Full premium theme for CMS
অন্য চোখে আলাপন ।। প্রসঙ্গ : থিয়েটারওয়ালার আলাপনে নাট্যব্যক্তিত্ব [দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি]
Блогът Web EKM Blog очаквайте скоро..
[গত সংখ্যার (১৯) পর]
নাট্যমুখপত্র থিয়েটারওয়ালা আসলেই কিছু কাজ করছে; কাজগুলো চোখে পড়বার মতো, একটুখানি হোঁচট খাবার মতো এবং কারো কারো কাছে সমালোচনা করবার মতোও বটে। ইতোমধ্যে থিয়েটারওয়ালা পদার্পন করেছে অষ্টম বর্ষে। প্রতিনিয়তই থিয়েটারওয়ালার কলেবর বাড়ছে এবং বাড়ছে ভেতরের কন্টেন্টের বৈচিত্র্য। থিয়েটারওয়ালা অন্যান্য নাট্যমুখপত্রের মতো কেবলই সীমাবদ্ধ থাকে নি নাট্যবিষয়ক প্রবন্ধ-নিবন্ধ, নাটক অথবা পথনাটক ছাপবার মধ্যে। সম্ভবত শুরু থেকেই থিয়েটারওয়ালা ঢাকার উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা নিয়ে প্রায় নিয়মিত একটা আলাপনের ব্যবস্থা করতো এবং পরবর্তী সময়ে অনুলিখন করে সম্পাদিত আকারে সেইসব আলাপন ছাপাতো একটি ব্যতিক্রম সংযোজন হিসেবে। এরপর থিয়েটারওয়ালা আয়োজন করলো দর্শক বনাম নাট্যকার-নির্দেশক-ডিজাইনারদের মুখোমুখি কথোপকথনের। প্রথম আয়োজনটা অনুষ্ঠিত হলো শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল হলে। কয়েকশত দর্শক স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুখোমুখি হলেন প্রযোজনা সংশ্লিষ্ট মানুষদের। চমৎকার একটি মিথষ্ক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল। আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলাম দর্শক শুধু নাটক দেখেই ক্ষান্ত নন; এঁরা কথা বলতে চান নাট্যকার, নির্দেশক আর ডিজাইনারদের সঙ্গেও। বিষয়টি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। আমাদের দর্শক তা-হলে নাটক দেখেই ভুলে যান না যে- ‘আমি একটা নাটক দেখেছিলুম।’ দর্শক জানতে চান নাটকের প্রাসঙ্গিকতা, দর্শক বুঝে নিতে চান নাটকের কোথাও কোনো লয়, তাল কেটেছে কি না অথবা কোথায় তাঁর খটকা? থিয়েটারওয়ালার দর্শক বনাম কলাকুশলীর মুখোমুখি কথোপকথন, নাটক নিয়ে নতুন করে ভাববার সূত্রপাত ঘটায় এবং এই ভাবনা ধনাত্মক ভাবনা। প্রায় ৩৫ বছর যাবৎ এদেশে তাহলে এমনি এমনি নাট্যচর্চা হয় নি। এর একটা ইমপ্যাক্ট দর্শকদের মাঝে পড়েছে। দর্শকের প্রতিক্রিয়া, প্রশ্ন প্রক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে পরিশ্রমের পয়সা দিয়ে দর্শক অন্ধের হস্তি দর্শন করতে আসেন নি এবং আসেন না। দর্শক নাটকের মধ্যে কিছু দেখতে চান; সেই জন্যই দর্শকের টিকেট কেটে মঞ্চে নাটক দেখতে আসা। দর্শক কলাকুশলীর এই মিথষ্ক্রিয়াটি কিন্তু একেবারেই অনাবিষ্কৃত থেকে যেত যদি না থিয়েটারওয়ালা আয়োজন করতো এমন একটি মুখোমুখি আলোচনা অনুষ্ঠানের।
এরপর থিয়েটারওয়ালা পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দিলো আরো এক নতুন ভাবনার। সপ্তম বর্ষ ৩য় সংখ্যা থেকে পর পর ৩টি সংখ্যায় পর্যায়ক্রমে ৮ জন নাট্যব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলাপনের সূত্রপাত ঘটালো। এঁরা হলেন সাঈদ আহমদ, রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, আলী যাকের, মামুনুর রশীদ, সৈয়দ শামসুল হক ও ফেরদৌসী মজুমদার। প্রক্রিয়াটি দেখে মনে হচ্ছে এই আলাপন আরো হবে এবং এখানে আরো নাট্যব্যক্তিত্বের সমাবেশ ঘটবে। এটা ঘটা প্রয়োজনও বটে। একথা খুবই সত্যি যে, পশ্চিম বঙ্গে শম্ভু মিত্র অথবা উৎপল দত্তের জীবন এবং নাট্যকর্মের কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। এই সব প্রকাশনা থেকে আমরা তাঁদের জীবনের অনেক কিছুই জানতে পারি। কিন্তু বাংলাদেশে এই ধরনের বই প্রকাশিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। ফলে এই আলাপনগুলো পড়ে আমরা সেই অভাব বোধ করি কিছুটা হলেও মেটাতে পেরেছি।
আত্মজীবনী, স্কেচ আমাদের কৌতূহল মিটিয়েছে, সেজন্য আমরা তৃপ্ত, পরিতৃপ্ত। খুব সোজা কথায় বল্লে আলাপনের সাঈদ আহমদ পর্বটা ছিল সবচেয়ে বেশি কৌতূহলের। কারণ, তাঁর জীবন ও শিল্পকর্মের প্রায় অধিকাংশ সময় কেটেছে বিদেশে। অধিকাংশ পাঠকই তাঁর জীবন এবং শিল্পকর্ম সম্পর্কে জানতেন না। কিন্তু ওঁনাকে ছাড়া বাকি নাট্যজনদের ব্যাপারে সামান্য হলেও আমরা অবগত এবং তাঁদের নাট্যকর্ম সরাসরি দেখার সৌভাগ্য আমাদের অনেকেরই হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। সাঈদ আহমদের আলাপনের প্রেক্ষিতে যতটুকু বলার আমি থিয়েটারওয়ালার গত সংখ্যার ‘অন্য চোখে আলাপন’ পর্বে বলেছি। এ সংখ্যায় রামেন্দু মজুমদার ও আতাউর রহমানের আলাপনের উপর কিছু মন্তব্য করতে চাই, যদিও ‘অন্য চোখে আলাপন’ পর্বে অনেকেই ইতোমধ্যেই এসব আলাপনের ব্যাপারে আলোচনা-সমালোচনা করেছেন। আশা করছি পরের সংখ্যায় অন্যান্য নাট্যব্যক্তিত্বদের আলাপন নিয়ে কিছু বলবো।
রামেন্দু মজুমদার এ দেশের একজন সংগ্রামী নাট্য-নেতা। আমরা গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের জন্মলগ্ন থেকে এদেশে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শুধু মঞ্চ চাই দাবি নয়, অভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন বাতিলের দাবিসহ সংস্কৃতি কর্মকাণ্ডের জন্য যত প্রকার দাবি আমাদের রয়েছে, সেই সব দাবি আদায়ের সংগ্রামে রামেন্দু মজুমদারকে পেয়েছি অগ্রভাগে এবং আপেষহীন নেতা হিসেবে। শুধু দাবি আদায় নয়, সকল নাট্যব্যক্তিত্বের আলোচনায় উঠে এসেছে- একমাত্র রামেন্দু মজুমদারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আইটিআই-এর সদস্যভুক্ত হতে পেরেছে। শুধু সদস্য নয়, বলা যায় আজ বাংলাদেশ আইটিআই-তে অত্যন্ত যোগ্যতা এবং মেধার সঙ্গে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আজ বাংলাদেশে আইটিআই-এর উৎসবে পৃথিবীর অনেক দেশের নাট্যকর্মী তাদের নাটক এবং প্রতিনিধিত্ব নিয়ে বাংলাদেশে আসেন এবং বাংলাদেশও আইটিআই-এর আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানসমূহে অংশগ্রহণের বিরল সুযোগ পায়। রামেন্দু মজুমদার আইটিআই- এর জন্য পত্রের পর পত্র চালাচালি করেছেন বলেই না বাংলাদেশের নাটক বিশ্বনাটকের সঙ্গে এমন যোগসূত্র সৃষ্টি করতে পেরেছে। তাঁর এই অবদানের জন্য সকল নাট্যকর্মীর পক্ষ থেকে তাঁকে অভিনন্দন জানাই। কাজের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে আলাপনের এক পর্যায়ে রামেন্দু মজুমদার বলেছেন- কোনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির প্রত্যাশা করে আমি কাজ করি না। সে-জন্য আমার হতাশা কম। আমি কেবল কাজ করে যেতে চাই। সময়ই বলে দেবে আমি কিছু করতে পেরেছি কি না। তিনি আরো বলেন-রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি আমি পাই নি এবং সেটা পাবার কোনো সম্ভাবনা নেই। একুশে পদকের জন্য অনেক প্রার্থী যেভাবে তদবির করেন, তা দেখলে লজ্জাই লাগে। স্বীকৃতি আছে অথচ কাজ বা অবদান নেই এমন বিষয় যেমন লজ্জাকর, তেমনি কাজ করে স্বীকৃতি না পাওয়াটাও দুঃখজনক। রামেন্দু মজুমদার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পান নি সত্য, কিন্তু এদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে, সুশীল সমাজের কাছে তিনি অবিরাম যে সম্মান এবং স্বীকৃতি পেয়ে আসছেন তার গর্ব তো কোনো অংশে কম নয়। আলাপনের এক পর্যায়ে জীবনের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন- ব্যর্থতাই বেশি। বাংলাদেশের মঞ্চনাটকে তাঁর অবদানের কথা আমরা সবাই জানি। এরপরও যিনি নিজের জীবনে ব্যর্থতার পরিমানই বেশি করে দেখেন, আসলে তিনি চিরকালই সচল থাকবেন এবং মঞ্চনাটককে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কিছু না কিছু দিয়েই যাবেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন- জীবনটা যদি আবার প্রথম থেকে ফিরে পেতেন, তবে সব কিছু বাদ দিয়ে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতো নীরবে, সঠিক জায়গায় গিয়ে কাজটা করতেন। প্রসঙ্গত এখানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কথা উঠে আসে। কত সিসটেমেটিক্যালী গড়ে উঠেছে এই প্রতিষ্ঠান এবং আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন আলোকিত মানুষ গড়ার জন্য। আমরা জানি না জীবদ্দশায় রামেন্দু দা’ এমন কিছু করে যেতে পারবেন কি না। তবে বর্তমান প্রজন্ম যদি তাদের বর্তমান রোখটা ধরে রাখতে পারে, তবে এই প্রজন্ম থেকেও নাটক নিয়ে একটি ‘বিশ্বনাট্য কেন্দ্র’ গড়ে উঠতে পারে এই বাংলাদেশে। রামেন্দু দা’ সহ সকল শুভবুদ্ধির মানুষেরা এই প্রজন্মের সৃজনশীল মানুষদের সহযোগিতা করলে, উৎসাহিত করলে, নাটক নিয়ে সুন্দর আগামী নির্মাণের চাষাবাদটা অব্যাহত রাখতে পারে বর্তমান প্রজন্ম।
আলাপনে আতাউর রহমান পর্বটা বেশ আনন্দদায়ক ছিল। এই পর্বে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর তিনি দিয়েছেন অত্যন্ত মেধার সঙ্গে, যুক্তি দিয়ে। নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমানের স্বতঃষ্ফূর্ততা আলাপনটিকে বেশ জমিয়ে তুলেছিল। সবচেয়ে বড় কথা আলাপনে তিনি ছিলেন স্পষ্টভাষী। যা বোঝেন না তা স্পষ্ট করে বলার সৎ সাহস অনেকেই দেখাতে পারেন না, তাঁর আলাপন পড়ে মনে হলো উনি নিজের দোষ স্বীকার করতে কোথাও কুষ্ঠিত হন নি। আলাপনের এক পর্যায়ে নতুন প্রজন্মের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা জাতীয় প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যে, তাঁরা (আতাউর রহমানরা) সাহিত্যের আড্ডার জায়গা থেকে এসেছেন; সুতরাং তাঁদের পড়াশোনা ছিল। আর সেই জায়গায় বর্তমান প্রজন্মের অনেক ঘাটতি আছে। তিনি থিয়েটারের গভীরতা না হওয়ার জন্য বর্তমান প্রজন্মের ব্যর্থতার কথাকেই জোর দিয়ে বলেছেন। এই সত্য কথাটি অনেকেই বলেন না। অনেকেই বর্তমান প্রজন্মকে উসকে দেন-‘তোমরা করো, তোমরাই তো করবে’ জাতীয় মুখরোচক কথা বলে।
প্রযোজনার সূত্র ধরে আতাউর রহমান বলেছেন- উই ডোন্ট বিলিভ ইন এনি ইজম, এনি ফিকসড আইডিয়া। এই প্রসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিকতাবাদের কথা তুলে বলেছেন- রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ রায়, প্রিন্স দ্বারকানাথ, রাজা রামমোহন, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ আর্ন্তজাতিকতাবাদে বিশ্বাস করতেন। এইসব ধারণা ওনাদের উপর প্রভাব ফেলেছিল। এ প্রসঙ্গে উনি বলছেন-আমরা ঐধরনের লোকদের পছন্দ করি না, যারা একটা ফিকসড আইডিয়া নিয়ে বদ্ধ কুয়োতে পড়ে থাকে। আতাউর রহমানের এই ফিকসড আইডিয়া বিষয়টা কিন্তু পরিষ্কার নয়। কথোপকথনের এই জায়গাটা একটু সাসটেইন করতে পারলে আরো ভালো হতো। এক্ষেত্রে সঞ্চালকদ্বয় কিছু প্রশ্ন করতে পারতেন। প্রশ্ন ও উত্তরের মধ্য দিয়েই সম্ভবত ফিকসড আইডিয়ার একটা সমাধান আমরা পেতে পারতাম। ফিকসড আইডিয়া বলতে নাট্যাঙ্গনে কয়েকজনকে উদ্ধৃত করা যেতে পারে, যেমন- জার্মানীর নাট্যকার বের্টলট ব্রেশট, বাংলা ভাষাভাষী বিজন ভট্টাচার্য, উৎপল দত্ত অথবা আমাদের বাংলাদেশের মামুনুর রশীদ। এঁনারা এঁনাদের লেখায় অনেকটাই ফিকস্ড এবং সবাই রাজনৈতিক নাটক লেখেন বা লিখতেন। আলাপনে যেহেতু ব্রেশট কোনো আলোচ্য বিষয় নয়, তাই ব্রেশট-এর বিষয়টা হালকা হালকাভাবে এসেছে। যদিও আমরা জানি ব্রেশট রাজনৈতিক নাট্যকার এবং সেই অর্থে ফিকস্ডও বটে। বিজন ভট্টাচার্য কেবল নবান্ন নাটকে দুর্ভিক্ষের রাজনীতি লেখেন নি। তাঁর প্রতিটি নাটকই আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক। বিজন ভট্টাচার্য একটি রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকেই নাটক লিখতেন এবং একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্মের সাপোর্টেই তাঁর নাটক অভিনীত হতো। এ ছাড়া মামুনুর রশীদকেও অনেকে ফিকস্ড বলেন। কারণ, মামুনুর রশীদও রাজনৈতিক নাটক লেখেন এবং বাম রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন পাওয়া যায় তাঁর সকল নাটকে। মামুনুর রশীদের নাটকের টোন উঁচু আর নিচু যাই বলি না কেন, তিনি রাজনৈতিক নাটক লেখেন, কিন্তু স্লোগান সর্বস্ব নাটক লেখেন বলে মনে করি না। তাঁর ইবলিশ নাটকে রাজনীতি আছে, রাঢ়াঙ নাটকে রাজনীতি আছে, ওরা কদম আলী নাটকে রাজনীতি আছে আবার মানুষ নাটকেও রাজনীতি আছে। কিন্তু সব নাটকের প্লট আর টেক্সট এবং টোন কিন্তু এক নয়। রাজনীতি আর শোষণের রূপ তো সব নাটকে একইভাবে আসে নি। তাহলে আতাভাই কি মামুনভাইকে ফিকস্ড আইডিয়ার নাট্যকারদের দলে ফেলবেন? মামুনুর রশীদের লেবেদেফ আর চে’র সাইকেল কি একই টোনের নাটক? নিশ্চয়ই না। একটা কথা মনে রাখতে হবে- লেখক হিসেবে ব্রেশট, উৎপল দত্ত, বিজন ভট্টাচার্য এবং মামুনুর রশীদের একটা ভিশন আছে, একটা ফিলোসফি আছে। এই ভিশন বা ফিলোসফি কিন্তু ফিকস্ড নয়- ওয়াইড, মোস্ট ওয়াইড এন্ড একামোডেটিভ এন্ড সাইমালটেনিয়াসলি মোস্ট র্যাশনাল অলসো। আমরা আতাভাইকে শুধু নাক উঁচু নয়, উঁচুতলার মানুষ হিসেবেই জানি। সেজন্যই ওনার ফিকস্ড আইডিয়ার প্রসঙ্গটা প্রলেতারিয়েত ফিলোসফিকে আঘাত করবার জন্য কি না সেই প্রশ্ন থেকেই গেল। সঞ্চালকদ্বয় যদি আলাপনের সময়েই এই প্রশ্নগুলো করে ফেলতে পারতেন, তাহলে হয়তো এর সমাধান তখনই হয়ে যেতে পারতো।
এম এ সবুর : নাট্যকার ও নাট্য বিষয়ক প্রবন্ধ লেখক