Full premium theme for CMS
ইন্দুর-বিলাই খেলা এবং কুয়োর ভেতরে পড়ে যাওয়া
Блогът Web EKM Blog очаквайте скоро..
স ম্পা দ কী য়
হঠাৎ করেই আমাদের শহীদুল জহিরের কথা মনে পড়ে যায়।
শহীদুল জহিরের কথা মনে পড়ে এবং আমাদের আরো মনে পড়ে যায় তার ‘ইন্দুর-বিলাই খেলা’ গল্পের কথা। এবং আমরা তখন বুঝতে পারি এই ইন্দুর-বিলাই খেলায় আমরাও পারটিসিপেন্ট। আমরা জাতীয়ভাবে এই খেলা খেলি এবং ইন্দুর সেজে বিড়ালের ভয়ে লৌড়াই। আমাদেরকে বহু আগে থেকেই, স্বাধীনতার পর থেকেই একটি দল বলে- তোরা দেশ ভাঙছস ক্যান? এতো কইরা কইলাম দেশ ভাঙবি না, তা-ও ভাঙলি ক্যান? উত্তরে আমরা বলি- ভাঙ্গি নাই, স্বাধীন করেছি। আমরা এখন সামাজিক-রাজনৈতিক আর সাংস্কৃতিকভাবে স্বাধীন। তোরা পরাজিত শত্রু, তোরা সাবধান হ। এ কথা শুনে তারা চটে যায় এবং দোর্দণ্ড প্রতাপে বলে- ঠিক আছে, তয় কইয়া রাখি, আইজ থিকা তগরে ইন্দুর ডিকলার করলাম। আমাদেরকে ইন্দুর ডিকলিয়ার করে কিন্তু আমরা এসব বুঝি না। নতুন দেশ নতুন জাতি। মুক্ত মন নিয়ে আমরা চাকরি করি, বাকরি করি, নাচ করি, গান করি আর থিয়েটার চর্চা শুরু করি। পরাজিতদের ব্যাপারে উদাসীন থেকেই এসব করতে থাকি। একসময় পরাজিতরা আসে, বলে- কিরে, কইলাম তগরে ইন্দুর ডিকলার করছি, তারপরও তরা বুক ফুলাস ক্যান। তখন বাংলার মানুষ বলে- ইন্দুর ডিকলার করেছিস, তার মানে কী? ওরা জানান দেয় ডিকলার করছি, এহন থন আমাগো দেখলে তরা লৌড়াবি। বিলাই দেখলে ইন্দুর য্যামনে লৌড়ায়, ঠিক তেমনে। আমরা বিলাই, তরা ইন্দুর, বুঝছস? তখন নাট্যজনরা-ব্যবসায়ীরা নেতার কাছে যাই, গিয়ে বলি- স্যার আর যদি একটা হুমকি দেয়, আর যদি আমাদের ইন্দুর হতে বলে, আপনার প্রতি আমাদের অনুরোধ রইলো .... উত্তেজনায় তোতলানোর কারণে এরপর অনুরোধের কথাটি আর বলতে পারি না। তখন নেতা পরাজিতদেরকে কিছু ছাড় দেয়, বলে- ঠিক আছে তগরে অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা করলাম, তরা আর বিলাই সাজিস না। নেতার এই ক্ষমায় কেউ ’রা করে না, কারণ, দেশ স্থিতিশীল না হলে ব্যবসা করা যাবে না, লেখাপড়া করা যাবে না আর শিল্পচর্চাও করা যাবে না। এতো সবারই জানা যে- ব্যবসা-বাণিজ্য যা-ই করি না কেন, সবতো জীবনের কারণেই, কারো কারো কাছে এই থিয়েটারের কারণেই। থিয়েটার তো আর পয়সা দেবে না, ভাত দেবে না। তা থাকুকনা তারা ক্ষমা নিয়ে এক কোণায় পড়ে। ওদের জোর তো দেখাই আছে একাত্তরে। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত!
এরপর দেশ এগুতে থাকে, আবার নতুন দেশে কিছু সংকটও তৈরি হয়। দেশে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। মানুষ মারা যায় কুকুরের মতো। ওরা কারণ জানতে পারে না। পরে জানা যায়, এটা বিলাইয়ের কাজ। এদেশের বিলাই, মার্কিন হুলো বিলাইকে খবর দিয়েছে- আমরা বিলাই, কিন্তু ইন্দুর আমাগো দেখলে লৌড়ায় না, ব্যবস্থা করেন। ব্যবস্থা হয়, দুর্ভিক্ষের ঠেলায় ইন্দুর কেন ইন্দুরের নেতারাও লৌড়ায় এবং লৌড়াইতে লৌড়াইতে, হাঁফাইতে হাঁফাইতে একই সালে খুন হয় নেতারা। নেতাদের খুনে নাট্যজনরা দিশেহারা হই, ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়, দিশেহারা হয় গোটা বাঙালি জাতি আর বাংলাদেশি জনগণ। এখন কী করি! নাটক তো নাটক, ব্যবসা তো ব্যবসা, সবই তো লাটে উঠবে। এই প্রথমবারের মতো জনগণ বিলাই দেখে লৌড়াতে থাকে এবং আশ্রয়ের জন্য নতুন নেতা খুঁজতে থাকে।
একসময় নতুন নেতা আসে। খাকি পোশাকে আসে। ইন্দুর, বিলাই দু’পক্ষই খুশি হয়। বিলাই জানে এটা তাদের পোশাক, ইন্দুর ভাবে এটাতো আমাদের দেশের খাকি পোশাক। নতুন নেতা ব্যাপারটা বোঝে। এবং বুঝেই বিলাইদের কিছু কিছু লোককে সাংবিধানিকভাবে ইন্দুর লৌড়াইতে ক্ষমতা দেয়। ইন্দুররা রাগ করে, বলে- আপনি আমাদের নেতা। আপনি একাত্তরের মানুষ, আপনিও আমাদের ইন্দুর ডিকলিয়ার করলেন? তিনি বলেন- আজেবাজে কথা রাখেন, যুক্তিতে আসেন। দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার আগে ভাত খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলতেন, বলতেন না? তো স্বাধীনতার পর কি বিসমিল্লাহ না বলে ভাত খান? তিনি প্রশ্ন করেন, কিন্তু উত্তরের অপেক্ষা না করেই আবার বলেন- স্বাধীন দেশের একটি সংবিধানে ভাত খাওয়ার মতোই শুরুতে যদি বিসমিল্লাহ বলি, তাহলে কি দেশটা পাকিস্তান হয়ে যাবে? জাতির বিবেকরা চুপ থাকে। আসলে নেতা কী বলতে চাচ্ছেন সেটাই বুঝতে পারছে না। এবার নেতা বলেন- ওরা বলেছে, যদি সংবিধানে বিসমিল্লাহ বসানো হয়, সব ভালো কাজের শুরুতেই যেমনটি হয়, তাহলে ওরা আপাতত আর তোমাদের ইন্দুর ডিকলিয়ার করবে না। এবং তোমাদের আর লৌড়াতে হবে না। এবার তারা আস্বস্ত হয় এবং লৌড়াতে হবে না শুনে ব্যবসা, লেখাপড়া আর থিয়েটারে মন দেয়। আসলে আমরা বুঝতেই পারি না, খাকি পোশাকে বিলাই-ই আমাদের ইন্দুর লৌড় লৌড়ায়।
এরপর দেশে কিছু ঘটনা ঘটে। সেটা আশির দশক। বিলাইরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো খাকি পোশাকে ইন্দুর লৌড়াইতে শুরু করে। প্রথম দিকে কিছুটা অসহায় বোধ করলেও কিছুদিন পর হঠাৎ করেই ছাত্র-যুবসমাজ আর নাট্যজনেরা অনুভব করে এভাবে ইন্দুর-বিলাই লৌড়ালৌড়িতে আর ইন্দুর সাজা যাবে না। এবার প্রতিরোধ করতে হবে। এবং এই প্রথম, স্বাধীন বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো বিলাই আগায়া আসলেও ইন্দুর আর লৌড় মারে না। বিলাইতো হতবাক, এটা কী ব্যাপার! তখন তারা আবার সংবিধানে হাত দেয়। বলে ইন্দুর হোক বিলাই হোক সবার মূল ধর্ম তো একটাই। আর বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা সংবিধানের দেশে একটা রাষ্ট্রধর্মও তো থাকা দরকার। তাহলে ওটাই হোক রাষ্ট্রধর্ম। আর রাষ্ট্রধর্ম যদি হয় ইসলাম তবে আর জুম্মারদিনে নামাজ রেখে কাজকর্ম করার মতো মুনাফেকী কাজ করবে কেন কেউ? সুতরাং জুম্মাবার পবিত্রবার, এই পবিত্রবারে দেশের সব অফিস-আদালত বন্ধ থাকুক। কোটি কোটি ইন্দুর খুশি হলো। তারা এই বিলাইকে বাহবা দিতে লাগলো। কিন্তু যারা ছাত্র-যুবসমাজ, যারা সংস্কৃতি চর্চা করে, একটু আগেই যাদের ব্যাপারে বলা হলো যে, বিলাই আগায়া আসলেও ওরা আর লৌড়াই না, ওরা এবার রুখে দাঁড়ালো। বিরোধী বিলাইরাও ভাবলো এটাই মোক্ষম সুযোগ। তারাও বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে নব্বুয়ের শুরুতে খাকি বিলাইকে পদত্যাগে বাধ্য করলো।
এরপর সংবিধান পরিবর্তন করা হলো। পাঁচ বছর পরপর তিন মাসের জন্য কিছু ভালো মানুষ আসবে, যাদেরকে সবাই বিশ্বাস করে। তারা তিন মাসের মধ্যে, সবাই অবিশ্বাস করে এমন কিছু বিলাইকে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় বসাবে। সেসব বিলাইরা এখন ইন্দুরের পক্ষে আছে, ক্ষমতায় গিয়ে তারা এই ইন্দুর আর বিরোধী বিলাইদেরকে লৌড়াবে। সংবিধানের এই পরিবর্তনটুকু হলো কিন্তু এ সবই নতুন পরিবর্তন। অতীতের ভুল পরিবর্তনের আর কোনো পরিবর্তন হলো না। সবাই বিসমিল্লাহ বলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বুকে নিয়ে শুক্রবার বন্ধেরদিন উদযাপন করতে থাকলো। নজর সবার প্রগতির দিকে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে। কিন্তু শিল্পীসমাজ জানে, প্রগতি কখনো ধর্মে আসে না, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কখনো ধর্মে আসে না। সংস্কৃতিজনেরা এগুলো বিলাইদেরকে বোঝায়, বিলাইরা বলে একটু স্থির হতে দিন। তাদের এই স্থিরতার সুযোগ নিয়ে, তাদের এই স্থিরতা আসার সময়কালে, তাদের ভেতরে যে পাকিস্তানি ডিএনএ- সম্বলিত বিলাই আছে তারা কিছু কর্মসূচি সফলতার সাথে শেষ করে। তারা উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা মারে আর পহেলা বৈশাখে বোমা মারে আর হাই কমিশনারের গায়ে বোমা মারে আর বিরোধী বিলাইয়ের সমাবেশে গ্রেনেড মারে আর তেষট্টি জেলায় একসাথে বোমা মারে।
একটি স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বিজয়, তারপর বিলাইদের ধর্মীয় লেবাসের আগমন, আবার টানা নয় বছরের স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম এবং বিজয়, তারপর বিলাইদের পাঁচ বছর অন্তর অন্তর পনের বছর ক্ষমতায় যাওয়া এবং একের পর এক পাকিস্তানি ডিএনএ-র বিলাইদের ক্ষমতার প্রসার ঘটা এবং ইসলামী শাসন কায়েমের লক্ষ্যে বিচারালয়ে ঘোষণা দিয়ে বোমা হামলার পর এবার আমাদের আবারও শহীদুল জহিরের কথা মনে পড়ে যায়।
শহীদুল জহিরের কথা মনে পড়ে এবং এবার তার ‘মনোজগতের কাঁটা’ গল্পটির কথা স্মরণ হয় সবার।
আমরাও আমাদের উঠোনে একটি কুয়ো দেখতে পাই, কিন্তু কেন জানি না স্বাধীনতার পর আর সব কাজ করতে গিয়ে এই কুয়োটি ভরাট করতে ভুলে যাই। এরপর আমরা স্মরণ করতে পারি যে, ঐ কুয়োতে আমরা পঁচাত্তরে একবার পড়ে গিয়েছিলাম। এবং সম্ভবত প্রথমবারের মতো আমাদের হুঁশ হয় যে- আমরা স্বাধীন হলেও ওরা এখনো পরাধীন হয়নি। ফলে আমরা সচেতন হই এবং হয়তবা এটাকে হালকাভাবে নেয়ার কারণে সচেতন হই-ও না। তাই কোনোভাবে কুয়ো থেকে উঠে আমরা আমাদের করণীয় ভুলে যাই এবং আমরা আমাদের মতো করে ব্যবসা-বাণিজ্য আর সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত রাখি। তারপর দ্বিতীয়বার কুয়োয় পড়ি যখন দেশে সংবিধান তার নিরপেক্ষতা হারাতে থাকে। এবং দীর্ঘ প্রায় ষোল বছর (প্রায় সাত + প্রায় নয় বছর) কুয়োর ভেতরে থেকেও সংগ্রাম চালিয়ে যাই। নব্বুয়ের সফলতার পর যখন কুয়ো থেকে বের হই, তখন আমরা এই কুয়োটাকে ভরাট করার অনুরোধ করি। তারপর আমরা জানি যে, পনের বছর ধরে অনেকবার আমরা বিলাইদেরকে বলেছি, দেখুন আমরা আবার দেশটাকে গড়ার দিকে যাচ্ছি। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি, আমাদের উঠোনে এখন মিউনিসিপালটির ট্যাপের পানি এসেছে, এখন আর কুয়োটার প্রয়োজন নেই। আপনারা কুয়োটা ভরাট করুন। কিন্তু তারা শোনে না। তারা বলে কুয়ো ভরাট করার দরকার নাই, এটার ভেতর কারো পড়ার কোনোই সম্ভাবনা নাই।
এরপর আমরা দেখতে পাই ক্ষমতার দৌড়ে দেশি বিলাইদের চেয়ে পাকিস্তানি ডিএনএ-র বিলাইরা এগিয়ে যায়। হাঠে-মাঠে-ঘাটে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে, চিকিৎসা কেন্দ্রে আর আইন আদালতে- সব জায়গা ঐ বিলাইদের দখলে চলে যায়। এবং সর্বশেষ যখন তারা ঘোষণা করে যে, দেশে ইসলামী শাসন কায়েম করতে চায়, ফলে সব বিচার ব্যবস্থাকে উড়িয়ে দেয়ার বাস্তব খেলায় মত্ত হয়, তখন ক্ষমতাসীন বিলাইদের কিছু কিছু আর বিরোধী বিলাইদের সবাই নিজেদেরকে আয়নার সামনে দাড় করায় এবং স্পষ্ট দেখতে পায় আয়নার ওপাশে কেবল ইন্দুর আর ইন্দুর। তবে কি তারাও আসলে বিলাই নয়, ইন্দুর? এই ভাবনা আসার পর তারা হঠাৎ করেই যেন তাদের উঠোনের না-ভরাট করা কুয়োর মধ্যে পড়ে যায়।
কুয়োয় পড়ে কাতরায় আর ক্ষমতাসীন প্রধান বিলাই তাদের সবাইকে নিয়ে বৈঠক করে। বৈঠকে পাকিস্তানি ডিএনএ-র বিলাইদেরকে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেয়া হয় যে, এই পরিস্থিতি বরদাস্ত করা হবে না। একথায় ওরা হাসে এবং উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করে- আইজ থিকা তগরেও আমরা ইন্দুর ডিকলার করলাম। মানে? প্রধান বিলাই তার সৌন্দর্যহানী হবে জেনেও চোখ-মুখ খিঁচিয়ে আবারও প্রশ্ন করে- মানে? পাক-ডিএনএ-সমৃদ্ধ বিলাই বলে- তোদের ইন্দুর ডিকলার করলাম। এহন থন আমরা বিলাই, তোরা ইন্দুর। আমাগো দেখলে তোরা লৌড়াবি, লৌড়াবি আর লৌড়াবি!
একটি লাঠি বড় বেশি দরকার, সাহসের লাঠি, আর দরকার একটি কোদাল, কুয়ো ভরাট করার কোদাল। এই লাঠির সন্ধান বুঝি পায় ইন্দুররা। এবার আমরা এক হওয়ার চেষ্টা করি এবং বলি এই ইন্দুর বিলাই খেলায় আমরা আর ইন্দুর হবো না। আমরা থিয়েটার করি, আমরা নাটক করি, আমরা সৃষ্টির নেশায় মত্ত হই। কিন্তু অগত্যা আমাদের মনে হয় যা ঘটছে বা ঘটেছে কিংবা হয়তোবা যা ঘটবে বলে মনে হচ্ছে তা আবার স্বপ্ন নয়তো? এবার আমরা নতুন ইন্দুরদের কাছে যাই এবং বলি- চলেন আগে আমরা কোদাল দিয়ে কুয়োটাকে ভরাট করি। এবং আমাদের এমত মনে হয় যে আমরা শুনলাম, ওরা বলছে- কী কও, ইন্দুর বিলাই খেলা না থাকলে আমরা কী নিয়া বাঁচুম। আর কুয়োটা বন্ধ কইরো না, পানি পাইবা কই? তোমরা কই দেখ উঠোনে মিউনিসিপালটির ট্যাপের পানি আইছে- স্বপ্নে দেখ নাকি? কিছুদিন সবুর করো না। তোমাগো ধৈর্য এতো কম ক্যান?
আমরাও বুঝি ভাবতে থাকি- মাত্র তো ৩৪ বছর হলো, আমাদের ধৈর্য এতো কম কেন?
ইতি
হাসান শাহরিয়ার
সোবহানবাগ-ঢাকা।
৩০ নভেম্বর ২০০৫।