Full premium theme for CMS
ভিক্ষা চাই না ... সামলান
Блогът Web EKM Blog очаквайте скоро..
স ম্পা দ কী য়
অতঃপর কোনো-রকমে খাড়া হয়া বলি- কুত্তাডা খ্যাদান ‘স্যার’।
ভিক্ষা করতেই নেমেছিলাম। যতই স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হই না কেন, ‘কপালে’ আছে ভিক্ষা করে খেতে হবে, তাই ভিক্ষা ছাড়া উপায় নাই। মৌলিক চাহিদা বলে একটা কথা আছে। সেটা রাষ্ট্র দেয়, জনগণকে। আমাদের রাষ্ট্র তা দিতে পারে নি। পারার কোনো লক্ষণও দেখা যায় নি কোনোদিন। অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষা-চিকিৎসা-বাসস্থান, মৌলিক চাহিদার লিস্টিটা জনবিচ্ছিন্ন যে-কোনো সরকারের কাছে একটু বড়ই বৈকি। এই বড় লিস্টিটা ছোট হয়েছে, সব দাবী এখন আর কেউ করে না। শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেউ কেউ- লেখাপড়া করে কে কবে কী করেছে? টাকা-পয়সা বানাতে আবার শিক্ষা লাগে নাকি? চিকিৎসার ব্যাপারে কারো মাথা ব্যথা নাই, তাদের মাথা এমনিতেই ব্যথা করে। বোঝানো হয়েছে, মাথা ব্যথা হওয়া মানেই তো তোর মাথা আছে, এটা কম কিসে? বস্ত্রের ব্যাপারে মাথা ব্যথাটা আরো কম। তোর বস্ত্র নাই এটা কি তোর সমস্যা? ব্যাটা তুই ল্যাংটা হয়ে হাঁট, দেখবি অন্যেরা চোখ ফিরিয়ে নিয়েছে, লজ্জায়। তো অন্যেরা যদি চোখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে তোর বস্ত্রের দরকার কি? বাসস্থান এখন হয়ে গেছে শোয়াস্থান। সারাদিনের শেষে ফুটপাতের কোথাও একটু শুয়ে পড়া। এর চেয়ে বেশি জায়গার দরকার কি? মরার পর তো ঐ সাড়ে তিন হাতই পাবি, এখনই প্র্যাক্টিস কর। কিন্তু অন্নের ব্যাপারটাকে কোনোভাবেই ভোলানো যাচ্ছে না। কুত্তা-ছাগলেরও বস্ত্র-শিক্ষা-চিকিৎসা-বাসস্থান নাই কিন্তু অন্ন আছে, তাই জনগণ অন্তত কুত্তা-ছাগলের সমকক্ষ হতে চায়। কুত্তা-ছাগলের সমকক্ষ হওয়টা এখন জনগণের প্রাণের দাবি।
কিন্তু স্বাধীন দেশে তো এসব বুলি আওড়ালে হবে না। কুত্তা-ছাগল তো আর স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে না। ‘পরাধীন দেশে সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটে না’ জাতীয় কথা কি কুত্তা-ছাগল বোঝে? যদি না বোঝে মানুষ কেন হতে চাইবে ওদের সমকক্ষ? কুত্তা-ছাগল আর মানুষের মধ্যে পার্থক্য আছে, পার্থক্যটা সংস্কৃতিতে। মানুষ সংস্কৃতি নির্মাণ করে। এবং এ-জন্যই কেবল খাওয়া-পরার জন্য মানুষের জন্ম হয় না।
খাওয়া-পরার জন্য জন্ম হয় না বলেই স্বাধীনতার পরপরই যে বিষয়টা নিয়ে জনগণ বেশি মেতে উঠলো, সেটা সংস্কৃতি চর্চা। সভ্য মানুষের জন্য কেবল অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষা-চিকিৎসা-বাসস্থান-ই মৌলিক চাহিদা না। সংস্কৃতি বিনির্মাণও তার একটি মৌলিক চাহিদায় পরিণত হয়। কিন্তু স্বাধীন দেশেও এই উদ্যোগটা রাষ্ট্র নেয় নি, নিয়েছে শিক্ষিত জনগণ। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অনেক শাখায় তারা কাজ শুরু করেছিল জোরসে। এর মধ্যে একটি হলো- নাগরিক নাট্য চর্চা। কিন্তু নাগরিক যে নাট্য চর্চা, সেটা কেবল মেধা দিয়ে হয় না। মেধা তো নিজের, কিন্তু রাষ্ট্রের কাছে তার কিছু চাওয়ার থাকে। সেই চাওয়াটা হলো অবকাঠামো। নাগরিক নাট্যচর্চা, যাাকে কিনা থিয়েটার চর্চা বলে থাকি, এবং এখন যেটা কিনা গ্রুপথিয়েটার চর্চা হিসেবে খ্যাত, তার জন্যও কিছু মৌলিক চাহিদা আছে। সেই মৌলিক চাহিদা হলো- থিয়েটার করার মানুষ লাগে, থিয়েটার করার জায়গা লাগে, ঐ থিয়েটার দেখার জন্য দর্শক লাগে। থিয়েটার করার মানুষ আর দর্শক অনেকটা হুমড়ি খেয়েই পড়েছিল, কিন্তু ঐ যে আরেকটি চাহিদা, জায়গা, সেই জায়গা পাওয়া গেল কই? জায়গা রাষ্ট্র দেয় নি। নাট্যজনেরা জায়গা খুঁজে নিয়েছিল, অন্যের পোড়োবাড়ি ঝাড়– দিয়ে স্পেস তৈরি করেছিল। এই স্পেস তৈরিতে আবেগের ঠ্যালা থাকতে পারে, কিন্তু আবেগ দিয়ে বেশি দূর যাওয়া যায় না। এবং বাংলাদেশের থিয়েটার চর্চাও তাই বেশি দূর যেতে পারছে না। থিয়েটার করতে মঞ্চ যে জরুরি এটা স্বীকার করলেও, থিয়েটারের ‘প্রাণপুরুষ’রা সেটার অভাব মেটাতে তেমন কোনো উদ্যোগ নেন নি। তবে এটা বুঝতে পেরেছিলেন, যদি কিছু চাইতে হয়, সরকারের কাছে, সেটার জন্যও নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছেনও। সেই চেষ্টাটা হলো নিজেরা একটা সমিতি তৈরি করেছেন। নাম দিয়েছেন- বাংলাদেশ গ্রুপথিয়েটার ফেডারেশান। এই ফেডারেশানের প্রধান কাজ, শুরুতেই হওয়া উচিত ছিল, থিয়েটার করার জন্য স্পেস আবিষ্কার করা। শুনেছি সব সরকারের কাছে হাত পেতেছে, কোনো সরকারই সাড়া দেয় নি। পরে শুনেছি, নিজেদের মঞ্চ নিজেরা নির্মাণ করার হাঁক দিয়েছিলেন। কিন্তু ঐ হাঁক পর্যন্তই। এই যে মঞ্চ নেই, তারপরও কোনো প্রাণপুরুষের মুখে শুনি নি যে- আমাদের থিয়েটার চর্চার প্রধান সমস্যা হলো মঞ্চ সমস্যা, যা শুরু হয়েছে আশির দশকের শুরু থেকেই।
আশির দশক থেকেই থিয়েটার করার জায়গার অভাব শুরু হয়। কিন্তু সেটা টের পাওয়া যায়নি। টের না পাওয়ার কারণ আছে, তখন সবাই এক স্বৈরসরকারকে উৎখাতে ব্যস্ত ছিল- কী পথে, কী মঞ্চে। কিন্তু তদ্দিনে দর্শক বেড়েছে, থিয়েটারের মানুষ বেড়েছে- কিন্তু জমি বাড়লো কই? এই যে জমি বাড়ে নি, এর প্রভাব প্রথম পড়তে শুরু করলো নব্বুয়ের শুরুতেই। তখন থেকেই দলগুলোর মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়লো, নাটকের নিয়মিত মঞ্চায়ন না করতে পারার। এর মধ্যে যতই নাট্যোৎসব হোক বা আন্তর্জাতিক উৎসব হোক, সবেধন নীলমণি ঐ এক-দেড়খান মঞ্চই।
মঞ্চ নাই, এটা বড় একটা সমস্যা বটে। কিন্তু মঞ্চটার প্রয়োজনটাই বা কী? মঞ্চের প্রয়োজন বোধ করি থিয়েটারটাকে দর্শকের সামনে আনার জন্য। সেই থিয়েটারটা তৈরি হয় কীভাবে? কত না মেধার দিনের পর দিনের মহড়ার পর নিশ্চয়ই। এই মহড়াটা কোথায় হয়? কী টাসকি খান ক্যান? আরেক জঞ্জাল হাজির হইলো? আমাদের কোনো মঞ্চ নেই, রাষ্ট্র দেয় নি। কিন্তু মহড়ার জায়গা, সেটা কি কেউ দিয়েছে? রাষ্ট্র মঞ্চই দেয় না, মহড়ার জায়গা দেবে কোন দুঃখে? তো কীভাবে সামলানো হয় এই সমস্যাটা? এই মহড়ার সমস্যাটা সামলায় নিজ নিজ দল- তাদের স্ব-উদ্যোগে। বাংলাদেশ গ্রুপথিয়েটার ফেডারেশান অনেক বড় বড় কাজ করে যাচ্ছে সন্দেহ নেই। বড় কাজ করার জন্য তার জন্ম। কিন্তু নাট্য-দলগুলোর অভিভাবক কি জানে তার সন্তানেরা মহড়া চালায় কোথায়-কীভাবে? জানে না, জানার দরকারও বোধ করে নি। কারণ, কোনো দলই তার কাছে গিয়ে বলে নি, আমাকে জায়গা দিন। না বলার কারণও আছে, কিছু চাইলেই বলে রাষ্ট্র অসহযোগিতা করে, আমাদের কী করার আছে? যদি তার কাছে গেলেই সে রাষ্ট্রকে দেখিয়ে দেয় তবে কে ঝামেলা করবে মহড়ার জায়গা চাইতে গিয়ে? ফলাফল, তোর জায়গা তুই খোঁজ।
খুঁজে নিয়েছে সবাই। না খুঁজে উপায় কী! ফেডারেশান গর্ব করেই বলে- কেবল ঢাকাতেই নাকি নাট্যদল আছে শতাধিক। সন্তান জন্ম দেবার গর্বেই বুক উঁচা হয়া যায়- সন্তান যে ন্যাংটা হয়া রাস্তায় ঘুরে সেই খবর আছে? না সেই খবর নেই, বাপ বটে একখান!
স্বাধীনতার পর রাষ্ট্র মঞ্চ না দিলেও যেমন নিজেদের উদ্যোগেই মঞ্চ খুঁজে নিয়েছিল, ঠিক তেমনি মহড়ার জায়গাও নিজেদের উদ্যোগেই খুঁজে নিয়েছিল দলগুলো। কিন্তু এ-তো স্বাভাবিক যে- যে রাষ্ট্র থিয়েটারে আগ্রহী না, তার জনগণও অনেকটা সেই কিসিমেরই হবে। নাটকের মহড়া মানে তো কানে কানে ফিসফিস করে কথা বলা না। ৩/৪ ’শ দর্শককে খালি গলায় সংলাপ শোনানোর জন্য এক ধরনের প্রস্তুতি লাগে। আর সেই প্রস্তুতিপর্বে ফিসফাস করে কথা বলার জায়গা মহড়া কক্ষ না। এখানে সংলাপ প্রক্ষেপনে মুন্সিয়ানার মহড়া হয়।- কিন্তু তোর কাছে যেটা মুন্সিয়ানা, প্রতিবেশীর কাছে তো সেটা চ্যাঁচামেচি। আমার সন্তান সন্ধ্যায় ডিশে হিন্দী ছবির নাচ-গান শুনতে পারে না তোদের চ্যাঁচামেচির জন্য, এভাবে দেশ চলে নাকি? দেশে কি আইন আদালত নেই? যা শালা আমার পাওয়ার আমি দেখামু, তোর পাওয়ার তুই দেখাবি।
অতঃপর আমরা জানতে পারি যে, নিজ উদ্যোগে খুঁজে নেয়া মহড়ার জায়গা ইস্কাটন গার্ডেন স্কুলে নাটকের মহড়া চালানো নিষিদ্ধ হয়।
কারণ?
শব্দ দূষণ।
শব্দ দূষণ মানে?
শব্দ দূষণ বোঝ না? কানের ছ্যাদা দিয়া শব্দ ঢুকে কানকে দূষিত করে।
পাশের বাসায় যে জোরে টিভি চালাইয়া রাখছে, ঐ শব্দ আপনার কানের ছ্যাদা খুঁইজা পায় না?
না।
এই যে রাস্তা দিয়া একটার পর একটা গাড়ি যায় আর খামাখা পোঁ পোঁ করে, সেই শব্দ আপনার কানের ছ্যাদা খুঁইজা পায় না?
না।
রাজাকার এম.পি যে মাইক লাগাইয়া সারা রাইত সবক দেয়, সেইটা কানের ছ্যাদায় চুলকানি দেয় না?
চুপ থাক, আমার পাওয়ার আমি দেখাইলাম, তোর পাওয়ার তুই দ্যাখা।
ঠিক আছে, গেলাম আমাগো অভিভাবকের কাছে। রেডি থাক।
আরে যা যা। দেখা আছে।
অতঃপর তারা অভিভাবকের কাছে যায়। এই এক অভিভাবক বটে। খাওয়া-পড়ার খরচ নিজেদের কিন্তু তার অনুমতি ছাড়া খাওয়াও যাবে না চলাও যাবে না।
শুনেছি, সবাই গিয়েছিল অভিভাবকের কাছে। ঢাকার ভানু বলে- দেখি না শালা কী করে। ব্যস, চোর তো সেই ‘দেখার’ অপেক্ষাতেই থাকে!
আমরা আর কথা না বাড়াই। আমরা মঞ্চের জন্য আর না লাফাই। আমাদের দৌড় জানা হয়ে গেছে সরকারের, আমলাদের। আমাদের দাবী তাদের কানের ছ্যাদা দিয়া ঢোকে না, ঢোকে কেবল নাটকের ‘চ্যাঁচামেচির’ শব্দ।
কিন্তু কিছু আবেশ যে থেকেই যায়!
এবং এই মোহ তো থেকেই যায় যে, এখানে কিছু তরুণ দল এবং প্রবীণ দলও তাঁদের নাট্যক্রিয়ার মহড়া দিয়ে যেতেন প্রতি সন্ধ্যায়। প্রাঙ্গণেমোর তো সেই দল যারা কিছুদিন হলো তাঁদের নাট্যক্রিয়া শুরু করে দু’বছরেই তিনটি নাটক দর্শক সম্মুখে আনতে পেরেছে। এবং এ-কথাটি না বললেই নয় যে, নবীন দল আর নবীনকর্মীর ভেতরে ফারাক অনেক। কারণ, কত না প্রবীণ নাট্যজনকে নবীন দল গড়তে হয়েছে কেবলি দলে টিকে না থাকবার প্রতিবাদেই। প্রাঙ্গণেমোরের দল-প্রধানরা তো নাট্যজন হিসেবে নিশ্চয়ই নবীন না, সেই অর্থে। আর নিশ্চয়ই নবীন না, নাট্যজন হিসেবে, যদিও না নবীন নাট্যদলের কর্ণধার হয়েছেন নাগরিক নাট্যাঙ্গনের ইনামুল হক আর লাকী ইনাম। তাঁরাও তো মহড়া করতেন ঐ নির্দিষ্ট স্কুলটিতে। এবং কেবলি কি নাটকের মহড়া, তাঁদেরই ঘামে একটি নাট্য-শিক্ষার স্কুলও কি সেখানে ঘটনা ঘটায় না প্রতিমুহূর্তে? এবার তো তাহলে বলতেই হয় যে, এখানে মহড়া করার যে উদ্যোক্তা, সেই থিয়েটার (নাটক সরণি) বা তাদের নাট্য-স্কুল- থিয়েটার স্কুল, যে প্রতিষ্ঠানটি কিনা গত ১৬-১৭ বছর ধরে তৈরি করেছে নানা কিসিমের থিয়েটার পাগল পোলাপাইন, সেই থিয়েটার স্কুলের কাজও শুরু হয়েছিল এই মহড়া স্থানটিতে, তারও বিদায় ঘন্টা বেজেছে বছর খানেক আগে। এমনি প্রায় ১৪/১৫ টি দল মহড়া দিত প্রতি সন্ধ্যায় এখানে। দেশনাটকও তো শুনেছি মহড়া করেছে এই স্থানটিতে। আর এ-ও তো জানি, প্রাচ্যনাট, এ-সময়কার থিয়েটার করিয়ে অন্যতম প্রধান দলটিও তাদের মহড়া চালিয়েছিল এখানে। কতজনই বা জানি এখানে এমন নাট্যজনেরাও তাদের মহড়া চালাচ্ছিল যারা কিনা বাংলাদেশের থিয়েটার চর্চার এক উজ্জ্বল রূপকারের দল? আমাদের দেশজ নাট্য-নির্মাণে এক দক্ষ-পথিক এস.এম.সোলায়মান- নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা, নাট্য-সংগীত-পণ্ডিত এবং অতঃপর সংগঠক তো বটেই, তার দল থিয়েটার আর্ট ইউনিটেরও মহড়া বন্ধ হয়েছে এখানে। গ্রুপথিয়েটার চর্চায় আমাদের একমাত্র পালাকার, যিনি কিনা একাই এক পারফরমেন্সকে সমগ্রতায় দর্শক-সম্মুখে আনতে পারতেন, গ্রুপথিয়েটার ফেডারেশানের দুই দুইবারের সেই সেক্রেটারি জেনারেলের দলের মহড়া করার অনুমতি মেলে না। ধন্য আমাদের থিয়েটার চর্চার ৩৫ বছর!
এবার শুরুর কথায় ফিরে যাই। এটা কোনো মসকরা না যে, থিয়েটারের মহড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও থিয়েটার চর্চার অগ্রগতির ঢেকুর তুলবো আর বাদ্যি বাজাবো। যারা এই মহড়া বন্ধ হওয়ার দায় নেবে না তারা যেন আমাদের অভিভাবক হয়ে না থাকেন। প্রতিবাদের সামনে কাঁটা হয়ে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। এই মহড়া বন্ধে প্রেস-মিডিয়া যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, দেশের সব সংস্কৃতিমনা মানুষদের যেভাবে সচেতন করেছে, তার ছিঁটেফোটাও আমরা গ্রুপথিয়েটার ফেডারেশানের প্রতিক্রিয়ায় পাই নি। যদি তাই হয় সামনে থেকে সরে যান, আমরা আমাদের পথ দেখবো।
ভিক্ষা দিবেন না ভালো কথা, কুত্তা লেলান ক্যান? আমরা কি সেই জনগণ যারা কুত্তা-ছাগলের সমকক্ষ হতে চাই? কেবল দুইটা অন্ন চাই? না না না।
ইতি
হাসান শাহরিয়ার
সোবহানবাগ, ঢাকা
১৯-০৭-২০০৭ ইং