Bookmaker Bet365.com Bonus The best odds.

Full premium theme for CMS

আশা জাগানীয়া নাট্য উৎসব আর স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা

Блогът Web EKM Blog очаквайте скоро..

স ম্পা দ কী য়

অন্যরকমভাবে, বলা যায় অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে আলাদা একটা বৈচিত্র্য নিয়ে শেষ হয়েছে ঢাকা নাট্য উৎসব।  বৈচিত্র্যপূর্ণ অনেক কারণে। অনেক বড় একটা উৎসবতো বটেই, এছাড়াও এতোটা সাড়া জাগানো নাট্য উৎসব বোধকরি আর হয়নি। নতুন কিছু বিষয় ছিলো এ উৎসবে। একটি নতুন আধুনিক মঞ্চ ছিলো। সত্যিই আধুনিক, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে। আর ছিলো নতুন দর্শক। স্বাধীনতার পর যে দর্শক সৃষ্টি হয়েছিলো, তারপর আর এমনভাবে দর্শক সৃষ্টি হয়নি। অনেকটা, দলে নতুন কর্মী নেয়ার মতো করে নতুন দর্শকের সৃষ্টি ঘটলো যেন এবারের উৎসবে। প্রতিদিনই মিলনায়তন পূর্ণ ছিলো আর প্রায় প্রতিদিনই অনেক দর্শককে ফিরে যেতে হয়েছে নাটক না দেখার আক্ষেপ নিয়ে।

এই যে বলা হলো নতুন দর্শক সৃষ্টি হয়েছে, ব্যাপারটা আসলে বলা উচিত নতুন দর্শকের আগমন ঘটেছে। এরা কতোদিন থিয়েটারের দর্শক হিসেবে নিজেদেরকে আলোড়িত করে, তার উপর নির্ভর করবে নতুন দর্শক আদৌ সৃষ্টি হলো কি না। কিন্তু ইতোমধ্যেই উৎসবের বিভিন্ন প্রাপ্তির ভেতর দিয়ে নাট্যমহলে একটা আশার আলো কেমন যেন উঁকি দিতে শুরু করেছে। শিল্পীমাত্রই স্বপ্নবাদী আর আশাবাদী হবে, এটাই নিয়ম। সাধারণ জনগণের সাথে তাদের এখানেই একটা বিরাট ব্যবধান। স্বপ্নবাদী আর আশাবাদী আমরা যে এই প্রথমবারের মতো হয়েছি তা কিন্তু নয়। মুক্তিযুদ্ধের পর নাট্যচর্চাটা হঠাৎ করেই বেগবান আর সৃজনশীল হয়েছে মূলত বিশাল এক স্বপ্নের কারণেই। স্বপ্নটা ছিলো আমরা আমাদের থিয়েটার করবো, দর্শনীর বিনিময়ে থিয়েটার করবো, নিজেদের মঞ্চে থিয়েটার করবো, পুরো দেশটাকে বানাবো থিয়েটার কারখানা। স্বপ্ন বাস্তবায়নের ধাপ হিসেবে মহিলা সমিতি মঞ্চ আবিষ্কার করা হলো। আবিষ্কারই বটে! শুনেছি ময়লা আবর্জনা সাফ করে, ঝাড়– দিয়ে কোনোরকমে নাট্যোপযোগী করে শুরু হয়েছিলো থিয়েটার চর্চা। অনেকের কাছ থেকেই শোনা যায় ‘সেই এক কাল ছিলো’- যা এখন ভাবাই যায় না। তারপর স্বপ্নের মঞ্চ আর হয়নি। স্বপ্নের বাস্তবায়নও আর হয়নি। নাট্যচর্চা চলতে থাকলো মূলত মহিলা সমিতি মঞ্চকে আবর্তন করেই। নিকট অতীতে আবারও স্বপ্নবাজ হয়েছিলাম আমরা। শিল্পকলা একাডেমির বড় মঞ্চটা যখন ভাঙা হয়, তখন। একটা বড় ধরনের ফিসফাস চলছিলো- মঞ্চের অভাবটা বোধহয় এদ্দিনে শেষ হলো। এতোই উত্তেজনা যে মঞ্চের কাজ শেষ হতে দেরি দেখে শিল্পকলা একাডেমি চত্তরে কৃত্রিম উপায়ে প্যান্ডেল তৈরি করেই নাট্য উৎসব করলো গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান। আর সেই মঞ্চেই গলা ফাটিয়ে নাটক করে ফেললাম নাট্যকর্মীরা। নাট্য আন্দোলনের চরম প্রাপ্তি প্রায় হাতের মঠোয়- এমন বিশ্বাসও দানা বেঁধেছিলো অনেকের ভেতর। তারপর আবারো ঝিমিয়ে পড়া সংস্কৃতির আগমন। মঞ্চ নেই। সরকার মঞ্চ দিচ্ছে না। কেবল যে মঞ্চ দিচ্ছে না, তা নয়, এতো করে সরকারের কাছে অনুনয় বিনয় করা সত্বেও মহিলা সমিতি মঞ্চটাকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করে পর্যন্ত দিচ্ছে না। মঞ্চের মালিক মহিলা সমিতি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করে দিবে সরকার, আর নাটক করবে থিয়েটারওয়ালারা। কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে ফেলার মতো ব্যাপার না? তারপরও আক্ষেপ আর আক্ষেপ! ঠিক সেই সময়ে আবারো থিয়েটারকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনার ‘রোগ’ দেখা গেলো। শোনা গেলো গুলিস্তানে একটি ‘বিশাল দেহী’ মঞ্চ হচ্ছে। সেই মঞ্চে দশ হাতে খাওয়া যাবে আর দশ পায়ে নৃত্য করা যাবে। এই রোগ বড় ছোঁয়াচে রোগ। কেউ একজন আশাবাদী হলো তো দেখে দেখে সবাই আশাবাদী হওয়া শুরু করে। পরে একদিন আবারো ফেডারেশান নাট্য উৎসব করলো সেখানে। বিপুল উদ্দীপনায় ঢাকার নাট্যর্মীরা বিশাল আশা নিয়ে ‘সুবিশাল গুদাম ঘরে’ নাট্য উৎসব করে প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসাব মেলাতে লাগলাম।

একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয়, বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে বা যেকোনো কারণে, আমাদের যে নাট্যবিষয়ক সেমিনারগুলো হয়, সেখানে বক্তাদের একটা আক্ষেপ থাকে। তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা বলেন যে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থিয়েটারকে সেদেশের সরকার যেভাবে আর যে পরিমানে পৃষ্ঠপোষকতা করেন তার ছিঁটেফোঁটাও আমাদের দেশে হয় না। এবং পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করবার জন্য তাঁরা প্রায়শই সরকারের (যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে) সাথে কথা বলেন। গত ৩২ বছরের অভিজ্ঞতার আউটপুট হচ্ছে, এসব আবদার আর মিনতি অরণ্যে রোদন ছাড়া আর কিছুই হয়নি। কোনো ব্যাপারে যদি ৩২ বছর ধরে ‘অরণ্যে রোদন’ হওয়া সত্বেও পুনঃরোদনে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখি, তখন সন্দেহ জাগে এটা কি আমাদের বালক সুলভ আচরণ নাকি ‘আই ওয়াশ’?

বিভিন্ন দেশে সেদেশের সরকার থিয়েটারকে পৃষ্ঠপোষকতা করে সেটা সত্য। কিন্তু আমাদের দেশের থিয়েটার চর্চার যে দর্শন সেই দর্শন বিবেচনায় আনলে যেকোনো সরকারই পৃষ্ঠপোষকতাতো দূরের কথা থিয়েটার চর্চাটাই বন্ধ করে দেবার চিন্তা করবে। মুক্তিযুদ্ধের পর একটি স্বাধীন দেশে স্বাধীন চিন্তা নিয়ে আমাদের নাটক শুরু হয়। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরের কয়েক বছরে এই স্বাধীন চিন্তার সাথে সরকারের চিন্তার ফারাকটা খুব একটা চোখে পড়েনি। কিন্তু যতই দিন গড়াতে লাগলো, মুক্ত-স্বাধীন চিন্তার শৈল্পীক প্রকাশ যে অগণতান্ত্রিক সরকারের কত বিপক্ষে যেতে পারে তা প্রকট হতে লাগলো। এরই এক পর্যায়ের নাট্যচর্চা হলো আশির দশকের নাট্যচর্চা। আশির দশকের বাংলাদেশের রাজনীতি আর একই সাথে আমাদের থিয়েটার চর্চার গতিধারাটা পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাবে থিয়েটার তার কতবড় শক্তি নিয়ে সরকারের প্যারালাল শক্তি হয়ে উঠেছিলো। এর আগেও দেশে রাজনৈতিক অবক্ষয় হয়েছে। তার সব তিক্ততা মিলিয়েই যেন সব নাট্যকর্মী তাদের শিল্পীত শরীর নিয়ে কোরিওগ্রাফি করে থিয়েটারের শক্তি জানান দিলো নয় দশটি বছর। শুধু কি মঞ্চনাটক? পথনাটকের বিকাশটিও তো সেই সময়েরই। সেই সময়টাকে বিচ্ছিন্ন করে দেখলে চলবে না। যদি মুক্তিযুদ্ধের দর্শনটা বুঝি, তবে বলতে হবে বাংলাদেশের থিয়েটার চর্চার মূল দর্শনটাও আসলে স্বৈরাচার বিরোধী আর স্বাধীনতাকামী- তার প্রকাশ যতই শৈল্পীক হোক না কেন। তো এমন একটা দর্শনওয়ালা গোষ্ঠীকে কোনো সরকার কেন পৃষ্ঠপোষকতা করবে? পৃথিবীর ইতিহাস কি এই বলে না যে, যেকোনো দেশেই যেকোনো শিল্পীই যখন এই ধরনের দর্শনের প্রতিনিধি হয়েছেন, তখনই তাঁর উপর থেকে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার ছাতাটি সরে গেছে?

মহিলা সমিতি মঞ্চে যখন নাট্যচর্চা শুরু হয়, তখন কে ভেবেছিলো যে এই অডিটোরিয়ামটি ৩২ বছর ধরে একটি ‘আদর্শ নাট্যশালা’ হিসেবে বাংলার থিয়েটার চর্চাকে ‘বেগবান’ করে যাবে (আরও কত বছর এভাবে চলবে কে জানে!)? এখন মহিলা সমিতি যদি ভাবে (শুনেছি গাইড হাউজ কর্তৃপক্ষ এমনটি ভেবেছেন) যে, তাদের ভবনটি ভেঙে সেখানে ‘বহুতল শপিং কমপ্লেক্স কাম এপার্টমেন্ট’ তৈরি করবে, তাহলে তাদেরকে কি দোষ দেয়া যাবে? গত ৩২ বছরে ইনিয়ে বিনিয়ে কিংবা সরাসরিভাবে অনেকবারইতো তারা জানান দিয়েছে যে, আপনারা চলে যান, আপনাদের মঞ্চ আপনারা বানিয়ে নিন, আমাদেরকে আপদমুক্ত করুন। মহিলা সমিতি কি এটাও বোঝাতে চায়নি যে, থিয়েটার আর থিয়েটারওয়ালারা যেমন সমাজের কাছে দায়বদ্ধ, ঠিক তেমনি মহিলা সমিতিও সমাজের কাছে দায়বদ্ধ? তাহলে সেই দায়বদ্ধতা পূরণ করতে যে অর্থের প্রয়োজন তা যদি মঞ্চ ভাড়ায় প্রাপ্ত অর্থে না কূলোয় তবে তারা তা ভেঙে শপিং কমপ্লেক্স আর এপার্টমেন্ট নির্মাণ করতেই পারে। আমি এ্যামেচার বলে কি সে প্রফেশনাল হবে না? সে যদি বলে- ‘তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম হইবো না কেন?’- এর উত্তর কি আমাদের তৈরি করা আছে? এতোকিছুর পরও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান উদ্যোগ নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মহিলা সমিতি মঞ্চটিতে তাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করেছে। এখন শোনা যাচ্ছে, হল বন্টন থেকে শুরু করে হলভাড়া নির্ধারণ পুনর্নির্ধারণ সব বিষয় নিয়েই গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানকর্মীগণ নাজেহাল হচ্ছেন মহিলা সমিতি কর্তৃপক্ষের কাছে।

ঠিক এমনই সময়ে শিল্পকলা একাডেমির নতুন এক্সপেরিমেন্টাল হল নিয়ে যখন আমাদেরই সম্মানিত মঞ্চকর্মীগণ আশান্বিত হন, তখন বুঝতে হয় আমরা যুক্তির মূলে না গিয়ে ভাবালুতায় আচ্ছন্ন হতে বেশি ভালোবাসি এবং আরাম বোধ করি। আমাদের নাট্যজনেরা অতি অবশ্যই সরকার ও রাষ্ট্রের মধ্যকার পার্থক্যটা বোঝেন। এইযে শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চ, এটা যদিও জনগণের অর্থে নির্মিত, তবুও এটা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নয়, এটা সরকারি সম্পত্তি। আমাদের দেশে সব রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিই সরকারি সম্পত্তিতে রূপ নেয়। আর আগেই বলেছি আমাদের থিয়েটারের দর্শনের সাথে রাষ্ট্রের দর্শনের মিল থাকলেও সরকারের দর্শনের মিল নেই। তাই কোনো সরকারি সম্পত্তিকে নিজেদের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করে আনন্দে আপ্লুত হওয়া থিয়েটারওয়ালাদের মানায় না। মহিলা সমিতি মঞ্চ নিজেদের না, মহানগর নাট্যমঞ্চ (ওখানে এখন ফুলটাইম বিভিন্ন পেশাজীবীদের মিটিং আর দ্বিবার্ষিক- ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়) নিজেদের না, এমন কি অধুনা স্বপ্নের আধার এক্সপেরিমেন্টাল হলও নিজেদের না। তাহলে আমাদের নিজেদের মঞ্চ কি অধরাই থেকে যাবে? এর পিঠেই প্রশ্ন আসে, আদতেই কি আমাদের স্বপ্ন ছিলো একটি নিজস্ব মঞ্চের? যদি থাকবেই তবে আমরা প্রতিনিয়তই কেন শিল্প উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা না চেয়ে বিভিন্ন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য লালায়িত হলাম? আমরা কি জানি না যে, সরকার প্রতিশ্রুতির ‘ফেনসিডিল’ খাইয়ে আমাদের বিভোর রেখে সময় পার করবে? অন্যদিকে আমরা কেনইবা অন্যের মালিকানাধীন মঞ্চকে আধুনিকায়নের জন্য পৃষ্ঠপোষক জোগাড় করলাম? অন্যের জমিতে গাছ লাগানো যায়, কিন্তু সেই গাছের ফল পাড়তে গেলে সে পুলিশ ডাকবে এতো স্বাভাবিক ফিলসফি।

যেকোনো কিছুর বাস্তবায়নেই দীর্ঘসূত্রিতার একটা নেতিবাচক প্রভাব আছে। আমাদের স্বপ্ন পূরণে (যদি সত্যিই স্বপ্নটা থেকে থাকে) চলমান দীর্ঘসূত্রিতাও এর ব্যতিক্রম নয়। স্বপ্ন পূরণের সময় পার হতে হতে যখন ৩২ বছর হয়ে যায়, তখন এই স্বপ্নটাই ক্লিশে হয়ে যায়। যেকোনো স্বপ্ন তা যতই নান্দনিক কিংবা শৈল্পীক হোক না কেন, একবার যদি ক্লিশে হয়ে যায়, তবে তা বাস্তবায়নে পুরোনো প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা বেশ জটিল রূপ ধারণ করে। আর আমাদের নিজেদের মঞ্চ নির্মাণে যদি পুরোনো প্রজন্ম, বা, যা আরেক অর্থে প্রথম প্রজন্ম, উদ্বুদ্ধ না হয়, তবে তা স্বপ্ন পূরণে এক বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। তাই, আর সময় ক্ষেপণ নয়, আর অন্যের মুখাপেক্ষী হওয়া নয়। ৩২ বছরের বিভিন্ন চড়াই উৎরাইয়ের মাধ্যমে আমরা, নাট্যজনেরা, নিজেরাই কিšত্ত এখন পৃষ্ঠপোষক হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগে কিন্তু ইতোমধ্যেই আমরা পৃষ্ঠপোষকতা করা শুরু করেছি। তাহলে নিজের স্বপ্ন পূরণে অন্যের পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন কেন? স্বপ্ন পূরণের ব্যর্থতার দায় এদ্দিন না হয় অন্যের ঘাড়ে দিয়েছি, এবার দেব কার ঘাড়ে? সকলের সমন্বিত নাট্য উত্তেজনায় একটি নিজেদের মঞ্চ নির্মাণে জেগে উঠতে হবে- এটাই মূল কথা। `Better late than never’- এটা কালক্ষেপণকে স্মরণ করিয়েও আশার আলো দেখাবার মতো পঙতি- এই পঙতিই এখন শেষ ভরসা।

ইতি
হাসান শাহরিয়ার
মিরপুর- ঢাকা।
০৯. ০৮. ২০০৪ইং