Bookmaker Bet365.com Bonus The best odds.

Full premium theme for CMS

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর : নির্বাচিত ৫০ প্রযোজনা।। প্রসঙ্গ: তুঘলক

Written by আতাউর রহমান.

Блогът Web EKM Blog очаквайте скоро..

নাটক: তুঘলক। মূলরচনা: গিরিশ কারনাড। অনুবাদ: চিত্তরঞ্জন ঘোষ ও স্বপন মজুমদার। নির্দেশনা: তারিক আনাম খান। মঞ্চপরিকল্পনা: তৌকীর আহমেদ। আলোকপরিকল্পনা: পঙ্কজ নিনাদ। পোশাকপরিকল্পনা: নিমা রহমান। আবহসংগীতপরিকল্পনা: বিমান ভট্টাচার্য। রূপসজ্জা: এ এম ফারুক। প্রথম মঞ্চায়ন-বর্ষ: ১৯৯২। একটি ‘নাট্যকেন্দ্র’ প্রযোজনা

[নাট্যকেন্দ্রের তুঘলক- শিরোনামে নাট্যসমালোচনা লিখেছিলেন আতাউর রহমান। তাঁর নাট্যসমালোচনা-গ্রন্থ ‘পাদপ্রদীপের আলোয়’ থেকে সংগ্রহ করে নাট্যসমালোচনাটি ‘থিয়েটারওয়ালা’র এবারের বিশেষ-সংখ্যায় পুনঃপ্রকাশ করা হলো]

‘নাট্যকেন্দ্রে’র দ্বিতীয় প্রযোজনা এই উপমহাদেশের প্রখ্যাত নাট্যকার গিরিশ কারনাডের তুঘলক। এই নাট্যপ্রযোজনা একাধিক কারণে আমাদের নাট্যাঙ্গনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রথমত, তুঘলক আজকের বিশ্বের, বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তো বটেই, অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি নাটক। তুঘলক নাটকে যে উন্মাদ রক্তক্ষয়ী রাজনীতির সঙ্কট বিধৃত হয়েছে, তা আজকের বিশ্বেরই জ্বলন্ত সমস্যা। দ্বিতীয়ত, তুঘলক-এর মতো জটিল ও বিশাল প্রেক্ষাপটের নাটককে মহিলা সমিতি ও গাইড হাউস মঞ্চের সীমাবদ্ধতায় উত্তীর্ণ করার জন্যে যে নিষ্ঠা ও পরিকল্পনার প্রয়োজন তা বাংলাদেশের নাট্যজনদের অবলোকন ও শেখার বিষয় হতে পারে। তৃতীয়ত, তুঘলক নাটকের নামভূমিকায় যিনি অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য ও সক্ষম অভিনয় করেছেন তা অভিনয়কলার দিক থেকে নতুন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।

‘নাট্যকেন্দ্র’ নাটকের-দল হিসেবে আমাদের নাট্যাঙ্গনে নতুন, কিন্তু দেশের অন্য পাঁচটা প্রতিষ্ঠিত নাট্যদলের মতোই এই দলটিকে নাট্য-উপস্থাপনায় অভিজ্ঞতাপুষ্ট মনে হয়। ‘নাট্যকেন্দ্রে’র প্রথম প্রযোজনা মলিয়ের-এর দ্যাট স্ক্রাউন্ড্রেল স্ক্যাপি অবলম্বনে বিচ্ছু এবং দ্বিতীয় প্রযোজনা গিরিশ কারনাডের তুঘলক-এ পরিপক্কতা ও মননের-ছাপ পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান। এই নাট্যদলের প্রথম প্রযোজনা বিচ্ছু রসোত্তীর্ণ ও জনপ্রিয়।

নাট্যকার গিরিশ কারনাড তুঘলক প্রথমে কন্নড় ভাষায় রচনা করেন। পরবর্তীকালে নাট্যকার স্বয়ং নাটকটি ইংরেজিতে লেখেন। নাটকটির হিন্দি অনুবাদ থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন কলকাতার চিত্তরঞ্জন ঘোষ এবং স্বপন মজুমদার। নাটকটির ইংরেজি সংস্করণ হিন্দি-পাণ্ডুলিপির তুলনায় অনেক পরিমার্জিত, সংহত ও ছোট কলেবরের। বঙ্গীয় অনুবাদকদ্বয় ইংরেজি সংস্করণের আদর্শে তাদের অনুবাদকর্মকে মাজা-ঘষা করে বর্তমানের প্রকাশিত রূপটি গড়ে তোলেন। বলা বাহুল্য, তুঘলকের কাহিনি ভারতবর্ষের সুলতান মহম্মদ বিন তুঘলকের নাটকীয় ও বর্ণাঢ্য জীবনকে উপজীব্য করে গড়ে উঠেছে। ইতিহাসে ভারতের এই সম্রট ‘পাগলা তুঘলক’ নামে পরিচিত। বলা হয়, এই শাসক ছিলেন ‘জিনিয়াস’, যিনি তার সময়ের বহু আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং সেই কারণে ছিলেন তার সময়ের জন্য ‘মিসফিট’। তিনি চেয়েছিলেন তার সময়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে, তার দেশ ও মানুষকে উন্নত করতে। কিন্তু তার চরিত্রের স্ববিরোধিতা ও ভারসাম্যহীনতার কারণে তিনি অসফল এক শাসক হিসেবে ইতিহাসের পঙ্কে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। তিনি পারেন নি রাজনীতির সঙ্গে যথার্থ স্টেটসম্যানশিপের সমন্বয় সাধন করতে। নিজ-সৃষ্ট রক্তক্ষয়ী এবং উন্মাদ-রাজনীতির খপ্পরে পড়ে রক্তাক্ত হয়েছেন এই অনন্য-সাধারণ প্রতিভাবান মানুষটি। প্রবল আমিত্ববোধ, অসহিষ্ণুতা এবং নিষ্ঠুরতা মহম্মদ বিন তুঘলকের অসাফল্যের কারণ হিসেবে অনেক ঐতিহাসিক চিহ্নিত করেছেন। আসল কথাটি মনে হয়, দেশ ও জাতির জন্য একজন প্রতিভাবান নেতার যত না প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন একজন ব্যালান্সড নেতার। সেই ব্যালান্স-হীনতার কারণে তুঘলক শাসক হিসেবে ইতিহাসে অসাফল্যের স্তম্ভ হয়ে রইলেন। তার সঙ্গে সঙ্গে নির্যাতন, কষ্ট, যন্ত্রণা ও মৃত্যুর শিকার হয়েছিল দিল্লি তথা ভারতবর্ষের অসংখ্য নাগরিক। গিরিশ কারনাড তুঘলকের কাহিনি নিয়ে এক শক্তি-তরঙ্গায়িত নাটক রচনা করেছেন, যে নাটকটি শেক্সপীয়রের ম্যাকবেথ বা জুলিয়াস সিজারের মতো ঐতিহাসিক নাটক হয়েও প্রাসঙ্গিক হয়ে বেঁচে থাকবে বলে বিশ^াস করি। এই নাটকটি ইতোমধ্যে ভারতের বাইরে বহুল পরিচিতি লাভ করেছে।

‘নাট্যকেন্দ্রে’র তুঘলক প্রযোজনা দেখতে গিয়ে মনে হয়েছে, এই নাট্যদলটি একটি দুরূহ অথচ সময়োপযোগী নাটক সফলভাবে মঞ্চে এনেছে। আজকের পৃথিবী যে নিদারুণভাবে রাজনীতি দ্বারা আবিষ্ট, আচ্ছন্ন, পীড়িত, তাড়িত ও উন্মাদগ্রস্ত তা তুঘলক প্রযোজনা আমাদের ভীষণভাবে মনে করিয়ে দেয়। ভারসাম্যহীন রাজনীতি যে সভ্যতাকে সঙ্কটের মুখে নিক্ষিপ্ত করে তুঘলক এ বিষয় সম্পর্কেও আমাদের সচেতন করে তোলো। এক কথায় তুঘলক আমাদের ভাবায়। শিল্পের কাজই তো তাই। তুঘলক এ কাজটি খুব ভালোভাবেই করতে পেরেছে।

তুঘলক প্রযোজনায় ‘নাট্যকেন্দ্রে’র একটি সুচিন্তিত ও পরিচ্ছন্ন পরিকল্পনার পরিচয় পাওয়া যায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই নাট্য-উপস্থাপনাকে কখনো পৃথুল বা ক্লান্তিকর মনে হয় না। সুচারু এবং টানটান এই নাট্য-উপস্থাপনা। মঞ্চসজ্জা, আলোকপরিকল্পনা ও বিন্যাস, পোশাকপরিকল্পনা, আবহসংগীতও পরস্পরের পরিপূরক, কাক্সিক্ষত আবহ সৃষ্টিতে সহায়ক এবং তেমন বড় রকমের কোনো অন্বয়হীনতা চোখে পড়ে না। তবে মঞ্চসজ্জার তুলনায় নাটকের পাত্র-পাত্রীদের পোশাকের রঙ ও মঞ্চ-সম্ভার ও আসবাবের রঙ ও ডিজাইনকে কিছুটা উচ্চকিত মনে হয়। এ ক্ষেত্রে মঞ্চসজ্জার মালিন্য কাটাতে হবে অথবা পোশাক ও মঞ্চ-সম্ভারকে নমিত করতে হবে। ‘নাট্যকেন্দ্র’কে বিষয়টি ভাবতে বলি। যা অনেক নাট্য-প্রযোজনায় দুর্বল হয়ে দেখা দেয়, তা হলো জনতার-দৃশ্য। তুঘলক এ জনতার-দৃশ্যে সম্পূর্ণভাবে উত্তীর্ণ। এ প্রযোজনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো নাটকের পাত্র-পাত্রীদের মঞ্চে প্রবেশের ও প্রস্থানের সুশৃঙ্খল ও সহজ ছন্দ। ছন্দ বা রিদমের দিক থেকে এ নাট্য-প্রযোজনা প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত মূল-ছন্দটিকে ধরে রাখতে পেরেছে। কখনো ছন্দপতন হয় নি।

তুঘলক প্রযোজনায় কয়েকটি অসাধারণ নাটকীয় মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। তার দু-একটির উল্লেখ করা যেতে পারে। পৃথিবীর চতুরতম লোক বলে খ্যাত মহম্মদ বিন তুঘলক তার যুদ্ধপরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে একটি দৃশ্যের শেষ দিকে সুফি শেখ ইমামুদ্দিনকে শাহি-পিরান পরিয়ে যখন বিপক্ষ-শিবিরে পাঠাচ্ছেন তার বিশেষ-দূত হিসেবে, সেই নাটকীয় মুহূর্তটি মনে রাখার মতো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তুঘলক ও শেখ ইমামুদ্দিনের পরস্পরের চেহারায় এমন মিল ছিল যে, একজনকে আরেকজন বলে ভুল হয়ে যেত। তুঘলক ও ইমামুদ্দিন প্রায় একই রকম পোশাকে পরস্পর প্রোফাইলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, কারো মুখে কথা নেই, নৈঃশব্দ্য পূর্ণ করে রাখে মঞ্চ, আলো ঘনীভূত হয়ে আসে সেই দুটো চরিত্রের ওপরে, টাইট কম্পোজিশনে দৃশ্যটি শেষ হয়। দর্শকের স্পষ্টতই মনে হয় যে, তুঘলক শেখ ইমামুদ্দিনকে কূটনীতির চালে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে বস্তুতপক্ষে নিজেকেই যেন ঠেলে দিলেন অনিবার্য ধ্বংসের মুখে। আরেকটি নাটকীয় মুহূর্ত সৃষ্টি হয় তুঘলকের ইমামতিতে যখন আমিরেরা তার দরবারে নামাজরত অবস্থায় বল্লমধারী হিন্দু সৈন্যদের দ্বারা আক্রান্ত হন।  এবং তখনও তুঘলক নির্লিপ্ত মনস্কতায় নামাজ শেষ করেন। তুঘলকের পরবর্তীকাজ দর্শককে আতঙ্কিত করে তোলো। তিনি ঠাণ্ডা মাথায় ও মৃদু ভাষায় কথা বলতে বলতে তার সবচেয়ে প্রিয় আমির শাহাবুদ্দিনকে যে উল্লাসময় নৃশংসতায় হত্যা করেন তা বোধহয় জগতের যেকোনো নৃশংসতাকে হার মানায়। তার বিমাতাকে যখন পাথর ছুঁড়ে ছুঁড়ে মারার জন্যে তুঘলক হুকুম দেন, সেই মুহূর্তটি মঞ্চে নাটকীয় দ্যোতনায় জীবন্ত হয়ে ওঠে। ‘নাট্যকেন্দ্রে’র তুঘলক প্রযোজনায় এমনই বেশ কয়েকটি অসাধারণ মুহূর্ত সৃষ্টি হয় অভিনয়, কারিগরি-পরিকল্পনা ও কম্পোজিশন-গুণে। এই সুষম নাট্যবুদ্ধি ও পরিকল্পনার কৃতিত্ব প্রধানত নির্দেশক তারিক আনাম খানের। যদিও তা ভাগ করে নেন তার সহকর্মী তৌকীর আহমেদ (মঞ্চপরিকল্পনা), নিমা রহমান (পরিচ্ছদপরিকল্পনা), পংকজ (আলোকপরিকল্পনা) ও বিমান ভট্টাচার্য (আবহসংগীতপরিকল্পনা)। রূপসজ্জা আমাদের দেশে যেমন হয় তেমনই হয়েছে। বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে না।

মঞ্চনাটকের-প্রাণ অভিনয় প্রসঙ্গে বলা যায়, ‘নাট্যকেন্দ্রে’র দলগত অভিনয় বেশ জোরালো, কিন্তু স্বতন্ত্র অভিনেতা হিসেবে সবাই সমান জোরালো নন। এটা আশাও করা যায় না। কেন্দ্রীয়-চরিত্র তুঘলকের প্রতি নাট্যকারের পক্ষপাত আছে। থাকাটাই স্বাভাবিক। তারিক আনাম মহম্মদ বিন তুঘলকের ভূমিকায় নাট্যকারের পক্ষপাতদুষ্টতার সম্পূর্ণ সুযোগ নিয়ে চরিত্রটিকে মঞ্চে মূর্ত করে তুলেছেন অসাধারণ দক্ষতায়। সাধারণভাবে এ ধরনের অভিনয়কে দুর্দান্ত, তুখোড়- ইত্যাদি আখ্যা দেয়া হয়। দৈহিক ও বাচনিক অভিনয়ের বৈচিত্র্যময় খেলায় ও সমন্বয়ে তিনি তুঘলককে দর্শকের কাছে পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলেন। নাটকীয় গ্রন্থি, উপগ্রন্থি পার হয়ে দুরূহ-জটিল বর্ণাঢ্য চরিত্রটিকে তিনি রূপময় করে তোলেন। ঘৃণায়, তাচ্ছিল্যে, উপহাসে, বুদ্ধিমত্তায়, চাতুরিতে, অসহিষ্ণুতায়, নিষ্ঠুরতায় এবং নিঃসঙ্গতায় তাকে সমান পারঙ্গম মনে হয়। তুঘলক চরিত্রে তার অভিনয় কিছুটা স্টাইলাইজড হলেও আরোপিত মনে হয় না। কারণ, চরিত্রটিকে তিনি আকণ্ঠ ধারণ করতে সক্ষম হন। শুরুতেই বলেছি, এ বিষয়টি নতুন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্যে শিক্ষণীয় হতে পারে। নাটকে কোনো চরিত্রই ছোট নয়। সেজন্যই সৎমা চরিত্রে মেঘনা, নজিব চরিত্রে ঝুনা চৌধুরী, আজিজ চরিত্রে জাহিদ হাসান এবং শাহাবুদ্দিন চরিত্রে তৌকীর আহমেদের কাছে আরও পরিমিত অভিনয় আশা করা হয়েছিল। এরা সবাই ভালো অভিনয় করতে সক্ষম। তবে মেঘনা সৎমা চরিত্রে তার পুত্র তুঘলকের সঙ্গে বাস্তব-সম্পর্কের বাইরেও যে তার একটি দ্বিতীয় সম্পর্ক আছে তা তারিক আনামের সহযোগিতায় ইংগীতময় করে তোলেন। ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র শেখ ইমামুদ্দিনের ভূমিকায় সফিক সাদেকী অত্যন্ত মনোগ্রাহী অভিনয় করেন।

যে কথাটা সবশেষে বলার ইচ্ছা ছিল, সে কথাটা বলি। কথাটা দর্শকের উদ্দেশেই বলা। অনেক দর্শক স্থূল হাসির নাটক আর খিস্তি-খেউড়ের নাটক দেখতে মঞ্চে ভিড় করেন। আপনারা মঞ্চে টেলিভিশন-স্টারদের দেখতে ভিড় করেন, তাদের অভিনয় দেখতে নয়। আপনারা ভোতা-স্থূল রাজনীতির নাটক দেখতে চান, অথচ তুঘলক দেখতে ভিড় করেন না। আপনারা ‘নাট্যকেন্দ্রে’র বিচ্ছু দেখতে এখনো যদি ভিড় করে আসতে পারেন, তবে একই দলের তুঘলক কেন দেখবেন না? আপনারা কি নাটক দেখে ভাবিত হতে চান না? তাড়িত হতে চান না? স্পৃষ্ট হতে চান না? তুঘলক আপনাদের এক মুহূর্তের জন্যেও বিরক্তি উৎপাদন করবে না, কারণ, তুঘলক একটি তীক্ষ্ম, পেশল ও রসোত্তীর্ণ নাট্য-প্রযোজনা।

১৯৯৩

আতাউর রহমান ( This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it. ): নাট্যব্যক্তিত্ব