Full premium theme for CMS
সব আছে শুধু তুমি নাই
Блогът Web EKM Blog очаквайте скоро..
বটু,
জীবনসায়াহ্নে তোমার একবার ইছাপুরা যাওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল। গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারি নি, তাই নিয়ে যাওয়া হয় নি। কিন্তু বটু, যে ইছাপুরা তুমি দেখেছো ২৫ বছর আগে, সেই ইছাপুরা আর নেই। এখন আর সদরঘাট থেকে লঞ্চে ইছাপুরা যেতে হয় না। বুড়িগঙ্গা-ধলেশ্বরী পাড়ি দিয়ে এখন আর তালতলা লঞ্চঘাটে নামতে হয় না। তালতলা বাজারে চা-টা খেয়ে কেরায়া নৌকায় ইছাপুরা যেতে হয় না। যে বর্ষাকাল তুমি দেখেছো বিক্রমপুরে, এখন আর সে রকম বর্ষাকাল হয় না। এখন সব পাকা রাস্তা- বাস, গাড়ি, রিকশা এসব চলে।
কেরায়া নৌকা নাই, মাঝি শব্দটিও বিলুপ্তির পথে, খালেক মাঝিও চলে গেছে ওপারে। হ্যাঁ, তোমার প্রিয় খালেক মাঝি- তোবরানো গাল, কোঁকড়ানো বাবরি চুল, লগির মতো একহারা গড়নের খালেক মাঝি। আচ্ছা বটু, হোসেন মিয়াকে তোমার মনে আছে? হাঁড়ি-পাতিল-লাকড়ি নিয়ে যে নৌকায় উঠত; নৌভ্রমণে নৌকাতেই রান্না হতো আর সেই কাজটি করত হোসেন মিয়া।
না, এখন আর বুক পর্যন্ত নিমজ্জিত ধানগাছে ফড়িং দেখা যায় না। সন্ধ্যার পর পোড়া গঙ্গা দিয়ে যখন নৌকা যাচ্ছিল, শো শো বাতাসের শব্দ, তুমি একটি সিগারেট ধরালে, চুপচাপ জনমানবহীন অন্ধকার বিলের দিকে তাকিয়ে রইলে, যেন আমরা কোনো অচিনপুরের যাত্রী।
বটু, মিঠুসারে আদিনাথের ভিটেবাড়ির অস্তিত্ব আর নেই, যেখানে ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা মিটিং করত, পরামর্শ করত, যা ছিল এক নিরাপদ ঘাঁটি। আর যেখানে দু’দিনের খেলাঘর গড়ে উঠেছিল ইয়াকুব-রেহানার।
বটু, ‘ভেসাল’ থেকে জ্যান্ত লাফানো মাছ কেনা ছিল তোমার প্রিয় শখ। খালের বিশেষ বিশেষ মোড়ে ভেসাল পাতা হতো, তিনটি বাঁশে জাল বাঁধা থাকত, আর বাঁশের গোড়ায় পাড়া দিলে মাছসহ জাল উপরে উঠে আসতো। এ এক অপূর্ব কৌশল। আর দৃশ্যটি তুমি দারুণ উপভোগ করতে। ‘নলা’ মাছের চেয়ে বড় আর রুই মাছের চেয়ে ছোট- ওই সাইজের মাছকে বিক্রমপুরে বলে ‘গরমা’ মাছ। কারণ, ওটাকে ‘নলা’ বললে নলাকে বেশি সম্মান করা হয়। আবার রুই বললে রুইকে অপমান করা হয়। মাছের নামকরণের ক্ষেত্রে বিক্রমপুরবাসীর এই অনুপুক্সক্ষ বিবেচনা তোমাকে তো মুগ্ধ করে।
বটু, ভাদ্র মাসে খোয়াজ খিজিরের ভেলা-ভাসানীর মেলা দেখতে সিমপাড়া গিয়েছিলে। সারারাত সিমপাড়া বাজারের ঘাটে খালেক মাঝির নৌকায় বসে এই উৎসব আমরা উপভোগ করছিলাম। কলাগাছের তৈরি ভেলায় মোমবাতিতে সারা বিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছিল। বাজারের দিকে এগিয়ে আসা ভাসমান আলোগুলো এক অপূর্র্ব দৃশ্যের অবতারণা করেছিল। বাদ্যকরের অবিশ্রান্ত বাজনার শব্দে সমগ্র এলাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠল।
আরেকবার, আশ্বিন মাস, দুপুরে খেয়ে-দেয়ে সপরিবারে নৌকায় আমরা সিরাজদিখান রওনা হলাম। বিশাল নৌকাবাইচের আয়োজন। ধলেশ্বরীর পাড়ে লোকে লোকারণ্য। তুমি নৌকার ছইয়ের ওপর উঠে বসলে। উত্তেজনাকর এই নৌকাবাইচ শেষ হতে প্রায় সন্ধ্যা। বটু, এসব কি তোমার মনে পড়ে?
বটু, সুজানগর দত্তবাড়ির কথা মনে আছে? অজিত বাবু, সুধাংশ বাবু, সুদেব বাবুর কথা? আর প্রভাংশুর কথা? যাকে খুন করে ইছাপুরা বাজারের গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পরিবারের লোক লাশ শনাক্ত করেছে। শ্রাদ্ধাদিসহ সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়েছে। তার স্ত্রী শাঁখা ভেঙে ফেলেছে, সিঁদুর মুছে ফেলে বিধবার বেশ ধারণ করেছে। সেই প্রভাংশু দিন পনেরো পর সশরীরে বাড়ি এসে হাজির। কিন্তু হতভাগ্য প্রভাংশু মাস ছয়েকের মধ্যে অসুস্থ হয়ে সত্যি সত্যিই মরে গেল। মাঘী পূর্ণিমায় দত্তবাড়ির বার্ষিক নামকীর্তন উৎসবে আমরা গিয়েছিলাম। ভূরিভোজন করালো, রাতভর গান শুনলাম, সকালে আবার গরম গরম লুচি-তরকারি খেয়ে বিদায় নিলাম। বিশাল বাড়ি, অনেক দালান-কোঠা, শান বাঁধানো বিরাট পুষ্কুরিণী। কিন্তু এখন আর দত্তবাড়ি নেই, দত্তরাও নেই, দালান-কোঠা কিছুই নেই; খাঁ-খাঁ ময়দান। ১৯৭১-এর যা হওয়ার কথা ছিল তা হলো না, যা হওয়ার কথা ছিল না তা-ই হলো। কেমন সব ওলটপালট হয়ে গেল, পরিচিত লোক অপরিচিত হয়ে গেল, কাছের লোক দূরের হয়ে গেল।
বটু, বীরেন বাবু এখন বিপত্নীক। মাস্টারি থেকে অবসর পেয়েছেন। হাঁটাচলায় অপারগ, ভগ্ন স্বাস্থ্য। বাড়িতে পড়ন্ত বিকেলে ইজি চেয়ারে বসে উদাস নয়নে তাকিয়ে থাকেন- হয়তো অতীত দিনের সোনালি স্মৃতিগুলো রোমন্থন করেন।
ইছাপুরা বাজারে প্রশান্ত ডাক্তারের চেম্বার। এই চেম্বারে ডাক্তারির চেয়ে আড্ডাই বেশি; আর কাপের পর কাপ চা আসে। এই আড্ডায় তুমিও জমে গেলে। আর এভাবেই ‘কালো বরফ’-এ এলো নরহরি কবিরাজ। গ্রামে তার ভালো পসার। পান-টান করেন, হেলে-দুলে হাঁটেন, আমুদে মানুষ। তিনিও একদিন দেশ ত্যাগ করলেন।
কলেজের দুই তরুণ- ইমদাদুল আর প্রভাত। ছায়ার মতো তারা তোমায় অনুসরণ করে। ওদের নিয়ে তুমি লৌহজং ঘুরে এলে; ‘মাসিক বিক্রমপুর’-এ তোমার সাক্ষাৎকার ছাপল ওরা। ইমদাদুল এখনো ‘মাসিক বিক্রমপুর’ বের করে; শিক্ষকতা ছাড়াও গ্রামের নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত। আবার তবলিগেও যায়। আর প্রভাত দত্ত ব্যস্ত অধ্যাপক। ওর ছেলেটি দারুণ মেধাবী। সুখী গৃহস্বামী। তার জ্বালা-যন্ত্রণার অবসান হয়েছে, সেই সঙ্গে কাব্যচর্চারও।
সেবার (১৯৮৩) এলে ফাল্গুন মাসে। কলকাতায় এক মাস কাটিয়ে সদ্য ফিরেছো। তোমাকে অন্য রকম লাগছে, একটু অচেনা লাগছে- মন উচাটন, অন্যমনষ্ক। কোলাহল ভালো লাগে না, হইচই ভালো লাগে না- শুধু প্রকৃতি আর নির্জনতা। তোমায় শিয়ালদী নিয়ে গেলাম- নিভৃত পল্লী। আবেগ ভরে গল্প করছো তুমি। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়, তিন দিন কেটে গেল। আমি বললাম, প্রেমে পড়েছো বুঝি- তুমি শুধু আধখানা হাসলে।
বটু, এখনো ইছাপুরায় ফাল্গুনে আমের বনে ঘ্রাণে হৃদয় আকুল করে, জ্যৈষ্ঠে বউ-কথা-কও পাখি অধীর আকুলতায় ডেকে যায়। যাওয়ার আগে গ্রাম্য ডাক্তার দীনেশ ইছাপুরা-কাঁঠালতলির সংযোগস্থলে যে বটের চারাটি রোপণ করে যায়, সেটি অনেক বড় হয়েছে; আরো বেশি ছায়া দেয়। ভাদ্র মাসে চান মস্টস্নানের মাজার কেন্দ্র করে এখনো ভেলাভাসানী মেলা বসে। আশ্বিনে ধলেশ্বরীতে সাড়ম্বরে নৌকাবাইচ হয় বটু, শুধু তুমি নাই।
বটু, সব সেরকমই আছে, শুধু তুমি নাই। এলিফ্যান্ট রোড আছে, জিগাতলা আছে, লালবাগ আছে, কিন্তু সেখানে আর বটু থাকে না। তোমার বাসা বদল হয় গেছে বটু। সেই বাসার নম্বর নাই, টেলিফোন নম্বরও নাই, সেই বাসার ঠিকানা কেউ জানে না। সুদূর কানাডা থেকে আলভী আর জানতে চায় না, ‘নানা, তুমি কেমন আছো?’ আমার ফোন এখনো বাজে। আত্মীয়ের ফোন আসে, বন্ধুর ফোন আসে, স্নেহভাজন-শুভাকাঙ্ক্ষীর ফোন আসে, কিন্তু একটি ফোন আর আসে না।
বটু, আমি এখনো রয়ে গেলাম। এক নিঝুম রাতে নিঃশব্দে চলে গেলেন কিরণদা। বিশ্ব ভবঘুরে বেণু চলে গেল কারো কাছ থেকে বিদায় না নিয়েই। ঘুম থেকে উঠে বাসি মুখে চায়ে শেষ চুমুক দেওয়ার আগেই সোফায় ঢলে পড়ল মাহতাব। হুইল চেয়ারের বাসিন্দা হয়ে টিম্টিম করে জ্বলছে মানিক। তোমার চলে যাওয়ার পর মাহবুব সাদিক একবারই ফোন করেছিল; তার আগেও চুপ পরেও চুপ। অথচ ভাবতে অবাক লাগে, আমরা এক শহরেই আছি। আচ্ছা বটু, তোমার কি প্রফেসর হালিমকে মনে আছে? নারায়ণগঞ্জে যার বাড়িতে আমার বিয়েতে তুমি বরকর্তার ভূমিকা পালন করেছিলে- আনন্দময় অবসর জীবন ভোগ করছেন তিনি।
বটু, সব আগের মতোই আছে- রাতের পর দিন আছে, বর্ষণমুখর শ্রাবণ আছে, ঢাকার যানজট আছে, ঈদও এসেছে, শুধু তুমি নাই। নরসিংদী আছে, জয়কালী মন্দির থেকে এসি বাস আছে, শুধু আমাদের একত্রে যাওয়ার প্রোগ্রাম নাই।
বটু, একসঙ্গে অনেকটা পথ হাঁটলাম আমরা। ৭ মার্চ তোমার ১৫ নম্বরের বাসায় দুপুরের আহার হলো। দেরি না করে বেরিয়ে পড়লাম, যাতে মিটিংয়ের এক ফোঁটাও মিস না করি। সারা রাস্তা হাঁটতে হাঁটতে গেলাম, রিকশা পাওয়া গেল না, মিছিলের পর মিছিল যাচ্ছে রেসকোর্স ময়দানে। একসময় দেখলাম, আমরাও এক মিছিলের সঙ্গে আছি। একটি ঘোষণা আমরা শুনতে চেয়েছিলাম- সেই ঘোষণাটিই দিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তারপর মোনাজাত ধরলেন মওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ। সারা বুকবিস্তৃত সফেদ দাড়ি, নূরানি চেহারা, দরাজ কণ্ঠ, অপূর্ব শব্দ বিন্যাস- এক প্রবীণ দেবদূত বাঙালির জীবন-মরণের এই সন্ধিক্ষণে মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে রহমত কামনা করলেন। মনে হলো, যেন আল্লাহর আরশে এই প্রার্থনা পৌঁছে গেল। বটু, ২৫শে মার্চও আমরা সারাদিনই একসঙ্গে। সারা বিকেল রেক্স-এ আড্ডা- শহীদ কাদরী, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মাহবুব সাদিক, আরো কেউ ছিলেন। সন্ধ্যার আগেই মাহবুব সাদিক টাঙ্গাইলের লাস্ট বাস ধরতে চলে গেল। ইলিয়াস গেল খুলনার ট্রেন ধরতে। সন্ধ্যার পর স্টেডিয়ামের টিকিট কাউন্টারের ছাদে নূরে আলম সিদ্দিকী আর শেখ শহীদ স্বল্পস্থায়ী এক সভায় বক্তৃতা দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। পল্টন ময়দানে তখন মেনন-কাজী জাফরের মিটিং চলছে। আমরা সেখানে গিয়ে দাঁড়ালাম। ওরাও তড়িঘড়ি মিটিং শেষ করে চলে গেল। বুঝতে আর বাকি রইল না, মহাপ্রলয় আসন্ন। সাড়ে ৭টার দিকে আমরাও যে যার বাড়ির দিকে রওনা হলাম।
বটু, ১৬ ডিসেম্বর আমি ছিলাম বিক্রমপুরে, আমার গ্রামে। আর তুমি ঢাকায়। তোমার সঙ্গে সেইদিনের অনুভূতি শেয়ার করতে পারি নি। তবে অচিরেই অনেক প্রিয় মানুষ এবং আমার অনেক শিক্ষকের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সংবাদে বিজয়ের আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। বিশেষ করে মুনীর চৌধুরীর কথা শুনে আমি একেবারে ভেঙে পড়ি। ঢাকায় এসে প্রথমেই মুনীর স্যারের সেন্ট্রাল রোডের বাড়িতে যাই। আমার সঙ্গে ছিলেন ইছাপুরা কলেজের প্রিয়লাল বাবু। সেখানে বিস্তারিত জানতে পারি, কীভাবে স্যারকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। বটু, তোমার নিশ্চয়ই মনে আছে, মুনীর চৌধুরীকে শিক্ষক হিসেবে পাব বলেই আমি বাংলা বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম।
বটু, ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক খবর শুনলাম ইছাপুরা বাজারে, রেডিওতে। আর, তুমি মোহাম্মদপুরের বাসায়। এভাবে ৭ মার্চ, ২৫ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, ১৫ আগস্ট আমাদের জীবনের ওপর দিয়ে পার হয়ে গেল। এত কিছুর মধ্যেও যে মরি নি, সে এক আশ্চর্য ব্যাপার। বরং আরো অনেক কিছু দেখার জন্য বেঁচে রইলাম।
বটু, তারপর সেই ডাক এলো, ১৯৮৪-এর শেষ দিকে। আমরা এক জায়গায় স্থিত হলাম। দৈনন্দিন বাস্তবতা ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক হতে লাগল। পরিচিত জগৎ-সংসার গুরুত্বহীন হয়ে গেল। মনের ভেতর এক অনির্ণেয়-অব্যক্ত ব্যাকুলতা। যে জগৎ প্রত্যক্ষ, তা-ই শেষ কথা নয়, দৃশ্যমান জগতের আড়ালেও আরেক জগৎ। স্বজন, সুহৃদ, সাহিত্য সবকিছু থেকে গুটিয়ে নিলে নিজেকে- একা, নিঃসঙ্গ, নিরুদ্দেশ।
সারা দোতলায় তুমি একা। রাত ১-৩০টায় বুকে ব্যথা শুরু হলো। তোমার গোঙানির শব্দে নিচে থেকে শাহিদা-হামিদা ছুটে এলো। সারা শরীর বেয়ে দরদর করে ঘাম ঝরছে, প্রচণ্ড অস্থিরতা, ফুল স্পিডে পাখা চলছে, ওরা দোয়া-দরুদ পড়ছে, চামচে করে মুখে পানি দিচ্ছে। পানি ঠোঁট বেয়ে গড়িয়ে পড়ল, তখন রাত ২-২০ মিনিট- সব শেষ।
২১ জুলাই, সকালবেলা। লালবাগের বাসার ছাদে সাদা চাদরে ঢাকা তুমি। নিরাপদ তন্দ্রাায় আচ্ছন্ন। তোমার বোজা ঠোঁটে এক অন্তহীন রহস্যময় হাসি।
বিঃদ্রঃ কথাশিল্পী মাহমুদুল হক পরিচিত মহলে বটু নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।
[লেখাটি দৈনিক সমকালের সাহিত্য সাময়িকী ‘কালের খেয়া’য় ছাপানো হয়। ‘কালের খেয়া’র সম্পাদকের সম্মতি নিলেও লেখকের সম্মতি নেয়া যায় নি। আশা করছি লেখক এটাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]
আহসান উল্লাহ খান: শিক্ষক। মাহমুদুল হকের আজন্ম বন্ধু