скоро..

আমার চোখে জল তখনও আসে নি। কারণ, তখন ঘটনাক্রম আমার কাছে কেবলই অভিনয় বোধ হচ্ছিল। মহাকাব্যিক এক মহাপ্রস্থানের অভিনয় পালা। আমি দেখছিলাম নাট্যকার স্বয়ং তাতে অভিনয় করছেন। কাগজের পাতা আর দূরদর্শনের পর্দায় আমি দৃশ্যক্রম পরিবর্তন হতে দেখছিলাম। জাহাঙ্গীরনগর থেকে বারডেম হাসপাতাল, অতঃপর ল্যাব এইডের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে। সবগুলো দৃশ্যে কী অসাধারণ অভিনয় করে চলেছেন তিনি। হাসপাতালের করিডোরে আর সম্মুখের আঙ্গিনায় তখন অনেকের চোখের জল বাতাসকে নোনা করে তুলেছে। এখনো মানুষ সুঅভিনিত দৃশ্য দেখে অশ্রুপাত করে। ওরা একটু বেশিই কাঁদছিল, কারণ, একজন এপিক শ্রষ্ঠা তাঁর নিজের মহাপ্রস্থানের দৃশ্য রচনা করে নিজেই তাতে অভিনয় করছিলেন। অতঃপর প্রচার করা হলো তাঁর মৃত্যু সংবাদ। আমার চোখ তখনও জলশূন্য। আমার অপেক্ষা তখন সুঅভিনয় শেষে তাঁর চোখ খুলবার আর ভীড় করা অজস্র মানুষের একযোগ করতালির। এসবের কিছুই ঘটলো না তখন ...

আমার সামনে তখন বিশাল বাংলাদেশের ধাবমান পতাকা, পতাকার পেছনে মহাপ্রাণ সেলিম আল দীন, তাঁর পেছনে মানুষের ঢল। মানুষের মিছিল। সবাই সারি বেঁধে যখন তাঁকে দেখছিলেন, বরেণ্য, বর্ষীয়ান আর অজস্র কৈশোর মাখা চোখ, দেখছিলেন শিল্পের সফল কৃষকের মুখ, মুখের গভীরে এক অভিমানী শিশু। তখন আমি কেঁদেছিলাম। তখন যে বিশ্বাস না করে আর উপায় ছিল না ... সেলিমভাই আর নেই ...

আপনার কত নাটকে কত কত মৃত্যু দৃশ্য অভিনীত হয়েছে! এমন কী বনপাংশুল-এ যে গুণীনের অন্তর্ধান ঘটলো, বৃক্ষে প্রবেশের ভেতর দিয়ে যে মিশে গেল প্রকৃতির সবুজে, তাকেও তো অভিনয় শেষে মুখ থেকে মুখসজ্জা ভেঙে আমাদের সাথে হাত মেলাতে দেখেছি। আপনি কেন তবে এ সত্যাভিনয় করলেন! আপনার কি মনে নেই, স্বর্গহ্রদে ডুব দেবার আগে কিছুটা নৃত্য করতে চেয়েছিলেন? তা কি এতটাই সংক্ষিপ্ত?

যে হাতে আপনি হাজার বছরের অভিজ্ঞতাকে মুঠোবন্দি করেছিলেন জোনাকির মত, আজ সে জোনাকি উড়ে বেড়াচ্ছে আঁধারে। কার হাত এত দীর্ঘ, কে রাখে এত সামর্থ, তাঁর হাতের সেই জোনাকির কাছে যাবে, করতলে মেখে নেবে তার ফসফরাসের আলো? বাংলা নাট্যের বিশাল ভাণ্ডার আবিষ্কার করে আর কে আপনার মত সারা শরীরে বাঙালির লোকায়ত অভিজ্ঞতা আর শিল্পের কাদা-জল মেখে বলবে ‘প্রাচীন সূত্রে বাঙলানাট্য ইউরোপিও নাটকের চেয়েও অভিজাত’? আর কে বলবে ‘দুশো বছরের ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হওয়ার পরেও কেন আমাদের থিয়েটারে থেকে যাবে উনিশ শতকীয় ধাচ আর পাশ্চাত্যের রীতি? বাঙলা নাটকে ফিরিয়ে আনতে হবে বাঙলা নাটকের গড়ন আর এর রীতিনীতি’। এঙ্গেলস এর এন্টি ডুরিং তত্ত্বের মত অস্বীকারের ভেতর দিয়ে আপনার শিল্প ভাবনা তাই বীজ সংগ্রহ করেছে মধ্যযুগের বাঙলানাট্যের সমৃদ্ধ ফসলের মাঠ থেকে। তখন আপনার সর্প বিষয়ক গল্প, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, মুনতাসির ফ্যান্টাসি, করিম বাওয়ালির শশ্রু ও মুল মুখ দেখা, এক্সপ্লোসিভ ও মুল সমস্যা আপনারই ভাবনার বিপরীতে দাঁড়ায়। আপনি তাদের স্বত্ব বর্জন না করলেও আপনার কিত্তনখোলা, কেরামতমঙ্গল, হাতহদাই, যৈবতী কন্যার মন, চাকা, বনপাংশুল, প্রাচ্য, নিমজ্জন অঙ্কুরিত হয় অন্য এক শিল্পভুবনে, বাঙলানাট্যের নিজস্ব ভুমিতে। সে ভূমিকর্ষণ, জলবর্ষণ আর আগাছা উপড়েছেন আপনি। সে ভূমির সকল স্বত্ব আপনার, ঋণ যা তা কেবলই আহরিত বীজের জন্য বাঙলার চিরায়ত নাট্যরীতির কাছে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য বিষয়ে অধ্যয়নকালে জাঁ পল সার্ত্র আর এলবার্ট কামু’র প্রভাব আপনার শুরুর নাটকগুলোতে পাশ্চাত্যের অনুকরণ এনে দিয়েছিল। কিন্তু আপনার ভেতরে অস্বীকারের সালোকসংশ্লেষণ ঘটতে শুরু করলে আপনি বলেছিলেন- ‘পশ্চিমাদের দ্বিভাব জীবনবোধ আমাদের শিল্পের ভিত্তি হতে পারে না’। কামু’র দি প্লেগ উপন্যাসের ব্যাখা করে আপনি দেখেছিলেন পশ্চিমাদের একত্ব ভাবনার পরিবর্তন ঘটিয়ে কালেকটিভ ডেসটিনি তৈরির জন্যে প্লেগের মত এক মহামারি ব্যাধির প্রাদুর্ভাব প্রয়োজন। বাঙালি মানসের চিন্তার ঐক্য, চেতনার ঐক্য আর অদ্বৈত জীবনবোধের প্রেক্ষিত বিচারে ইউরোপিওদের এই শিল্প ভাবনা অনর্থক হয়ে যায়।

শিল্পের বিষয়-ভাবনার সাথে সাথে আঙ্গিক ভাবনাও চলেছে সমান্তরাল। চলেছে সন্ধান, মাটির কোন গভীরে প্রোথিত আমাদের শিল্পের শেকড়। সেই অনুসন্ধান আপনাকে করেছে শেকড় সন্ধানী নাট্যকার। লোকনাট্যরীতি অনুসন্ধানে আপনি যাত্রাপালাকে অবলম্বন করেছিলেন প্রথম। সময়ের আলম্বরেখায় উল্টোভ্রমণে আপনি দেখিয়েছেন আমাদের হাজার বছরের লোকায়ত শিল্পের সম্ভার। ধার করা সব আঙ্গিক অস্বীকার করেছিলেন আপনি।

গান্ধী বলতেন ‘আই ডোন্ট ওয়ান্ট মাই আইডিয়া টু এন্ডআপ ইন আইডিওলজি। আই ওয়ান্ট মাই আইডিয়া টু পুট ইনটু এ্যকশান’। সেলিম ভাই আপনি অনেকাংশে গান্ধী প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। আপনি যা বলেছেন তা কেবল তত্ত্ব রচনা নয়, নাটকরূপে উঠে এসেছে আমাদের মঞ্চে।

১৯৭৭। আপনার মগজের ভেতর লোকনাট্যের শিল্প ভাণ্ডার মন্থন করে তুলে আনা বীজ। বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার বিভাগ থেকে ফিরছিলেন মধ্যাহ্নভোজে, তখন কে যেন বলে উঠেছিল ‘রূপান্তর’, সে হয়তো আপনার মন বলেছিল। আপনার মনের ভেতরে তখন ঘুরে বেড়াচ্ছিল ‘সোনাই’ নামের এক যুবক যার পুর্বপুরুষেরা ছিলেন তাঁতশিল্পী। প্রপিতামহ ছিলেন সামান্য কামলা। জীবন ও জীবিকার রূপান্তরে সোনাই আজ এক ঋণগ্রস্থ কৃষক। যাত্রাশিল্পী বনশ্রীবালা আর ছায়ারঞ্জন এসে ভীড় করে সেখানে, ঘাটে ভেড়ে বেদে-বালা ডালিমন আর রুস্তমদের নাও, খুলুর কাজ করে যে বশির তাকেও দেখা যায় ইদু কন্টাকটরের মেলায়। আপনার চিন্তার ভেতরের এইসব রূপান্তরমান চরিত্রসকল তখন আপনার নখের ডগা বেয়ে নেমে এসে তৈরি করে এক মহাকাব্যিক বাস্তবতা- কিত্তনখোলা। প্রাত্যহিক পরিবর্তনশীল বাস্তবতায় জীবনের ‘পাগলা ঘোড়া কোইন মানুষ কোই লইয়া যায়’ আমরা প্রত্যক্ষ করি এই এপিক নাট্যে।

কেরামতমঙ্গল। এক জীবন এক মানুষ। আপন গৃহ, আপন মানুষ, প্রাত্যহিক মুখগুলো পেছনে ফেলে চলে যেতে যেতে কেরামত আর এক জীবন এক মানুষ থাকে না। স্বার্থবাদী মানুষের ছড়ানো সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প আর জ্ঞাতিদের ষড়যন্ত্র কেরামতকে ঘরছাড়া করে। তারপর থেকে গৃহহীনতাই হয়েছে তার গৃহ। তাকে দেখা গেছে হাজংদের আন্দোলনে, জেলখানার ছোট্ট খুপরীতে, আবার হাজতসঙ্গী গ্রাম্য ডাক্তারের সহকারীও হতে দেখা গেছে তাকে। এ নাট্যে গির্জার পুরোহিতের এক অমিমাংসিত প্রশ্ন আমাদের মনে পুলক জাগালেও আমরা সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি না,- দারিদ্রের চাপে ধর্মান্তরিত বা মতান্তরিত কোনো মানুষ মৃত্যুর পুর্বে যীশুর নাম স্মরণ করতে পারে কিনা। এ নাট্যে কেরামতের আকুতি শমলার ভ্রুণের নিরাপত্তা বিধানের কথা বলে।

আপনি মানুষ হিসেবে মহাপ্রাণ আর নাট্যকার হিসেবে সর্বপ্রাণবাদী। হাত হদাই এ কাছিমের সাথে কাছিম শিকারীর যে প্রাণান্তকর লড়াইয়ের মর্মস্পর্শী বর্ণনা আপনি লিখেছেন। সেখানে এক নির্বাক কচ্ছপও মানুষের প্রতিপক্ষ হয়ে হাত হদাই এর অপরাপর চরিত্রের মতই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বনপাংশুল-এ ফরেস্টার লুৎফর মাস্টার ডিম সংগ্রহ করে গুইশাপের আহার জোগায়, বানরেরা তার অন্তর্বাস চুরি করে ঝুলে থাকে বৃক্ষ শাখায়। স্বর্ণবোয়াল নাটকটি আপনি মাত্র শেষ করেছেন। আমার পড়ার সুযোগ হয় নি, তবে গল্পটা শুনেছিলাম- এক স্বর্ণবোয়াল আর এক বোয়াল শিকারীর সারারাত্রির গল্প। বাঙলা নাটকে কোনো মাছের এভাবে প্রধান চরিত্র হয়ে ওঠা এই প্রথম। সেই স্বর্ণবোয়ালের কাছে পরাজিত হয়ে শিকারী সারারাত্রির ক্লান্তি নিয়ে বাড়ি ফেরে। বিশ্ব সাহিত্যে মানুষ ভিন্ন অন্যকোনো প্রাণীর বিজয়ও বোধ করি এই প্রথম। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের দি ওল্ড ম্যান এন্ড দি সি-র বৃদ্ধ সান্তিয়াগো দুই রাত্রি ও তিনদিনের পরিশ্রান্ত দেহ নিয়েও ‘মারলিন ফিসে’র পিঠে তার হারপুন গেঁথে দিতে পারলেও স্বর্ণবোয়াল নাটকে তেমনটা ঘটে না। সর্বপ্রাণবাদী ভাবনার ভিন্ন এক মাত্রা দেখা যায় প্রাচ্য নাটকে। দরিদ্র দিনমজুরের ছেলে সয়ফর অনেক স্বপ্ন নিয়ে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে নোলক নামের মেয়েটিকে বিবাহ করে বাড়ি ফিরে আসে। সয়ফর আর নোলকের বাসরে তখন ‘লক্ষিন্দরের গল্প পাশ ফিরে শোয়’। এখানে লক্ষিন্দর নয় বাস্তুসাপের দংশনে বেহুলাসম নোলকের মৃত্যু ঘটে। সদ্যবিবাহিত স্ত্রীর মৃত্যু সয়ফরকে প্রতিশোধ পরায়ণ করে তোলে। শাবল হাতে সে খুঁড়ে চলে বাস্তুসাপের সুড়ঙ্গ। সারারাত্রির খনন শেষে বাস্তুসাপ তার সামনে যখন ফনা মেলে দাঁড়ায়, সয়ফর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে উঁচিয়ে ধরে তার শাবল মাঝখানে এসে বাধা দেন তার সাদা শাড়ি পরা দাদি। দাদির অনুরোধে সয়ফর হত্যা করতে পারে না তার স্ত্রীর হত্যাকারীকে। প্রাচ্যের ক্ষমা-ধর্মের ছায়ায় বাস্তুসাপটি মৃত নোলকের তাজা কবরের উপর দিয়ে সপ্রাণ নিরুদ্দেশ হয়।

বাঙলানাট্যরীতি অনুসরণ করে আপনি নিজেকে ভেঙেছেন অনেকবার। বারে বারে উত্তরণ ঘটেছে বাঙলানাটকের। এক সেলিম আল দীন ভেঙে জন্ম হয়েছে আরেক সেলিম আল দীন-এর। আপনি বলতেন ‘শিল্প কৌশল কখনোই শিল্প নয়, শিল্পের ভেতরে প্রোথিত বোধ ও উপলব্ধিই প্রকৃত শিল্প। তবে বোধ ও উপলব্ধি তৈরি করার জন্যে চাই উপযুক্ত শিল্প কৌশল’। এই ভাবনার যথার্থতা পর্যবেক্ষণে যৈবতি কন্যার মন নাটকের শরীর জুড়ে বিছিয়ে দিলেন বাঙলানাট্যের বর্ণনারীতি যার নাম দিলেন কথা-নাট্য। এ নাট্যে মিথের ভেতর দিয়ে কালিন্দি ও পরীর জন্ম হয় এবং তাদের মৃত্যুর বর্ণনায় তৈরি হয় অন্য এক মিথ। গদ্যে কাব্যের সংশ্লেষণ বা কাব্যে গদ্যের সংশ্লেষণ নিয়ে অনেকরই সংশয় থাকলেও আপনি সবই ভুল প্রমাণ করলেন। এ নাট্যে আপনি গদ্যে কাব্যের ফিউশন ঘটিয়ে যে বর্ণনা রচনা করলেন তার গীতল ব্যাঞ্জনা কাব্যেরও অধিক, গদ্যেরও অধিক। আপনাকে আমি ‘ফিউশন তত্ত্ব’ নিয়ে কথা বলতে শুনেছি। আপনার নতুন শিল্পভাবনা এই ‘সংশ্লেষণ তত্ত্ব’। যেখানে লেখকের রচনার নিউক্লিয়াসে থাকবে তার মুল ভাবনা আর ভিন্ন অরবিটে থাকবে ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা। সে ভাবনা হতে পারে কোনো অনুজ্জ্বল তারকার, বা নদীর ঢেউ বা অপরিচিত মানুষের মুখ। রচনার নিউক্লিয়াসের সাথে তার কোনো তাৎক্ষণিক সম্পর্ক না থাকলেও প্রাকৃতিক ফিউশন তা ‘আলটিমেটলি’ রচনার অংশ করে তুলবে। নিমজ্জন নাটকটি আপনি লিখেছেন ‘ফোর রিয়েলিজম’ বা ‘সম্মুখ বাস্তবতার’ নিরিখে। এইসব জটিল ভাবনা আপনাকেই মানাতো সেলিম ভাই। আমরা ছিলাম কেবল আপনার শিল্পভাবনার ফলভোগী। আপনি ছিলেন বৃক্ষের মত- ফলও দিতেন ছায়াও দিতেন।

আপনি লেখক হিসেবে সবচেয়ে উচ্চাসন দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথকে। আপনি প্রায়শই বলতেন ‘ব্রিটিশরা আমাদের দুশো বছর চাপকেছে বলে শেক্সপীয়র আমাদের কাছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ লেখক। উল্টো আমরা যদি ওদেরকে নিদেন পক্ষে চড়ের ভয়টাও দেখাতে পারতাম তবে রবীন্দ্রনাথই হতেন বিশ্বসেরা লেখক’। রবীন্দ্র সাহিত্যে এই অগাধ বিশ্বাসই আপনাকে এনে দিয়েছে রবীন্দ্র-উত্তর শ্রেষ্ঠ বাঙালি নাট্যকারের স্বীকৃতি।

হাত হদাই-এর প্রধান চরিত্র আনার ভাণ্ডারির মতো আপনারও খুব মৃত্যু ভয় ছিল সেলিম ভাই। আপনি নিজেও জানতেন আরো কত কত দিন আপনার বেঁচে থাকার দরকার ছিল। অন্বিতার রুগ্নতার বেদনায়, আপনি নিজেকে রুগ্ন করলেন ঈশ্বরকে বেদনার্ত করার জন্যে, আমাদের মুখগুলো কি আপনার মনে পড়লো না ..

ইতি আপনার স্নেহধন্য
মাসুম

মাসুম রেজা: নাট্যকার। সদস্য দেশ নাটক