Full premium theme for CMS
উৎসব মুখর থিয়েটার অঙ্গন আর থিয়েটার ফেডারেশান
Блогът Web EKM Blog очаквайте скоро..
স ম্পা দ কী য়
শোককে শক্তিতে রূপ দেয়ার ব্যাপারটা নিয়ে অনেক কথা হয়, কেবলি মুখের কথা হিসেবেই তা থাকে যেন, কাজে প্রকাশ তেমন একটা পায় না। কিন্তু এর ভিন্নতাও ঘটে। ঘটেছে বলে অন্তত মনে হচ্ছে যেন।
গত ২/৩ বছর আমাদের থিয়েটার ও সাহিত্য-সঙ্গীতাঙ্গনে বেশ একটা শোকের ধাক্কা বইয়ে গেছে। আমাদের দেশের থিয়েটার চর্চার অগ্রজ আর তরুণ আর বাংলা সাহিত্য-কবিতা-সঙ্গীত কিংবা অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ বেশ ক’জন প্রতিভাধর ব্যক্তিকে আমরা হারিয়েছি। মূল্য বিচার না, কেবল পরিসংখ্যানের বিচারেই এটা এত বড় হয় যে ভাবলে শিউরে উঠতে হয়। হুটহাট করে যেন বিদায় নিলেন তাঁরা একে একে। কার আগে কে যাবেন, এমন একটা ভাব যেন। শামসুর রাহমান আর ওয়াহিদুল হক তো গেছেনই, এরপর বিন্দুমাত্র পূর্বাভাস না দিয়ে চলে গেলেন শহীদুল জহির, যাওয়া যেন আর থামে না- সমুদ্র গুপ্ত আর মাহমুদুল হক আর সঞ্জীব চৌধুরী আর মাহবুব উল আলম চৌধুরী আর আলাউদ্দিন আল আজাদ আর ভাষা সৈনিক গাজীউল হক আর নারীনেত্রী- যাকে কিনা সমাজনেত্রী বলতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি বেশি, সেই হেনা দাসও চলে গেলেন। এ-ও তো সত্যি, কোনো না কোনোভাবে নিজের অজান্তেই দু’একজনের নাম হয়তো স্মরণেই আসলো না- শোকে স্মরণ কমে যাওয়াও যেন এক নিয়তি! এই চলে যাওয়ার শোককে কোনো না কোনোভাবে ভাগ করে নিয়েছে সব শিল্পীশ্রেণী। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সবচেয়ে সংগ্রামী যে মাধ্যমটি, নাগরিক থিয়েটার, তার ‘আইকন’গুলো যে চলে গেলেন তার শূণ্যতার কী হবে! বলা নেই কওয়া নেই ২/১ দিনের ‘নোটিশে’ চলে গেলেন সেলিম আল দীন, তারপর আব্দুল্লাহ আল-মামুন আর জিয়া হায়দার- মাঝে আবার তরুণ জগলুল আলমও নেমেছে প্রতিযোগিতায়, যদিও সে-ই সবার আগে জানান দিয়েছিল তার চলে যাবার কথা- বড় ভালো ছেলে, কষ্ট পেয়েছে, কষ্ট দিয়েছে, জানিয়ে গেছে গেছে- কষ্টের যে ‘আনন্দ’ তার তুলনা হয় না! এরপর আসকার ইবনে শাইখ- যাঁর সান্নিধ্য এ-প্রজন্মের কেউ-ই হয়তো পায় নি, শুনেছি, সেটা স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনৈতিক দর্শনগত কারণেই, তবে এ-ও সত্য, আমাদের স্বাধীনতা-উত্তর নাট্য-আন্দোলেন পথিকৃৎ প্রায় সকলেরই ‘নাগরিক থিয়েটারে’ হাতিখড়ি হয়েছিল তাঁরই হাতে।
শোককে শক্তিতে রূপ দেয়ার ব্যাপারে সংশয় থাকে, কিন্তু এই সংশয় কাটিয়ে উঠলো থিয়েটারওয়ালারা। গত ২/৩ বছরে আমরা হারিয়েছি অনেক, উজ্জীবিত হয়েছি তার চেয়ে অধিক। নতুন নতুন নাটক, নতুন নাট্যদলের নাটক সবচেয়ে বেশি এসেছে এ ক’টি বছরেই। থিয়েটারপাড়া, বিশেষ করে শিল্পকলা একাডেমীর নাট্য-প্রাঙ্গণ নাট্যজনদের আনন্দমুখর পদচারণায় মুখরিত থাকছে সর্বক্ষণ। শোক নিয়ে বিলীন হয়ে যাওয়ার পক্ষে নেই নাট্যজনরা। তাই তো সেলিম আল দীনের মৃত্যু-পরবর্তী তাঁর প্রথম জন্মদিনকে উপলক্ষ করেই এক বিরাট নাট্যোৎসবের আয়োজন করলো ঢাকা থিয়েটার। আয়োজনে আরও ছিল ডকুমেন্টারি ফিল্ম আর দীর্ঘ কয়েকটি সেমিনারও। এই আয়োজন দেখে বোঝার উপায়ই ছিল না যে, সেলিম আল দীন আমাদের মাঝে নেই। বোঝা না যাওয়াটাই জরুরি, সৃজনশীল মানুষের ‘সৃষ্টি’ই তো তাঁর উপস্থিতি। এরপর আগের বছরের ধারাবাহিকতায় এস এম সোলায়মানকে উপলক্ষ করে দ্বিতীবারের মতো রঙ্গমাতন সোলামান মেলায় নাট্যজনদের সৃজনশীল উদ্দামনৃত্য আর এবছর শুরু থেকেই একের পর নাট্যোৎসব যেন ঢাকার মৃতপ্রায় থিয়েটারকে আবারও জাগিয়ে তুললো। সুবচনের নাট্যোৎসব, প্রাঙ্গণে মোর আর সংলাপ থিয়েটারের শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথের নাটক নিয়ে নাট্যোৎসব, আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে নিয়ে নাট্যোৎসব, চে গোয়েভারের জন্মদিনকে উপলক্ষ করে কেবল একটি নাটক চে’র সাইকেল-র টানা ৫ সন্ধ্যার মঞ্চায়ন আর দ্বিতীয়বারের মতো সেলিম আল দীন জন্মজয়ন্তী নাট্যোৎসব- এসবই শোককে ভুলে সৃজনশীল উদ্দামতার স্মারক। আরও শুনছি আরণ্যক নাট্যদল তার ৩টি নাটকের শততম মঞ্চায়ন নিয়ে উৎসব করবে অক্টোবরে। কেবল তাই নয়, এ বছর শুরুতেই বিভিন্ন দলের নতুন নাটক মঞ্চে আনার প্রবণতাও আশার আলো দেখায়। মহাকালের অহম তমসা, উদীচীর হাফ আখড়াই, ঢাকা থিয়েটারের ধাবমান, আরণ্যকের এবং বিদ্যাসাগর, নাগরিকের কাঁঠালবাগান-এর পথ ধরে আব্দুল্লাহ আল-মামুন আর সেলিম আল দীনের নাট্যোৎসবে নিজ দলের বাইরে শপথ, সেনাপতি, বিবিসাব কিংবা হরগজ, পুত্র আর প্রাচ্য-র মঞ্চায়ন থিয়েটার উদ্দীপনারই চালচিত্র। উদ্দীপনা অনেকটা ‘ছোঁয়চে রোগ’, ছড়িয়ে যায় আগুনের হল্কার মতো, জনে জনে, দলে দলে। উল্লেখিত উদ্দীপনার সবটাই হয়েছে দল বা সংগঠনকেন্দ্রীক। আর তার সাথে আগ বাড়িয়ে এই উদ্দীপনাকে গতিময় করেছে শিল্পকলা একাডেমী। সরকারি সংস্থা হয়েও এমন থিয়েটার-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইতিবাচক মনোভাব যেন আশার আলো আরও ছড়িয়ে দেয়।
কিন্তু ‘মজার’ ব্যাপার হলো, থিয়েটার দলগুলোর সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম, গ্রুপথিয়েটার ফেডারেশানও এবার নেমেছিল উদ্দীপনায়। তবে আর আর উদ্দীপনার সাথে ফেডারেশানের উদ্দীপনার বেশ তফাৎ আছে, এর উদ্দীপনার মূল কেন্দ্র হলো নির্বাচন। ২/৪ বছর পর পর হঠাৎ করেই তার আগমন ঘটে মঞ্চপাড়ায়। আর বাকি সময় তার তেমন কোনো ‘কাজ’ থাকে না। এই যে এত এত নাট্যোৎসব কিংবা মেলা-সেমিনারের কথা হলো, তার একটিতেও এই ফেডারেশানের কোনো ভূমিকা নেই। যদ্দুর মনে পড়ে ২০০৪ সালে, শিল্পকলার পরীক্ষণ হলের উদ্বোধনকালে মাসব্যাপী এক নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছিল। বেশ জাঁকজমকই ছিল সেই আয়োজন। কিন্তু ওখানেই শেষ। তারপর একবার পুরান ঢাকার একটা মঞ্চকে হৈ হুল্লোর করে জনপ্রিয় করার ব্যর্থ প্রয়াস অবশ্য নিয়েছিল আর নিয়েছিল দেশের বন্যা কিংবা অন্য যেকোনো দুর্যোগের সময়ে রাস্তায় রাস্তায় দান খয়রাত তোলার আয়োজন। কিন্তু তার যে প্রকৃত কাজ, থিয়েটার সংস্কৃতিকে চাঙ্গা করা, সেই কাজে তার বড়ই অনীহা। থিয়েটার দলগুলোর মহড়া কক্ষ ইস্কাটন স্কুল বেদখল হয়, তার কোনো সাড়া নেই। দিনের পর দিন মহিলা সমিতি তাদের হল ভাড়া বাড়াতে থাকে, তার কোনো সাড়া নেই। মঞ্চায়নের সময়, সন্ধ্যার সময়, মঞ্চে লোড শেডিং চলবে, তার কোনো সাড়া নেই। নতুন নাটকের মঞ্চায়ন হবে- কয়েকটি কারিগরি প্রদর্শনী আর টানা মঞ্চায়ন দরকার, সে নীরব নিথর হয়ে না দেখার ভান করে। এমন একটি শক্তিশালী ফেডারেশান অকার্যকর হয়ে পড়ার কারণ আছে, কারণটি হলো, সে জানে না তার আসলে কর্তব্য কী। ওখানে যারা নেতৃত্বে থাকেন তাদের বেশিরভাগই নিয়মিত থিয়েটার চর্চার সাথে জড়িত নন। ফলে প্রকৃতপক্ষে নাট্যদলগুলোর মূল চাহিদা অনুধাবনে তারা ব্যর্থ হন। মনে রাখা জরুরি, একটি নাট্যদলের পক্ষে যা যা করা সম্ভব তা নিয়ে তার মাথা না ঘামালেও চলবে, তাকে মাথা ঘামাতে হবে একটি দল এককভাবে যা যা করতে পারে না, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করা। মহড়া কক্ষের অভাবে কী হয়, নিয়মিত হল বরাদ্দ না পেলে কী সমস্যা হয়, নাটকের শুরুতেই মঞ্চে আলো চলে গেলে কী সমস্যা হয়, নতুন নাটক মঞ্চে আসার সময় কারিগরি প্রদর্শনী না করলে কী সমস্যা হয়, নাট্যোৎসবে দেশের বাইরের নাট্যদলগুলো আনতে গেলে কী সমস্যা হয়- এসব বুঝতে হলে ফেডারেশানকে নেতৃত্ব দিতে হবে তাদের, যারা নিয়মিত থিয়েটার করেন।
অন্যবারের মতো এবারের নির্বাচনেও বেশ চাঞ্চল্য দেখা গেছে। শিল্পকলা যেন এক উৎসবমুখর পরিবেশের ছায়ায় ঢেকে গেল। অন্তত ঢাকায় যারা নিয়মিত নাটক করে সে-সব দলের অনেককেই দেখা গেছে দিনভর। তারা গেছে তাদের আগামী নেতাদের দেখতে, যাদের সাথে তাদের সচরাচর দেখা হয় না। অপরিচিত এই নেতাদের একবার চোখের দেখা অন্তত তারা দেখে নিয়েছে। যে ভোট চায়, যার কাছে চায়, তারা পরষ্পর জানে না কে কী করে, কার নাটক কখন কোথায় মঞ্চায়ন হয় বা আদৌ হয় কিনা। এবারই বোধহয় প্রথম পূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব গঠন হলো। আগে তা-ও হতো না। অগ্রজ কেউ কেউ ঠিক করে দিতেন, কে কোন পদের দায়িত্ব নেবে। এবার অন্তত সেটা থেকে মুক্তি পেল ফেডারেশান। এর ফলে অবশ্য থিয়েটার-বান্ধব নেতৃত্ব বাংলাদেশের নাটক পেল কিনা সে প্রশ্ন থেকেই গেল।
শোককে শক্তিতে রূপ দেয়ার মতো, ব্যর্থতাও হতে পারে সফল হওয়ার শক্তি। আগে অনেক ব্যর্থতা ছিল, সেগুলো যদি কাটাতে পারে বর্তমান নেতৃত্ব, তবেই ফেডারেশান হবে থিয়েটার-বান্ধব। এটার প্রয়োজন আছে। ফেডারেশানের মতো এত বিশাল একটা সংগঠন থিয়েটার বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারে না, থাকতে দেয়া যায়-ও না। সফল হতে গেলে নতুন নেতৃত্বকে প্রথমে পূর্বের ব্যর্থতার কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। তাদের কাজকে নির্দিষ্ট করতে হবে। তাদের কাজ নির্দিষ্ট করার জন্য, যারা নিয়মিত নাটক করে তাদের সাথে বসতে হবে, আড্ডা মারতে হবে। তাদের ভাষা বুঝতে হবে। প্রথমে এটুকু কাজ করতে হবে, যেসব খুটিনাটি কাজের জন্য এককভাবে নাট্যদলগুলো বিপাকে পড়ছে, সেগুলোর সমাধান করা। এধরনের কয়েকটা কাজের কথা বলা যেতে পারে। ধরা যাক হল বরাদ্দের ব্যাপারটা। মহিলা সমিতির প্রসঙ্গ তুলতে রুচিতে বাধে, ফলে শিল্পকলা একাডেমীর কথাই ধরা যাক। প্রতিমাসে সেখানে হল বরাদ্দ দেয়া হয়। যারা নাটক করে, তাদের জীবিকার তাগিদে অন্যত্র ব্যস্ত থাকতে হয়। পূর্ব নোটিশ ছাড়া বরাদ্দ সময়ে নাটক করা তাদের অনেকের অনেক সময় সম্ভব হয় না। ফলে মাত্র ১০/১২ দিনের নোটিশে নাটক করতে না পারার কারণে দল ও সে নিজে বিব্রতকর অবস্থায় পরে। অথচ এই হল বরাদ্দটি যদি প্রতি ৬ মাসে পরবর্তী ৬ মাসের জন্য হয় তাহলে একটি নাট্যদল ও তার কর্মীরা ৬ মাসের একটা থিয়েটার সিডিউল তৈরি করতে পারে। একজন নাট্যকর্মী ৬ মাস ধরেই জানতে পারে কবে কোন হলে কোন নাটকের প্রদর্শনী হবে। তার জীবিকার জন্য আর আর যেখানে যেতে হয় তার সাথে সে থিয়েটারের সিডিউল মিলিয়ে নিতে পারে। ফলে কোনো নাট্যকর্মীর অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে নাট্য-প্রদর্শনী বন্ধের আশংকাটি বন্ধ হয়। কাজটি তেমন কোনো কঠিন কাজ না। ফেডারেশানের নেতৃত্ব শিল্পকলা একাডেমীর সাথে কথা বলেই এর ব্যবস্থা নিতে পারে। পূর্বেই বলা হলো সংস্কৃতি-বান্ধব শিল্পকলা একাডেমী সব সময়ই চাইবে তার পরিবেশ যেন সর্বদাই থিয়েটারমুখর থাকে।
আরও কিছু কাজ আশু করা যেতে পারে। শিল্পকলা একাডেমীর মহড়া কক্ষগুলোর পাশাপাশি পূর্বে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ইস্কাটন গার্ডেন স্কুলটিতে আবার মহড়ার ব্যবস্থা করিয়ে দেয়া যেতে পারে। এ-ব্যাপারে সংস্কৃতি-বান্ধব মানুষের অভাব হবে না, বিশেষ করে ঐ এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য যখন রাশেদ খান মেনন। আরেকটি কাজের গুরু দায়িত্ব ফেডারেশানকে নিতে হবে। কোনো নাট্যদল যখন বড় ধরনের নাট্যোৎসব কিংবা কর্মশালা-সেমিনারের আয়োজন করে তখন দেশের বাইরের নাট্যদল বা প্রতিনিধি আনার প্রয়োজন পড়ে। তখন সরকারি অনুমতির প্রয়োজন হয়। এই অনুমতি জোগাড় করতে নাট্যদলগুলো মাথার ঘাম পায়ে ফেলেই দমতে পারে না, শেষ সময়ে অনুমতি না মেলার আশংকাতেও ভুগতে থাকে। ফেডারেশান এই দায়িত্ব নিতে পারে। যে-কোনো দল প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র ফেডারেশানের কাছে জমা দিয়ে যেন নিশ্চিন্ত মনে উৎসবের অন্যান্য কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পারে।
আরও কাজ বেরুবে, যদি নেতৃত্ব নাট্যদলগুলোর সাথে নিয়মিত আড্ডায় বসে। অভিভাবক না হয়ে বন্ধুর মতো যদি নিজে থিয়েটার করে এবং অন্যকে থিয়েটার করতে দিতে চায়। এর মধ্যে একটা কাজ ফেডারেশান করে নিতে পারে, যেটা এখন প্রধান ও প্রথম কা হওয়া উচিত। গঠনতন্ত্রে উল্লেখ করতে পারে যে, যদি কোনো নাট্যদল ২/৩ বছরে কমপক্ষে ১ টি নতুন নাটক মঞ্চে না আনে এবং পাশাপাশি বরাদ্দ দিনে নিয়মিত নাটক প্রদর্শনী না করে, তবে সেই দলের কোনো প্রতিনিধি ভবিষ্যতে ফেডারেশানের কোনো পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার যোগ্য হবেন না।
নেয়া যাবে এমন ‘সহজ’ সিদ্ধান্ত? নিতে পারলে ভালো, নইলে থিয়েটার-বান্ধবহীন থিয়েটার ফেডারেশানকে থিয়েটারওয়ালাদের কঠিন সিদ্ধান্তের সামনে পরতে হতে পারে।
ইতি
হাসান শাহরিয়ার
ভাদ্র ১৪১৬, অগাস্ট ২০০৯
সোবহানবাগ, ঢাকা