Bookmaker Bet365.com Bonus The best odds.

Full premium theme for CMS

প্রবীর গুহ’র 'মৃত্যু সংবাদ'

Блогът Web EKM Blog очаквайте скоро..

মানুষটি প্রায় তিনমাস একটানা বাংলাদেশে অবস্থান করে যখন ২ মে’০৪ পা’ বাড়ান আবাসভূমির দিকে, তাঁর নিষ্ক্রমণ সংবাদটি যেন অনেকের কাছেই ছিলো মৃত্যু সংবাদের মতো। শূন্যতা, অনুপস্থিতি মৃত্যুর অনিবার্য অনুষঙ্গ। এর অস্তিত্ব মেনে নিতে পারে না বলেই মানব বিশ্বাস করে জন্মান্তরবাদে। চব্বিশ পরগনার প্রবীর গুহও কথা দিয়েছেন আবার ফিরে আসবেন, বারবার ফিরে আসার মতোই, পুনঃনতুন করে জন্ম নেবেন এ মাটিতে। না এসে উপায়ও নেই; এখানেই গ্রথিত আছে জন্ম শেকড়, সাতক্ষীরার তালা অঞ্চলে। দেশ ভাগ হওয়ার পর অনেকের মতোই এ পরিবারটিও সীমান্তের পশ্চিমে পাড়ি বাড়ায়। এক সময়কার তুখোড় বাম রাজনৈতিককর্মী কমরেড প্রবীর গুহ বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের নন্দিত বরেণ্য নাট্য নির্দেশক। এদেশে এসে প্রতিবারই আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগেন, কোনটি তাঁর দেশ, কোথায় সাকিন- পূর্ব না পশ্চিমে? এমনভাবে মানুষকে বয়স ধর্ম নির্বিশেষে জয় করে নেয় যে, সম্বোধনের ধরনে তা অবিশ্বাস্য ঠেকে। ঐদিকে নস্টালজিয়া তাঁর পশ্চাৎধাবন করে, স্ত্রী পুত্রের মুখওতো একটু দর্শন করা দরকার। যাই, তাহলে যাই।

নাটক, নাট্যায়ন, নাট্যনির্মাণে একশতভাগ নিবেদিত প্রবীর গুহ, এর আগে বাংলাদেশে অবস্থানকালে অনেকগুলো নাটক নির্মাণ করেছিলেন। খুলনায় তাঁর নির্মিত বাংলাদেশ বাংলাদেশ নাটকটির বিভিন্ন স্থাপনায় শতাধিক প্রদর্শনী হয়েছে। তিনি রবীন্দ্রনাথের ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার নাট্যরূপায়ণ করেছেন। তাছাড়া অত্রাঞ্চলের চিংড়ি ঘেড়ে করেছেন পরিবেশ থিয়েটার। দর্শনায় ‘অনির্বাণ’ এর প্রযোজনায় তাঁর নির্মিত নাটক ছিল আড়ষ্ট মাতৃভূমি ও অসমাপ্ত সংলাপ। আরো যে কতো নাট্য নির্মিত হয়েছে এ দক্ষ হস্তে তা নিজেও মনে করতে পারেন না। বাংলাদেশে সর্বশেষ অবস্থানকালে শহরে উদ্ভব হয় বস্তি উচ্ছেদ সমস্যা। তারই ভিত্তিতে রচিত হয় নাটক নীলপলি,  যা চট্টগ্রামের অরিন্দম প্রযোজনায় সফল মঞ্চায়ন ঘটে। এসময় চলছিলো তাঁর দ্বৈত তৎপরতা। যুগপৎ ঢাকা থিয়েটারের পথনাটক মৃত্যু সংবাদ  এর নির্মাণকর্মও এগিয়ে চলছিলো কর্মশালার পরপরই।

প্রবীর গুহ মধ্যম গ্রামের স্বগৃহ থেকে দু’তিন কিলোমিটার দূরে স্থাপন করেছেন ‘আখড়া’ নামে নাট্যনির্মাণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে আখড়ার নাম একদা ছড়িয়ে পড়ে। এ কেন্দ্র থেকে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অনুদানে নাটকের উপর একটি গবেষণা কর্মও চালিত হয়েছিলো। এখানে আছে নাট্যকর্মীদের জন্য একটি ডরমিটরী ও অন্যান্য সুযোগ। নাটকের এ মানুষটি বিশ্বাস করে নাটক বিক্রি করা যায় না, তাই দর্শনীর বিনিময়ে নাট্যপ্রদর্শনের বিপক্ষে তাঁর সুদৃঢ় অবস্থান। তবে এর ভোক্তারা যে একশভাগ আর্থিক সংশ্লেষ ছাড়া নাট্যতৎপরতার সাথে জড়িয়ে পড়ে, এমন নয়। একটি নাটক নির্মাণরকালে দীর্ঘদিন তাঁকে কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থান করতে হয়। আর এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁর নিরাপদ অবস্থান ও অন্ন সংস্থানের সুযোগ করে দেয়। এটিই নাটকের জন্য তাদের সোস্যাল কন্ট্রিবিউশন। তাঁর বিশ্বাস দর্শনীর বিনিময়ে নাট্য প্রদর্শন সাধারণ মানুষের জন্য নাট্যায়োজনের মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে। শিল্প মুক্তির সাথে গণমুক্তির আদর্শকে জড়িয়ে প্রবীর গুহ নাটককে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসেন প্রসেনিয়ামের বাইরে। তবে একেবারেই পথে প্রান্তরে নয়। কারণ, পথনাটকের তাৎক্ষণিক বক্তব্য গণমানুষের মুক্তির যেমন প্রকৃত উপায় বাৎলে দেয় না, অন্যদিকে বোদ্ধা দর্শকের শিল্পতৃষ্ণাও মেটাতে সেভাবে সক্ষম হয় না। তাই গতানুগতিক প্রেক্ষাগৃহের বাইরে প্রসেনিয়ামকে উপেক্ষা করে সিরিয়াস দর্শকের সামনে ইন্টিমেট থিয়েটারের তিনি পক্ষপাতী। কোনো একটি বাড়ির উঠান কিংবা চওড়া বারান্দা, গাড়ির গ্যারেজ অথবা যেকোনো লোকালয় অভ্যন্তরে আড়াল দেয়া কোনো অন্তরঙ্গ আঙ্গিনায় তিনি এবং তাঁর দল ‘লিভিং থিয়েটার’ নাট্যনির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি মনে করেন নাটক তাঁর জন্মগত অধিকার যা প্রয়োগ করে সমাজের কু’দিকগুলোকে ধ্বংস করতে পারেন আবার নব আঙ্গিকে গড়তেও পারেন।

প্রবীর গুহ-এর নাট্যভাবনায় শারীরিক কলাকৌশল অত্যধিক গুরুত্ব লাভ করে। আধুনিক থিয়েটার নির্মাণে সার্বিকভাবে কিংবা গড় পড়তায় নাটকের দলগুলো নাট্যকর্মীদের দেহকে তেমনভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হচ্ছে না। এটা বাংলা নাট্যভুবনের এক অসম্পূর্ণতা। শারীরিক কসরৎ, দেহের ভাষাকে কাজে লাগিয়ে, ভিন্ন আঙ্গিকের জীবন্ত নাট্যনির্মাণ সম্ভব বলে তাঁর বিশ্বাস। লক্ষ্যণীয় যে, বাংলা নাটকের জমিনে সংলাপের অগণন বীজ বুনতেই সবাই আগ্রহী। কথার ফুলঝুড়িতে হাস্যরস ঢেলে দর্শককে হাসানো কিংবা করুণরসে টইটুম্বুর হয়ে সংলাপ দ্বারাই দর্শককে কাঁদানো আজ মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সেখানে নির্দেশকের ভূমিকা কেবল স্বরপ্রক্ষেপণকে উপযোগী করে তৈরি করা, অর্থাৎ মোটা দাগে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের রপ্ত করানো। সাথে উপযোগী আলোক সম্পাত ও যুৎসই আবহ সঙ্গীতের ব্যবহার থাকলেই পার পাওয়া সম্ভব। কিন্তু প্রতিটি মুহূর্তেই যে স্পেসে দৃশ্যমান অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অনড় দেহকে ভাষা দান করা সম্ভব, সে দিকটা অধিকাংশ নাট্যনির্দেশক আমল দিতে চান না। আর এ স্থানটিতেই প্রবীর গুহের বিশেষত্ব ধরা পড়ে।

গত মে দিবসের (’০৪) পূর্বাহ্নে নির্দেশক প্রবীর গুহের ইম্প্রোভাইজড ড্রামা মৃত্যু সংবাদ এর প্রথম প্রদর্শনী দর্শক অবলোকন করে ওসমানী উদ্যানের এক কোণার একটি স্পেসে, নগর ভবনের সম্মুখে। এটি ছিলো মিহির সেনের ছোটগল্প ‘মরণ কান্না’র নাট্যরূপ। প্রবীর গুহ নতুন করে গ্রন্থনার দায়িত্ব নিয়েছেন। একই দিনে নাটকের পরবর্তী দুটো প্রদর্শনী হওয়ার কথা ছিলো শহীদ মিনার ও স্বোপার্জিত স্বাধীনতার পাদদেশে। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার দাপটে প্রদর্শনী দুটি পরিত্যাক্ত হয়। কাহিনী অতি সাধারণ, একটি মৃত্যু সংবাদ, কিন্তু অত্যন্ত মর্মস্পর্শী। কালো কড়ি যেমন একজন অসৎ বেনিয়ার পুঁজি তেমনি রাজনীতিকের পুঁজি গণমানুষের দারিদ্র। রাজনীতির বেশ্যাবৃত্তির করালগ্রাসে দেশ আজ নিমজ্জমান। নীলফামারীর হারানগাছি না খেতে পেয়ে মৃত্যুবরণ করে। তার পুত্র পরাণগাছিকে বিরোধীদল জিজ্ঞেস করলে সে অনাহারে মারা যাওয়ার কথাই বলে। তাতে বিরোধীদল বড় একটি ইস্যু পায় আন্দোলনের- দেশে অনাহারে লোক মারা যাচ্ছে। কিন্তু সরকারি দল মানতে নারাজ। তাদের দাবী হারাণগাছির মৃত্যুর কারণ অনাহার নয়, অপুষ্টি। দেশের খাদ্যমন্ত্রী জোর করেই এ সিদ্ধান্ত পরাণগাছির স্কন্ধে চাপিয়ে দেয়। রাষ্ট্রের পক্ষে পুলিশ আসে তদন্তে। সে আবার চাপিয়ে দেয় অন্য সিদ্ধান্ত, হারাণগাছির মৃত্যুর কারণ রোগ শোক- মেনেনজাইটিস কিংবা করোনারী থ্রম্বোসিস। এভাবে তীব্র টানাপোড়েন এবং উত্তেজনার মধ্যে গল্প এগিয়ে যায়। খাদ্যমন্ত্রী সরকারি আজ্ঞাবহ প্রচার মাধ্যম টেলিভিশনে বিবৃতি দেন, সরকারি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও একটি প্রচারিত হয়। ঐ দিকে সংসদে চলে দু’দলের হাস্যকর বিতর্ক, পাদুকা ছোঁড়াছুঁড়ি। এ অধিবেশনে খাদ্যমন্ত্রীর জ্বালাময়ী বক্তৃতার সময় প্রধানমন্ত্রী আড়াল থেকে দড়িতে বাঁধা মন্ত্রীকে পেছন দিকে টানতে থাকেন, খাদ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে এ কারণেই কেবল শেখানো বুলি বের হয়, এক পর্যায়ে মন্ত্রী বলতে বাধ্য হন- একটু আস্তে টানেন প্রধানমন্ত্রী! শেষমেশ পরাণগাছিকে যার যার সিদ্ধান্তের শৃঙ্খলে চতুর্দিক থেকে বেঁধে ফেলে সবাই। পরাণগাছির প্রায় মরণদশা। সে মৃত পিতার উদ্দেশ্যে তীব্র চিৎকারে ফেটে পড়ে, তার পিতা মরে গিয়ে জীবিত পুত্রকে বিপদের কী অতল গহ্বরেই না ফেলে রেখে যায়!

নাটকের কাহিনী মিহির সেনের হলেও ঢাকা থিয়েটারের কর্মীরা তাদের শ্রমের ঘাম ঝরিয়ে নাটকটি সম্পূর্ণ ইম্প্রোভাইজ করেন এ দেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতির নিরিখে। ইম্প্রোভাইজেশন ড্রামার বড় প্রাপ্তি, এতে নিয়তই নতুন নতুন নাট্যকর্মী তৈরি হয়। একজন কর্মী যতোই নবাগত হোক, প্রথমেই তাকে স্বাধীনতা দান করা হয় নিজের মতো করে নাট্য নির্মাণের। প্রবীর গুহও তা-ই করেছেন। এক ঝাঁক অনভিজ্ঞ তরুণ তরুণী ও কতক পুরনো নাট্যকর্মী সহযোগে তিনি নির্মাণ করেছেন বক্তব্য বহুল ও সুনির্দেশনাযুক্ত এ নাটক। তাঁর প্রদত্ত স্বাধীনতা নাট্যকর্মীরাও যথাযথ ব্যবহার করে নিজেদের কন্ট্রিবিউটরের মর্যাদা দান করেছেন। এ ধরনের নির্মাণ প্রক্রিয়ার কারণে নাট্যকর্মীরা প্রযোজনাটি নিয়ে নিজেদের মতো করে ভাবতে শিখেছে, তাদের মধ্যে সেন্স অব বিলংগিংনেস তৈরি হয়েছে। তবে প্রবীর গুহ একা ছিলেন না। তাঁর পাশে সহনির্দেশক ও সুর সংযোজকের দায়িত্ব পালন করেছেন মঞ্চকুসুম শিমূল ইউসুফ। আর প্রযোজনা উপদেশকের গুরু দায়িত্ব পড়ে নাসিরউদ্দিন ইউসুফের উপর।

এটি ছিলো ঢাকা থিয়েটারের ২৭তম প্রযোজনা। ঢাকা থিয়েটার বাংলাদেশের একটি আদি, অগ্রণী নাট্যদল যারা মৌলিক-দেশজ-লোকজ নাটক মঞ্চায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ চেতনা জাতির সংগ্রামী ও স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের চেতনালোকের সাথে সাজুয্যপূর্ণ। এ নাট্যদলটি দেশ ও তার ইতিহাস-ঐতিহ্য, বেঁচে থাকার সংগ্রাম, সংস্কৃতি এবং লোক উপাদানকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে। তাই পদ্মা, যমুনা, কুশিয়ারা, কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরীর কূল-উপকূলের নাম-গোত্রহীন মানব তাদের নাটকের বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। লক্ষ্য তার জাতীয় নাট্য আঙ্গিক নির্মাণ। কেবল শহরের মঞ্চে এবং প্রসেনিয়ামেই ঢাকা থিয়েটারের নাট্য তৎপরতা বন্দী থাকেনি। দেশের মৌলিক নাটকের আরধ্য বৃত্ত রচনা করে তা বৃহৎ জনগোষ্ঠী ও সংস্কৃতিকর্মীর মাঝে ক্রম প্রসারণের জন্য দেশব্যাপী গড়ে তুলেছে গ্রাম থিয়েটার। ইতোপূর্বে সেলিম আল দীনের চাকা ও বনপাংশুল নাটকদ্বয় যথাক্রমে জামিল আহমেদ ও নাসিরউদ্দিন ইউসুফের নির্দেশনায় মঞ্চের বাইরে প্রসেনিয়ামকে ভেঙে অভিনীত হয়েছে। মে দিবস সম্পর্কেও ঢাকা থিয়েটারের ভাবনা অত্যন্ত শাণিত। এ সংগঠনটি মনে করে- কেবল রাজনৈতিক নয়, একজন সংস্কৃতিকর্মীর ক্লিশে সংস্কৃতি চর্চার মোহমুক্তি ঘটাতেও মে দিবস অনুপ্রেরণার উৎস। এ দিবসের আত্মোৎসর্গের প্রেরণা থেকেই সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সক্রিয়কর্মী তার শিল্পভাবনায় জীবনের মহত্তম বাণী উচ্চারণে সাহস পায়। ইত্যকার বিশ্বাস ও ধারণাগত ঐক্য বিদ্যমান থাকায় প্রবীর গুহের নাট্যভাবনা ঢাকা থিয়েটারে প্রয়োগ সম্ভব হয়েছে। তিনি এ প্রতীতী নিয়ে বিদায় হয়েছেন, অনাগতকালে ঢাকা থিয়েটারে কাজ করার সুযোগ তাঁর ঘটবে।

যাদের দ্বারা নাটকের বিভিন্ন চরিত্র রূপায়ণ ঘটেছে তারা হচ্ছেন- কামাল বায়েজিদ, ইউসূফ খসরু, সুদীপ বড়–য়া খোকন, শেখ এহসানুর রহমান, মিজানুর রহমান, মোঃ শাহরিয়ার, শওকত হায়দার চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম রিপন, মাহমুদুর রহমান শুভ, আসাদুজ্জামান আমান, ফারজানা আক্তার চুমকী, সাবিনা ইয়াসমিন সাবা, অদিতি গুপ্তা, নার্গিস আখতার ও ইবনে দাউদ স্বাধীন।

নাট্যমোদীগণ এ নাটকের বহুল প্রদর্শনী কামনা করে।

গোলাম শফিক : নাট্যকার, নাটক বিষয়ক প্রবন্ধ লেখক।