Full premium theme for CMS
রিয়েল এস্টেট কর্পোরেট সন্ত্রাসের বলী হতভাগ্য নাট্যকর্মী মাসুদ পারভেজ
Блогът Web EKM Blog очаквайте скоро..
‘প্রাঙ্গণে মোর’ নাট্যদলের প্রথম ব্যাচের সদস্য মাসুদ পারভেজ। চাকরি করতো শেলটেক রিয়েল এস্টেট কোম্পানীতে। ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ এ মৃত্যু সংবাদ পাই মাসুদেরই একজন সহকর্মীর মাধ্যমে। সে জানায়, অফিসের কাজে বাইরে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছে। পরে আমরা বুঝতে পারি, মালিক পক্ষের দ্বন্দ্বের জের হিসেবে জীবন দিয়েছে মাসুদ।
মাসুদের নাটকের বন্ধুরা স্কয়ার হাসপাতালে পৌঁছতে পৌঁছতে শেলটেক কর্তৃপক্ষ সক্রিয় হয়েছিলো যেনো পুলিশ, মিডিয়া-ক্যামেরা ঢুকতে না পারে। মাসুদের নাটকের বন্ধুরা হাসপাতালের নিচে দাঁড়িয়ে কেবলই কেঁদেছে। মিডিয়ার ক্যামেরা ঢুকতে না দেয়ার প্রতিবাদ করে চিৎকার করেছে। কিন্তু অতবড় কর্পোরেট শক্তির কাছে সামান্য ক’জন নাট্যকর্মীর কান্না আর চিৎকার কতটুকুই বা শক্তি রাখে!
১৫ থেকে ২০ দিন পর আমরা টের পেয়েছি প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। মোহাম্মদপুর থানা থেকে ফোন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা একদিন আমাদের মহড়াকক্ষে এসেছেন। প্রথমেই উনি জানতে চেয়েছেন দলে কতজন মেয়ে আছে এবং দলের কোনো মেয়ের সাথে প্রণয়ঘটিত দ্বন্দ্বে মাসুদ পারভেজ খুন হয়েছে কিনা? তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদ হত্যাকাণ্ডের ‘সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে’ আমাদের দলের সব নারী সদস্যের ফোন নম্বর নিয়েছেন এবং চলে গেছেন।
আমরা ঐদিনই রিয়েল এস্টেট কর্পোরেট সন্ত্রাসের উচ্চ ক্ষমতা আঁচ করতে পেরেছি এবং মাসুদ হত্যা মামলার তদন্তের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ‘নিশ্চিত’ হয়েছি।
মাসুদ, আমাদের অক্ষমতা ক্ষমা করে দিও ভাই।
অনন্ত হিরা : নাট্যজন, প্রাঙ্গণে মোর